শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

জাতীয়

উপদেষ্টা, প্রেস সচিব, জুলাই আন্দোলনের নেতাদের নামে অ্যাকাউন্টের স্ক্রিনশটগুলো ভুয়া : রিউমার স্ক্যানার

 ফ্যাক্ট-চেকিং প্রতিষ্ঠান রিউমার স্ক্যানারের সাম্প্রতিক অনুসন্ধানে প্রমাণিত হয়েছে যে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা, প্রেস সচিব এবং জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের নেতাদের নামে ছড়িয়ে পড়া বাইনান্স অ্যাকাউন্টের স্ক্রিনশট সম্পূর্ণ ভুয়া এবং ভিত্তিহীন। এটি প্রযুক্তিগত কারসাজির মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে এবং অনির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে প্রচারিত হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একাধিক স্ক্রিনশট ভাইরাল হয়েছে, যেখানে দাবি করা হয়েছে যে, অন্তর্বর্তী […]

উপদেষ্টা, প্রেস সচিব, জুলাই আন্দোলনের নেতাদের নামে অ্যাকাউন্টের স্ক্রিনশটগুলো ভুয়া : রিউমার স্ক্যানার

ছবি : সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১২:৪৪

 ফ্যাক্ট-চেকিং প্রতিষ্ঠান রিউমার স্ক্যানারের সাম্প্রতিক অনুসন্ধানে প্রমাণিত হয়েছে যে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা, প্রেস সচিব এবং জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের নেতাদের নামে ছড়িয়ে পড়া বাইনান্স অ্যাকাউন্টের স্ক্রিনশট সম্পূর্ণ ভুয়া এবং ভিত্তিহীন। এটি প্রযুক্তিগত কারসাজির মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে এবং অনির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে প্রচারিত হয়েছে।

সাম্প্রতিক সময়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একাধিক স্ক্রিনশট ভাইরাল হয়েছে, যেখানে দাবি করা হয়েছে যে, অন্তর্বর্তী সরকারের শীর্ষ ব্যক্তিদের নামে থাকা বাইনান্স অ্যাকাউন্টে বিপুল পরিমাণ বিটকয়েন জমা রয়েছে, যার বাজারমূল্য শত শত কোটি টাকা। এই দাবিকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এমনকি ভারতে আশ্রিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় তার ফেসবুক পোস্টে এই স্ক্রিনশট শেয়ার করেন, যা পরে ভারতের কিছু গণমাধ্যমও প্রচার করে।

তবে রিউমার স্ক্যানারের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, এই স্ক্রিনশটগুলো আসলে প্রযুক্তিগত কারসাজির ফসল। এগুলো তৈরি করা হয়েছে ‘ইন্সপেক্ট টুল’ নামক একটি ব্রাউজার ফিচার ব্যবহার করে, যা ওয়েবসাইটের কোড সাময়িকভাবে পরিবর্তন করে যে কোনো তথ্য সাজিয়ে দেখানোর সুযোগ দেয়। প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা রিউমার স্ক্যানারের কাছে প্রমাণ করেছেন যে, শুধুমাত্র ইউজার আইডি ব্যবহার করে বাইনান্সের কোনো অ্যাকাউন্টের ব্যালেন্স দেখা সম্ভব নয়। এজন্য অ্যাকাউন্টে লগইন করে ‘ওয়ালেট’ অপশনে যেতে হয়, যা এই ভাইরাল স্ক্রিনশটগুলোর ক্ষেত্রে সম্ভব হয়নি।

এই ভুয়া প্রচারণার সূত্র খুঁজতে গিয়ে রিউমার স্ক্যানার দেখতে পায়, ‘দ্য এশিয়া পোস্ট নিউজ’ নামের একটি নামসর্বস্ব পোর্টাল প্রথম এই তথ্য প্রকাশ করে। অনুসন্ধানে জানা গেছে, ২০২৩ সালের ২০ নভেম্বর চালু হওয়া এই ওয়েবসাইটের কার্যক্রম অত্যন্ত সীমিত। এর ফেসবুক পেজে মাত্র ৩৩ জন ফলোয়ার, আর এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্টে রয়েছে মাত্র ৮ জন ফলোয়ার। এটির কোনো সম্পাদক, প্রকাশক বা পরিচালকের নাম উল্লেখ নেই, এমনকি অফিসের কোনো ঠিকানাও নেই। ডোমেইন বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ওয়েবসাইটটি ২০২৪ সালের ২৫ অক্টোবর নিবন্ধিত হয়েছে, যা স্পষ্টতই জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের পরবর্তী সময়ে গুজব ছড়ানোর জন্য তৈরি করা হয়েছে।

