বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

জাতীয়

আলেমরা দেশ চালালে সোনার সমাজে পরিণত হবে : ধর্ম উপদেষ্টা

ধর্ম উপদেষ্টা ড. মাওলানা আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, আলেম যারা, যাদের কোরআনের ওপর পাণ্ডিত্য আছে তারা দেশ চালালে আমাদের এ দেশ, ব্যক্তি, পরিবার সোনার সমাজে পরিণত হবে। আমরা যদি সরকার পরিচালনায় আলেমদের সম্পৃক্ত করতে পারি তাহলে দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, লুটের মানসিকতা ও অব্যবস্থাপনা বিদায় নেবে। তিনি বলেন, ফেসবুকে, টুইটারে ও ব্যক্তিগত পর্যায়ে গুতাগুতি না […]

নিউজ ডেস্ক

২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২১:০৯

ধর্ম উপদেষ্টা ড. মাওলানা আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, আলেম যারা, যাদের কোরআনের ওপর পাণ্ডিত্য আছে তারা দেশ চালালে আমাদের এ দেশ, ব্যক্তি, পরিবার সোনার সমাজে পরিণত হবে। আমরা যদি সরকার পরিচালনায় আলেমদের সম্পৃক্ত করতে পারি তাহলে দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, লুটের মানসিকতা ও অব্যবস্থাপনা বিদায় নেবে।

তিনি বলেন, ফেসবুকে, টুইটারে ও ব্যক্তিগত পর্যায়ে গুতাগুতি না করে পরস্পরকে সম্মান করতে শিখি। দৃষ্টিভঙ্গিকে প্রসারিত করি। যাদের মন ছোট তাদের মাধ্যমে বড় কাজ হয় না। সবাইকে নিয়ে কাজ করার মানসিকতা আমাদের গ্রহণ করতে হবে।

আমরা যদি কাছাকাছি আসতে পারি, এক অপরের ঘরে যেতে পারি, বসতে পারি তাহলে এটাও সমাজে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। আমি আশাবাদী। আমরা এ দেশে কোরআনের আদর্শে একটি সমাজ ও রাষ্ট্রব্যবস্থা দেখে যাব।

দুনিয়ার সমস্ত মুসলমান এক ও অভিন্ন জানিয়ে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, মুসলমানদের বিভিন্ন দলে ভাগ করার জন্য চক্রান্ত চলছে। আমাদের এ ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের বিরুদ্ধে সজাগ থাকতে হবে। যে কোনো মূল্যে আমাদের ঐক্য ধরে রাখতে হবে।

আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, বিগত ১৬ বছর ইসলামিক ফাউন্ডেশনকে যারা বিক্রি ও নয়ছয় করেছে, হাইকোর্টের বিচারপতির নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেব আমি। জঞ্জাল একদিনে পরিষ্কার করতে পারব না। তবে পরিষ্কার করা শুরু করেছি।

বাংলাদেশের মুসলমানদের এক হওয়ার আহ্বান জানিয়ে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, পৃথিবীতে ২০০ কোটি মুসলমান, ৫৭টি মুসলমানের দেশ আছে। আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ থাকতে পারতাম ইতিহাস নতুনভাবে লেখা হতো। বাংলাদেশে ১৮ কোটি মুসলমান। আর ভেদাভেদ বা সংঘাত নয়, মতবিরোধ থাকবে।

মতবিরোধ নিয়েই আমরা ঐক্যবদ্ধ হব। বাংলাদেশের বিভিন্ন ধারা আলেম-ওলামারা যদি এক হতে পারে আগামীকাল যে সূর্য উঠবে সেটা হবে নতুন।

আগামী নির্বাচন ঐতিহাসিক হবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস সাহেব বলেছেন আগামীতে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। একটি ঐতিহাসিক নির্বাচন হবে আগামীতে। দিনের ভোট রাতে হবে না। দিনের ভোট দিনে হবে।

