রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

জাতীয়

আদালতে কনস্টেবল জয়ের হুংকার থেমে যায় রিমান্ডে

কনস্টেবল শোয়াইবুর রহমান জয়। চাকরি করছেন ১৬ বছর ধরে। এরমধ্যে ১২ বছর তিনি ইউনিফর্মে কোনো ডিউটি করেননি। পুলিশ নাট্যদলের অভিনেতা হিসাবে শেখ কামালের চরিত্রে অভিনয় করতেন। অভিনয় করতে করতে বাস্তবেও তিনি ছিলেন শেখ কামালের ভূমিকায়। শেখ কামালের মতোই গোঁফ। বিভিন্ন উৎসব-পার্বণে তিনি শুভেচ্ছা জানিয়ে যেসব পোস্টার ও ব্যনার তৈরি করেছেন সেগুলোর মূল স্লোগান ছিল-‘জয় বাংলা/জয় […]

নিউজ ডেস্ক

১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৬:৩১

কনস্টেবল শোয়াইবুর রহমান জয়। চাকরি করছেন ১৬ বছর ধরে। এরমধ্যে ১২ বছর তিনি ইউনিফর্মে কোনো ডিউটি করেননি। পুলিশ নাট্যদলের অভিনেতা হিসাবে শেখ কামালের চরিত্রে অভিনয় করতেন। অভিনয় করতে করতে বাস্তবেও তিনি ছিলেন শেখ কামালের ভূমিকায়। শেখ কামালের মতোই গোঁফ। বিভিন্ন উৎসব-পার্বণে তিনি শুভেচ্ছা জানিয়ে যেসব পোস্টার ও ব্যনার তৈরি করেছেন সেগুলোর মূল স্লোগান ছিল-‘জয় বাংলা/জয় বঙ্গবন্ধু’। পোস্টার-ব্যানারের ওপরের দিকে শোভা পেত শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ হাসিনার ছবি।

 

প্রজাতন্ত্রের একজন কর্মচারী হিসাবে তার এ ধরনের পোস্টার ব্যানার নিয়ে বিভিন্ন সময়ে সমালোচনা হলেও এতদিন তার কিছুই হয়নি। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর পুলিশে বিদ্রোহের চেষ্টা হয়েছিল জয়ের নেতৃত্বেই। তিনি সিনিয়র পুলিশ সদস্যদের কোনো তোয়ক্কা করতেন না। এমনকি আইজিপিকে তিনি ডাকতেন ‘আইজি সাব’ বলে। ‘পরাক্রমশালী’ এই কনস্টেবল অবশেষ ধরা পড়েছেন। রোববার তাকে গ্রেফতারের পর সোমবার তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।

 

গ্রেফতারের পর আদালতেও তিনি দিয়েছেন হুংকার। তবে রিমান্ডে নেওয়ার পর থেমে গেছে সেই হুংকার। তিনি অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য দিচ্ছেন। সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র এসব তথ্য জানিয়েছে। রিমান্ডে জয়ের দেওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা বলেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর যে নতুন সরকার গঠন করা হয় সেই সরকারকে বিপদে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল। জয় জানিয়েছে, ১৫ বছরে পুলিশে বেশকিছু লোক তৈরি হয়েছে, যারা পুলিশের পোশাক পরলেও কাজ করেছেন দলীয় নেতাদের মতো। তারা পুলিশ নামধারী মটিভেটেড দলীয় কর্মী। সরকার পতনের পর ওইসব পুলিশ সদস্যই পুলিশে বিদ্বেষ ছড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে। তাদের নির্দেশেই তিনি পুলিশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা চালিয়েছেন।

রিমান্ডে জয় জানিয়েছেন, ডিএমপির সাবেক কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তার নির্দেশনা পেয়েই তিনি বেপরোয়া হয়ে উঠেন। সরকার পতনের পর পরই রাজারবাগ পুলিশ লাইনে বিদ্রোহের চেষ্টা চালিয়েছেন। আইজিপি ময়নুল ইসলাম ও ডিএমপি কমিশনার মো. মাইনুল হাসানসহ সিনিয়র কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে গিয়ে আশ্বস্ত করার পরও কেন রাজারবাগ অশান্ত ছিল-এমন প্রশ্নের জবাবে জয় ডিবিকে জানিয়েছে, ‘বিশেষ উদ্দেশেই পুলিশে অস্থিরতা সৃষ্টির প্রচেষ্টা চালানো হয়েছিল।’ রাজারবাগে আন্দোলন জোরদার করতে এসপি ও ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের মোবাইলে ফোন করেও আন্দোলনে যোগদান করার জন্য হুমকি দেওয়া হয় বলে জয় স্বীকার করেছেন।