এই ভুয়া প্রচারণা সামনে আসার পর রিউমার স্ক্যানার আরও বিশ্লেষণ চালায় এবং তারা একেবারে একই ধরনের স্ক্রিনশট তৈরি করে দেখায়, যেখানে শুধু অ্যাকাউন্টের নাম পরিবর্তন করে শেখ হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদের নাম বসিয়ে দেওয়া হয়। এই পরীক্ষা প্রমাণ করেছে যে, প্রচারিত স্ক্রিনশটগুলো শতভাগ মিথ্যা এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তৈরি করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, সজীব ওয়াজেদ জয় ফেসবুকে এই স্ক্রিনশট শেয়ার করার পরপরই তার পোস্টে অসংখ্য মন্তব্য আসে, যেখানে সাধারণ ব্যবহারকারীসহ প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরাও স্ক্রিনশটগুলো ভুয়া বলে দাবি করেন। ব্যাপক সমালোচনার মুখে মাত্র এক ঘণ্টার ব্যবধানে জয় পোস্টটি মুছে ফেলতে বাধ্য হন।

এ ঘটনার পর রিউমার স্ক্যানার স্পষ্টভাবে জানায়, অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা, প্রেস সচিব এবং জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের নেতাদের নামে প্রচারিত বাইনান্স অ্যাকাউন্টের স্ক্রিনশট ও তাদের বিরুদ্ধে আনা দুর্নীতির অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। এটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছে এবং জনগণকে বিভ্রান্ত করার একটি অপচেষ্টা ছাড়া কিছুই নয়।

২৪ জানুয়ারী ২০২৫
poll_title
বাংলাদেশের পুলিশ, র‍্যাব ও আনসারের নতুন ড্রেস

বাংলাদেশের পুলিশ, র‍্যাব ও আনসারের ড্রেস নিয়ে আপনার মতামত কী?

মোট ভোট: ৬০৮

জাতীয়

বেনজীরের খেলা শেষ? ইন্টারপোলের জালে ধরা সাবেক আইজিপি

গত ১৬ বছর ধরে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কিছু সদস্য দেশকে অস্থিতিশীল করার কাজে লিপ্ত ছিল। বিশেষ করে অন্তত দুই ডজন পুলিশ কর্মকর্তা প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে নিজেদের স্বার্থে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। ক্ষমতাচ্যুত হাসিনা সরকারের পতনের পর, সেই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের অনেকেই পলাতক রয়েছেন। তবে দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র এখনও থামেনি। সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ পলাতক থেকেও […]

বেনজীরের খেলা শেষ? ইন্টারপোলের জালে ধরা সাবেক আইজিপি

ছবি : সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০১:৫৩

গত ১৬ বছর ধরে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কিছু সদস্য দেশকে অস্থিতিশীল করার কাজে লিপ্ত ছিল। বিশেষ করে অন্তত দুই ডজন পুলিশ কর্মকর্তা প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে নিজেদের স্বার্থে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। ক্ষমতাচ্যুত হাসিনা সরকারের পতনের পর, সেই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের অনেকেই পলাতক রয়েছেন। তবে দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র এখনও থামেনি।

সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ পলাতক থেকেও ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে পুলিশের গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে তিনি মানবাধিকার লঙ্ঘন ও দুর্নীতির মতো গুরুতর অনিয়মে জড়িত ছিলেন। সম্প্রতি তিনি ভার্চুয়াল মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সমর্থকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন, যা নতুন ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত বলে মনে করা হচ্ছে।