এ দেশের জনগণ যাকে ভালো মনে করে তাকে ভোট দেবে। ভোট নিয়ে কোনো কারচুপি হবে না। কেউ ব্যালট বাক্স চুরি করে নিয়ে গেলে মুহূর্তের মধ্যেই সে সেন্টার আমরা বন্ধ করে দেব।

২০২৬ সালে সমুদ্রপথে হজ পালন করতে হাজিদের পাঠানোর চেষ্টা করবেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ১৬ বছরের জঞ্জাল ছয় মাসে দূর করা যায় না। আমি হাজিদের জন্য সৌদি আরবের বিমান ভাড়া ১ লাখ ৯৭ হাজার থেকে ১ লাখ ৬৭ হাজারে নামিয়ে এনেছি।

ওখানে ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বসেছি। তারা সাগর দিয়ে জাহাজে হাজি পাঠানোর ব্যাপারে সম্মতি দিয়েছে। কিন্তু আমাদের জাহাজ নেই। ২০২৬ সালে জাহাজে করে হাজি পাঠানোর জন্য প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাব। আমার মন্ত্রণালয়ের কেউ যদি ঘুষ খায়, আমি তাকে সাসপেন্ড করে দেব।

ইসলামী সমাজকল্যাণ পরিষদ, চট্টগ্রামের উদ্যোগে পাঁচ দিনব্যাপী এ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। সমাপনী দিনে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামি চিন্তাবিদ ড. মিজানুর রহমান আজহারী। প্রধান অতিথি ছিলেন আ ফ ম খালিদ হোসেন।

১০ জানুয়ারী ২০২৫
poll_title
সচিবালয়ে আগুন

সচিবালয়ে আগুনের ঘটনা পরিকল্পিত বলে সন্দেহ করছেন অনেকে। আপনি কী মনে করেন?

মোট ভোট: ১২২৮

জাতীয়

বেনজীরের খেলা শেষ? ইন্টারপোলের জালে ধরা সাবেক আইজিপি

গত ১৬ বছর ধরে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কিছু সদস্য দেশকে অস্থিতিশীল করার কাজে লিপ্ত ছিল। বিশেষ করে অন্তত দুই ডজন পুলিশ কর্মকর্তা প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে নিজেদের স্বার্থে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। ক্ষমতাচ্যুত হাসিনা সরকারের পতনের পর, সেই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের অনেকেই পলাতক রয়েছেন। তবে দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র এখনও থামেনি। সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ পলাতক থেকেও […]

বেনজীরের খেলা শেষ? ইন্টারপোলের জালে ধরা সাবেক আইজিপি

ছবি : সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০১:৫৩

গত ১৬ বছর ধরে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কিছু সদস্য দেশকে অস্থিতিশীল করার কাজে লিপ্ত ছিল। বিশেষ করে অন্তত দুই ডজন পুলিশ কর্মকর্তা প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে নিজেদের স্বার্থে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। ক্ষমতাচ্যুত হাসিনা সরকারের পতনের পর, সেই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের অনেকেই পলাতক রয়েছেন। তবে দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র এখনও থামেনি।

সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ পলাতক থেকেও ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে পুলিশের গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে তিনি মানবাধিকার লঙ্ঘন ও দুর্নীতির মতো গুরুতর অনিয়মে জড়িত ছিলেন। সম্প্রতি তিনি ভার্চুয়াল মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সমর্থকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন, যা নতুন ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত বলে মনে করা হচ্ছে।

তবে এবার পরিস্থিতি পাল্টাতে শুরু করেছে। আদালত ইন্টারপোলের মাধ্যমে সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দিয়েছে। ২০২১ সালে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্র র‍্যাবের সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল, যার মধ্যে বেনজীর আহমেদও ছিলেন। নিষেধাজ্ঞার পরও তিনি যুক্তরাষ্ট্র সফর করেছিলেন, তবে এবার পালিয়ে থাকার সুযোগ নেই।