পুলিশ জানিয়েছে, জয় ও তার সহযোগীরা বিভিন্ন শ্রেণি ও সম্প্রদায়ের মধ্যে শত্রুতা সৃষ্টি এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে উসকানিমূলক বার্তা পোস্ট দিয়েছে। হঠাৎ পুলিশের ‘নেতা’ বনে যাওয়া কনস্টেবল জয়ের অতীত কর্মকাণ্ড খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ডিবি জানায়, পুলিশের পলাতক শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিচার এবং তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার দাবি যখন জোরালো হচ্ছে তখন নেতা সেজে সারা দেশের পুলিশ সদস্যদের বিভ্রান্ত করার ব্যর্থ চেষ্টা চালিয়েছেন জয়।

ড. ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর পুলিশের একাংশের কর্মবিরতি চলাকালে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে জয়ের বার্তা ছিল, ‘কর্মবিরতি চলছে, চলবে; কেউ গায়ে ইউনিফর্ম লাগাবেন না, নিজেদের নিরাপত্তার স্বার্থে লাইনে সিভিল পোশাকে ডিউটি চলবে, লাইনের বাইরে কেউ ডিউটিতে যাবেন না, যে যেখানে আছেন সে সেখানে অবস্থান করবেন, ঢাকার মধ্যে যারা আছেন তারা রাজারবাগে উপস্থিত হবেন, ১১ দফা দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত পুলিশের স্বাভাবিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে-ভয়, হুমকি, গরহাজির একযোগে প্রতিহত করবেন।’

ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (প্রশাসন) ফারুক আহমেদ বলেন, পুলিশে চাকরি করতে হলে অবশ্যই শৃঙ্খলা মেনে চলতে হবে। এটা সিবিএ অফিস না। যখন তখন আন্দোলনে নামা যাবে না। অনেকের দাবি-দাওয়া থাকতে পারে। সেগুলো যথাযথ প্রক্রিয়ায় উপস্থাপন করতে হবে। পুলিশের কল্যাণে যা যা প্রয়োজন সবই করা হবে। কিন্তু বিশৃঙ্খলা সহ্য করা হবে না। তিনি বলেন, সামনের দিনগুলোতে পুলিশিং হবে জনগণের। যারা জনবান্ধব পুলিশিং করতে চায়, তারাই টিকে থাকবে। আর যারা কোনো বিশেষ দলের হয়ে কাজ করতে চায় তাদের জন্য পুলিশিং না। তারা চাইলে চাকরি ছেড়ে রাজনৈতিক দলে যোগ দিতে পারেন। গ্রেফতারকৃত জয়ের কাছ থেকে অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। তদন্তের স্বার্থে এই মুহূর্তে কিছু বলা যাচ্ছে না।

১০ জানুয়ারী ২০২৫
poll_title
সচিবালয়ে আগুন

সচিবালয়ে আগুনের ঘটনা পরিকল্পিত বলে সন্দেহ করছেন অনেকে। আপনি কী মনে করেন?

মোট ভোট: ১২১১

জাতীয়

বেনজীরের খেলা শেষ? ইন্টারপোলের জালে ধরা সাবেক আইজিপি

গত ১৬ বছর ধরে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কিছু সদস্য দেশকে অস্থিতিশীল করার কাজে লিপ্ত ছিল। বিশেষ করে অন্তত দুই ডজন পুলিশ কর্মকর্তা প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে নিজেদের স্বার্থে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। ক্ষমতাচ্যুত হাসিনা সরকারের পতনের পর, সেই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের অনেকেই পলাতক রয়েছেন। তবে দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র এখনও থামেনি। সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ পলাতক থেকেও […]

বেনজীরের খেলা শেষ? ইন্টারপোলের জালে ধরা সাবেক আইজিপি

ছবি : সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০১:৫৩

গত ১৬ বছর ধরে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কিছু সদস্য দেশকে অস্থিতিশীল করার কাজে লিপ্ত ছিল। বিশেষ করে অন্তত দুই ডজন পুলিশ কর্মকর্তা প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে নিজেদের স্বার্থে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। ক্ষমতাচ্যুত হাসিনা সরকারের পতনের পর, সেই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের অনেকেই পলাতক রয়েছেন। তবে দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র এখনও থামেনি।

সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ পলাতক থেকেও ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে পুলিশের গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে তিনি মানবাধিকার লঙ্ঘন ও দুর্নীতির মতো গুরুতর অনিয়মে জড়িত ছিলেন। সম্প্রতি তিনি ভার্চুয়াল মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সমর্থকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন, যা নতুন ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত বলে মনে করা হচ্ছে।

তবে এবার পরিস্থিতি পাল্টাতে শুরু করেছে। আদালত ইন্টারপোলের মাধ্যমে সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দিয়েছে। ২০২১ সালে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্র র‍্যাবের সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল, যার মধ্যে বেনজীর আহমেদও ছিলেন। নিষেধাজ্ঞার পরও তিনি যুক্তরাষ্ট্র সফর করেছিলেন, তবে এবার পালিয়ে থাকার সুযোগ নেই।

অনেকেই সন্দেহ করছেন, ইন্টারপোলের রেড এলার্ট কতটা কার্যকর হবে। আন্তর্জাতিক অপরাধ পুলিশ সংস্থা বা ইন্টারপোল বিভিন্ন দেশের পুলিশ বাহিনীকে সহযোগিতা করে থাকে। কোনো অপরাধী নিজ দেশ থেকে পালিয়ে অন্য দেশে আশ্রয় নিলে, ইন্টারপোল তাকে ফিরিয়ে আনার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে।


বাংলাদেশ ১৯৭৬ সালে ইন্টারপোলের সদস্যপদ লাভ করে। বর্তমানে ইন্টারপোলের তালিকায় ১৯৫টি দেশের ৬,০৬৯ জনের নাম রেড এলার্টে রয়েছে, যার মধ্যে বাংলাদেশ থেকে ৬৪ জনের নাম অন্তর্ভুক্ত।২০০৯ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে মাত্র ১৫ জন পলাতক আসামিকে দেশে ফেরানো সম্ভব হয়েছে। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হতে চলেছে সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের নাম। প্রশ্ন হচ্ছে, তিনি কি সত্যিই ধরা পড়বেন, নাকি ফেরারির খেলায় আবারও রক্ষা পাবেন?

২৪ জানুয়ারী ২০২৫
poll_title
বাংলাদেশের পুলিশ, র‍্যাব ও আনসারের নতুন ড্রেস

বাংলাদেশের পুলিশ, র‍্যাব ও আনসারের ড্রেস নিয়ে আপনার মতামত কী?

মোট ভোট: ৬৫০

জাতীয়

মোদীর সকল শর্তই প্রত্যাখান করলো ইউনুস সরকার

বাংলাদেশের ওপর ভারতের চাপ প্রয়োগের কৌশল এবার ব্যর্থ হয়েছে। দিল্লি তিনটি কঠোর শর্ত দিয়েছিল, যার মধ্যে ছিল শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ, ভারতীয় মন্ত্রীদের সঙ্গে রাজনৈতিক আলোচনা নিষিদ্ধ করা, এবং সংখ্যালঘু হিন্দুদের নিরাপত্তা নিয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া। তবে বাংলাদেশ সরকার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, এটি একটি স্বাধীন রাষ্ট্র এবং অন্য কোনো দেশের আধিপত্য মেনে নেওয়া হবে না।ভারতের এই […]

নিউজ ডেস্ক

০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২১:৩৬

বাংলাদেশের ওপর ভারতের চাপ প্রয়োগের কৌশল এবার ব্যর্থ হয়েছে। দিল্লি তিনটি কঠোর শর্ত দিয়েছিল, যার মধ্যে ছিল শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ, ভারতীয় মন্ত্রীদের সঙ্গে রাজনৈতিক আলোচনা নিষিদ্ধ করা, এবং সংখ্যালঘু হিন্দুদের নিরাপত্তা নিয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া।


তবে বাংলাদেশ সরকার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, এটি একটি স্বাধীন রাষ্ট্র এবং অন্য কোনো দেশের আধিপত্য মেনে নেওয়া হবে না।
ভারতের এই হস্তক্ষেপমূলক নীতি শুধু কূটনৈতিকভাবে নয়, দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনীতিতেও নতুন উত্তেজনার সৃষ্টি করেছে।

ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক দীর্ঘদিন ধরেই বৈরী অবস্থায় রয়েছে, বিশেষ করে কাশ্মীর, সীমান্ত সংঘর্ষ, ও নিরাপত্তা ইস্যুগুলোতে।
এই উত্তেজনার মধ্যে বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্কের নতুন উষ্ণতা ভারতকে আরও অস্বস্তিতে ফেলেছে।
সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্যিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ, যা দিল্লির জন্য বড় ধাক্কা।


পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই প্রধানের ঢাকা সফর এবং বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের ইসলামাবাদ সফর প্রমাণ করে, দুই দেশের মধ্যে নতুন সমঝোতা গড়ে উঠছে।
ভারত যদি বাংলাদেশকে চাপে রাখার চেষ্টা চালিয়ে যায়, তবে এটি শুধু বাংলাদেশ নয়, সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনৈতিক ভারসাম্যকেও বদলে দেবে

বাংলাদেশ এখন নতুন বাণিজ্য ও নিরাপত্তা সহযোগিতার জন্য বিকল্প খুঁজছে এবং পাকিস্তান এই ক্ষেত্রে একটি সম্ভাব্য অংশীদার হয়ে উঠছে।
চীন, রাশিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গেও নতুন অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা।


ভারতের আধিপত্যবাদী নীতি মোকাবিলায় এই কৌশল দক্ষিণ এশিয়ায় শক্তির ভারসাম্য পরিবর্তন করতে পারে।


ভারত যদি বাংলাদেশকে শত্রুর চোখে দেখে, তবে বাংলাদেশও কৌশলগতভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাবে এবং নতুন জোট তৈরি করে আঞ্চলিক প্রভাব বাড়াবে।
দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতি এখন এক নতুন মোড় নিতে যাচ্ছে, যেখানে বাংলাদেশ স্বাধীনভাবে নিজের পথ নির্ধারণ করবে, কোনো পরাশক্তির ছায়ায় নয়।

১০ জানুয়ারী ২০২৫
poll_title
সচিবালয়ে আগুন

সচিবালয়ে আগুনের ঘটনা পরিকল্পিত বলে সন্দেহ করছেন অনেকে। আপনি কী মনে করেন?

মোট ভোট: ১২১১

জাতীয়

যুদ্ধাপরাধ ও গণহত্যা বিধান বহাল চায় বিএনপি, বিপক্ষে জামায়াত

সংবিধানে গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের বিচারসংক্রান্ত বিধান বহাল রাখতে চায় বিএনপি। দলটির দাবি, ২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনের বিচারের স্বার্থে এই বিধান অপরিহার্য। অন্যদিকে এই আইনের অপব্যবহার হয়েছে বলে দাবি করে সংশ্লিষ্ট বিধান বাতিলের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। সম্প্রতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। তবে চূড়ান্ত করার আগে বিভিন্ন রাজনৈতিক […]

নিউজ ডেস্ক

১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১২:৫০

সংবিধানে গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের বিচারসংক্রান্ত বিধান বহাল রাখতে চায় বিএনপি। দলটির দাবি, ২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনের বিচারের স্বার্থে এই বিধান অপরিহার্য। অন্যদিকে এই আইনের অপব্যবহার হয়েছে বলে দাবি করে সংশ্লিষ্ট বিধান বাতিলের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে জামায়াতে ইসলামী।

সম্প্রতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। তবে চূড়ান্ত করার আগে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মতামত নেওয়া হয়। কমিশন সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধনের প্রস্তাব দিলে জামায়াতে ইসলামী তার পক্ষে মত দেয় তবে বিএনপি এতে সংস্কার চায়।

এর আগে গত বছরের ২৫ নভেম্বর জামায়াতে ইসলামী তাদের প্রস্তাব সংস্কার কমিশনে জমা দেয়। সেখানে তারা গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের জন্য কোনো ব্যক্তি বা দলের বিচার করার বিধান বাতিলের দাবি জানায়। দলটির ভাষ্যমতে, গত বছরগুলোতে এই আইনের অপব্যবহার করে তাদের বিরুদ্ধে অন্যায় করা হয়েছে।

পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানে যে বিধান যুক্ত হয়েছিল, তাতে অসামরিক ব্যক্তি বা রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের বিচার করার সুযোগ তৈরি হয়। বিএনপি চায়, এই বিধান বহাল থাকুক, যাতে জুলাই আন্দোলনের বিচার নিশ্চিত করা যায়। অন্যদিকে জামায়াত এই বিধান বাতিলের পক্ষে অনড় অবস্থানে রয়েছে।

১০ জানুয়ারী ২০২৫
poll_title
সচিবালয়ে আগুন

সচিবালয়ে আগুনের ঘটনা পরিকল্পিত বলে সন্দেহ করছেন অনেকে। আপনি কী মনে করেন?

মোট ভোট: ১২১১