তবে এবার পরিস্থিতি পাল্টাতে শুরু করেছে। আদালত ইন্টারপোলের মাধ্যমে সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দিয়েছে। ২০২১ সালে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্র র‍্যাবের সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল, যার মধ্যে বেনজীর আহমেদও ছিলেন। নিষেধাজ্ঞার পরও তিনি যুক্তরাষ্ট্র সফর করেছিলেন, তবে এবার পালিয়ে থাকার সুযোগ নেই।

অনেকেই সন্দেহ করছেন, ইন্টারপোলের রেড এলার্ট কতটা কার্যকর হবে। আন্তর্জাতিক অপরাধ পুলিশ সংস্থা বা ইন্টারপোল বিভিন্ন দেশের পুলিশ বাহিনীকে সহযোগিতা করে থাকে। কোনো অপরাধী নিজ দেশ থেকে পালিয়ে অন্য দেশে আশ্রয় নিলে, ইন্টারপোল তাকে ফিরিয়ে আনার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে।


বাংলাদেশ ১৯৭৬ সালে ইন্টারপোলের সদস্যপদ লাভ করে। বর্তমানে ইন্টারপোলের তালিকায় ১৯৫টি দেশের ৬,০৬৯ জনের নাম রেড এলার্টে রয়েছে, যার মধ্যে বাংলাদেশ থেকে ৬৪ জনের নাম অন্তর্ভুক্ত।২০০৯ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে মাত্র ১৫ জন পলাতক আসামিকে দেশে ফেরানো সম্ভব হয়েছে। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হতে চলেছে সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের নাম। প্রশ্ন হচ্ছে, তিনি কি সত্যিই ধরা পড়বেন, নাকি ফেরারির খেলায় আবারও রক্ষা পাবেন?

১০ জানুয়ারী ২০২৫
poll_title
সচিবালয়ে আগুন

সচিবালয়ে আগুনের ঘটনা পরিকল্পিত বলে সন্দেহ করছেন অনেকে। আপনি কী মনে করেন?

মোট ভোট: ১১৬৭

জাতীয়

মোদীর সকল শর্তই প্রত্যাখান করলো ইউনুস সরকার

বাংলাদেশের ওপর ভারতের চাপ প্রয়োগের কৌশল এবার ব্যর্থ হয়েছে। দিল্লি তিনটি কঠোর শর্ত দিয়েছিল, যার মধ্যে ছিল শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ, ভারতীয় মন্ত্রীদের সঙ্গে রাজনৈতিক আলোচনা নিষিদ্ধ করা, এবং সংখ্যালঘু হিন্দুদের নিরাপত্তা নিয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া। তবে বাংলাদেশ সরকার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, এটি একটি স্বাধীন রাষ্ট্র এবং অন্য কোনো দেশের আধিপত্য মেনে নেওয়া হবে না।ভারতের এই […]

নিউজ ডেস্ক

০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২১:৩৬

বাংলাদেশের ওপর ভারতের চাপ প্রয়োগের কৌশল এবার ব্যর্থ হয়েছে। দিল্লি তিনটি কঠোর শর্ত দিয়েছিল, যার মধ্যে ছিল শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ, ভারতীয় মন্ত্রীদের সঙ্গে রাজনৈতিক আলোচনা নিষিদ্ধ করা, এবং সংখ্যালঘু হিন্দুদের নিরাপত্তা নিয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া।


তবে বাংলাদেশ সরকার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, এটি একটি স্বাধীন রাষ্ট্র এবং অন্য কোনো দেশের আধিপত্য মেনে নেওয়া হবে না।
ভারতের এই হস্তক্ষেপমূলক নীতি শুধু কূটনৈতিকভাবে নয়, দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনীতিতেও নতুন উত্তেজনার সৃষ্টি করেছে।

ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক দীর্ঘদিন ধরেই বৈরী অবস্থায় রয়েছে, বিশেষ করে কাশ্মীর, সীমান্ত সংঘর্ষ, ও নিরাপত্তা ইস্যুগুলোতে।
এই উত্তেজনার মধ্যে বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্কের নতুন উষ্ণতা ভারতকে আরও অস্বস্তিতে ফেলেছে।
সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্যিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ, যা দিল্লির জন্য বড় ধাক্কা।


পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই প্রধানের ঢাকা সফর এবং বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের ইসলামাবাদ সফর প্রমাণ করে, দুই দেশের মধ্যে নতুন সমঝোতা গড়ে উঠছে।
ভারত যদি বাংলাদেশকে চাপে রাখার চেষ্টা চালিয়ে যায়, তবে এটি শুধু বাংলাদেশ নয়, সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনৈতিক ভারসাম্যকেও বদলে দেবে

বাংলাদেশ এখন নতুন বাণিজ্য ও নিরাপত্তা সহযোগিতার জন্য বিকল্প খুঁজছে এবং পাকিস্তান এই ক্ষেত্রে একটি সম্ভাব্য অংশীদার হয়ে উঠছে।
চীন, রাশিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গেও নতুন অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা।


ভারতের আধিপত্যবাদী নীতি মোকাবিলায় এই কৌশল দক্ষিণ এশিয়ায় শক্তির ভারসাম্য পরিবর্তন করতে পারে।


ভারত যদি বাংলাদেশকে শত্রুর চোখে দেখে, তবে বাংলাদেশও কৌশলগতভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাবে এবং নতুন জোট তৈরি করে আঞ্চলিক প্রভাব বাড়াবে।
দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতি এখন এক নতুন মোড় নিতে যাচ্ছে, যেখানে বাংলাদেশ স্বাধীনভাবে নিজের পথ নির্ধারণ করবে, কোনো পরাশক্তির ছায়ায় নয়।

১০ জানুয়ারী ২০২৫
poll_title
সচিবালয়ে আগুন

সচিবালয়ে আগুনের ঘটনা পরিকল্পিত বলে সন্দেহ করছেন অনেকে। আপনি কী মনে করেন?

মোট ভোট: ১১৬৭

জাতীয়

যুদ্ধাপরাধ ও গণহত্যা বিধান বহাল চায় বিএনপি, বিপক্ষে জামায়াত

সংবিধানে গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের বিচারসংক্রান্ত বিধান বহাল রাখতে চায় বিএনপি। দলটির দাবি, ২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনের বিচারের স্বার্থে এই বিধান অপরিহার্য। অন্যদিকে এই আইনের অপব্যবহার হয়েছে বলে দাবি করে সংশ্লিষ্ট বিধান বাতিলের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। সম্প্রতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। তবে চূড়ান্ত করার আগে বিভিন্ন রাজনৈতিক […]

নিউজ ডেস্ক

১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১২:৫০

সংবিধানে গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের বিচারসংক্রান্ত বিধান বহাল রাখতে চায় বিএনপি। দলটির দাবি, ২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনের বিচারের স্বার্থে এই বিধান অপরিহার্য। অন্যদিকে এই আইনের অপব্যবহার হয়েছে বলে দাবি করে সংশ্লিষ্ট বিধান বাতিলের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে জামায়াতে ইসলামী।

সম্প্রতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। তবে চূড়ান্ত করার আগে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মতামত নেওয়া হয়। কমিশন সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধনের প্রস্তাব দিলে জামায়াতে ইসলামী তার পক্ষে মত দেয় তবে বিএনপি এতে সংস্কার চায়।

এর আগে গত বছরের ২৫ নভেম্বর জামায়াতে ইসলামী তাদের প্রস্তাব সংস্কার কমিশনে জমা দেয়। সেখানে তারা গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের জন্য কোনো ব্যক্তি বা দলের বিচার করার বিধান বাতিলের দাবি জানায়। দলটির ভাষ্যমতে, গত বছরগুলোতে এই আইনের অপব্যবহার করে তাদের বিরুদ্ধে অন্যায় করা হয়েছে।

পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানে যে বিধান যুক্ত হয়েছিল, তাতে অসামরিক ব্যক্তি বা রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের বিচার করার সুযোগ তৈরি হয়। বিএনপি চায়, এই বিধান বহাল থাকুক, যাতে জুলাই আন্দোলনের বিচার নিশ্চিত করা যায়। অন্যদিকে জামায়াত এই বিধান বাতিলের পক্ষে অনড় অবস্থানে রয়েছে।

১০ জানুয়ারী ২০২৫
poll_title
সচিবালয়ে আগুন

সচিবালয়ে আগুনের ঘটনা পরিকল্পিত বলে সন্দেহ করছেন অনেকে। আপনি কী মনে করেন?

মোট ভোট: ১১৬৭