অনেকেই সন্দেহ করছেন, ইন্টারপোলের রেড এলার্ট কতটা কার্যকর হবে। আন্তর্জাতিক অপরাধ পুলিশ সংস্থা বা ইন্টারপোল বিভিন্ন দেশের পুলিশ বাহিনীকে সহযোগিতা করে থাকে। কোনো অপরাধী নিজ দেশ থেকে পালিয়ে অন্য দেশে আশ্রয় নিলে, ইন্টারপোল তাকে ফিরিয়ে আনার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে।


বাংলাদেশ ১৯৭৬ সালে ইন্টারপোলের সদস্যপদ লাভ করে। বর্তমানে ইন্টারপোলের তালিকায় ১৯৫টি দেশের ৬,০৬৯ জনের নাম রেড এলার্টে রয়েছে, যার মধ্যে বাংলাদেশ থেকে ৬৪ জনের নাম অন্তর্ভুক্ত।২০০৯ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে মাত্র ১৫ জন পলাতক আসামিকে দেশে ফেরানো সম্ভব হয়েছে। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হতে চলেছে সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের নাম। প্রশ্ন হচ্ছে, তিনি কি সত্যিই ধরা পড়বেন, নাকি ফেরারির খেলায় আবারও রক্ষা পাবেন?

২৪ জানুয়ারী ২০২৫
poll_title
বাংলাদেশের পুলিশ, র‍্যাব ও আনসারের নতুন ড্রেস

বাংলাদেশের পুলিশ, র‍্যাব ও আনসারের ড্রেস নিয়ে আপনার মতামত কী?

মোট ভোট: ৬৬৭

জাতীয়

মোদীর সকল শর্তই প্রত্যাখান করলো ইউনুস সরকার

বাংলাদেশের ওপর ভারতের চাপ প্রয়োগের কৌশল এবার ব্যর্থ হয়েছে। দিল্লি তিনটি কঠোর শর্ত দিয়েছিল, যার মধ্যে ছিল শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ, ভারতীয় মন্ত্রীদের সঙ্গে রাজনৈতিক আলোচনা নিষিদ্ধ করা, এবং সংখ্যালঘু হিন্দুদের নিরাপত্তা নিয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া। তবে বাংলাদেশ সরকার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, এটি একটি স্বাধীন রাষ্ট্র এবং অন্য কোনো দেশের আধিপত্য মেনে নেওয়া হবে না।ভারতের এই […]

নিউজ ডেস্ক

০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২১:৩৬

বাংলাদেশের ওপর ভারতের চাপ প্রয়োগের কৌশল এবার ব্যর্থ হয়েছে। দিল্লি তিনটি কঠোর শর্ত দিয়েছিল, যার মধ্যে ছিল শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ, ভারতীয় মন্ত্রীদের সঙ্গে রাজনৈতিক আলোচনা নিষিদ্ধ করা, এবং সংখ্যালঘু হিন্দুদের নিরাপত্তা নিয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া।


তবে বাংলাদেশ সরকার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, এটি একটি স্বাধীন রাষ্ট্র এবং অন্য কোনো দেশের আধিপত্য মেনে নেওয়া হবে না।
ভারতের এই হস্তক্ষেপমূলক নীতি শুধু কূটনৈতিকভাবে নয়, দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনীতিতেও নতুন উত্তেজনার সৃষ্টি করেছে।

ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক দীর্ঘদিন ধরেই বৈরী অবস্থায় রয়েছে, বিশেষ করে কাশ্মীর, সীমান্ত সংঘর্ষ, ও নিরাপত্তা ইস্যুগুলোতে।
এই উত্তেজনার মধ্যে বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্কের নতুন উষ্ণতা ভারতকে আরও অস্বস্তিতে ফেলেছে।
সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্যিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ, যা দিল্লির জন্য বড় ধাক্কা।


পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই প্রধানের ঢাকা সফর এবং বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের ইসলামাবাদ সফর প্রমাণ করে, দুই দেশের মধ্যে নতুন সমঝোতা গড়ে উঠছে।
ভারত যদি বাংলাদেশকে চাপে রাখার চেষ্টা চালিয়ে যায়, তবে এটি শুধু বাংলাদেশ নয়, সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনৈতিক ভারসাম্যকেও বদলে দেবে

