নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, ভোটার তালিকা হালনাগাদ করে আগামী মে-জুন মাসের মধ্যেই নির্বাচনের জন্য ইসি পরিপূর্ণভাবে প্রস্তুত হবে।
তিনি বলেন, ইসি এই মুহূর্তে কী করছে, জাতীয় নির্বাচনের বিষয়ে প্রস্তুতি কী, এ বিষয়গুলো নিয়েই কমিশনের সঙ্গে তারা মতবিনিময় করেছেন।
দেশের প্রচলিত সংবিধান ও আইন অনুযায়ী সরকার পদত্যাগ করলে ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন হওয়ার বিষয়টি তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘কিন্তু এখন তো ওই আইনে দেশ চলছে না, তাই না। এই মুহূর্তে তাহলে পলিটিক্যাল কনসেনসাসের ভিত্তিতে সরকারের তরফ থেকে অনুরোধ হতে হবে এবং তার ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন নির্বাচন অনুষ্ঠান করবেন।
তবে এতটুকু বুঝেছি যে, যদি মে-জুন মাসের মধ্যে পূর্ণ প্রস্তুতি থাকে তাহলে প্রাসঙ্গিক আর কোনো সমস্যা থাকলে সেটা দূর করে খুব দ্রুতই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব।’
কবে নাগাদ নির্বাচন হতে পারে, আভাস মিলেছে কি না- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘না। নির্বাচনের ঘোষণা তো উনারা করতে পারেন না। কারণ সংবিধানের নরমাল নিয়ম অনুযায়ী সেই নির্বাচন হচ্ছে না।’
আপনারা নির্বাচনের ব্যাপারে কোনো প্রস্তাব দিয়েছেন? এ প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমরা কোনো প্রস্তাব দেইনি। আমরা তো উনাদের কাছে এটা বলব না।’
রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর গত নভেম্বরে অবসরপ্রাপ্ত সচিব এ এম এম নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়। তাদের দায়িত্ব নেওয়ার পর এটিই বিএনপির সঙ্গে প্রথম বৈঠক।
বিএনপির প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ ও সেলিমা রহমান।
আর সিইসি ছাড়াও নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, আবদুর রহমানেল মাসুদ, বেগম তহমিদা আহমদ এবং অবসারপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বৈঠকে ছিলেন। ইসি সচিব আখতার আহমেদও ছিলেন বৈঠকে।

বাংলাদেশের পুলিশ, র্যাব ও আনসারের ড্রেস নিয়ে আপনার মতামত কী?