বাংলাদেশ এখন নতুন বাণিজ্য ও নিরাপত্তা সহযোগিতার জন্য বিকল্প খুঁজছে এবং পাকিস্তান এই ক্ষেত্রে একটি সম্ভাব্য অংশীদার হয়ে উঠছে।
চীন, রাশিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গেও নতুন অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা।


ভারতের আধিপত্যবাদী নীতি মোকাবিলায় এই কৌশল দক্ষিণ এশিয়ায় শক্তির ভারসাম্য পরিবর্তন করতে পারে।


ভারত যদি বাংলাদেশকে শত্রুর চোখে দেখে, তবে বাংলাদেশও কৌশলগতভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাবে এবং নতুন জোট তৈরি করে আঞ্চলিক প্রভাব বাড়াবে।
দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতি এখন এক নতুন মোড় নিতে যাচ্ছে, যেখানে বাংলাদেশ স্বাধীনভাবে নিজের পথ নির্ধারণ করবে, কোনো পরাশক্তির ছায়ায় নয়।

২৪ জানুয়ারী ২০২৫
poll_title
বাংলাদেশের পুলিশ, র‍্যাব ও আনসারের নতুন ড্রেস

বাংলাদেশের পুলিশ, র‍্যাব ও আনসারের ড্রেস নিয়ে আপনার মতামত কী?

মোট ভোট: ৬৬৭

জাতীয়

যুদ্ধাপরাধ ও গণহত্যা বিধান বহাল চায় বিএনপি, বিপক্ষে জামায়াত

সংবিধানে গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের বিচারসংক্রান্ত বিধান বহাল রাখতে চায় বিএনপি। দলটির দাবি, ২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনের বিচারের স্বার্থে এই বিধান অপরিহার্য। অন্যদিকে এই আইনের অপব্যবহার হয়েছে বলে দাবি করে সংশ্লিষ্ট বিধান বাতিলের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। সম্প্রতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। তবে চূড়ান্ত করার আগে বিভিন্ন রাজনৈতিক […]

নিউজ ডেস্ক

১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১২:৫০

সংবিধানে গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের বিচারসংক্রান্ত বিধান বহাল রাখতে চায় বিএনপি। দলটির দাবি, ২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনের বিচারের স্বার্থে এই বিধান অপরিহার্য। অন্যদিকে এই আইনের অপব্যবহার হয়েছে বলে দাবি করে সংশ্লিষ্ট বিধান বাতিলের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে জামায়াতে ইসলামী।

সম্প্রতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। তবে চূড়ান্ত করার আগে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মতামত নেওয়া হয়। কমিশন সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধনের প্রস্তাব দিলে জামায়াতে ইসলামী তার পক্ষে মত দেয় তবে বিএনপি এতে সংস্কার চায়।

এর আগে গত বছরের ২৫ নভেম্বর জামায়াতে ইসলামী তাদের প্রস্তাব সংস্কার কমিশনে জমা দেয়। সেখানে তারা গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের জন্য কোনো ব্যক্তি বা দলের বিচার করার বিধান বাতিলের দাবি জানায়। দলটির ভাষ্যমতে, গত বছরগুলোতে এই আইনের অপব্যবহার করে তাদের বিরুদ্ধে অন্যায় করা হয়েছে।

পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানে যে বিধান যুক্ত হয়েছিল, তাতে অসামরিক ব্যক্তি বা রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের বিচার করার সুযোগ তৈরি হয়। বিএনপি চায়, এই বিধান বহাল থাকুক, যাতে জুলাই আন্দোলনের বিচার নিশ্চিত করা যায়। অন্যদিকে জামায়াত এই বিধান বাতিলের পক্ষে অনড় অবস্থানে রয়েছে।

১০ জানুয়ারী ২০২৫
poll_title
সচিবালয়ে আগুন

সচিবালয়ে আগুনের ঘটনা পরিকল্পিত বলে সন্দেহ করছেন অনেকে। আপনি কী মনে করেন?

মোট ভোট: ১২২৮