বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

আইন-আদালত

অভিযুক্ত সেনা কর্মকর্তাদের কোন জেলে রাখা হবে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার : তাজুল ইসলাম

মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দায়ের করা ৩ মামলায় সেনা কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। তাদের কোন জেলে বা সাব জেলে রাখা হবে তার সিদ্ধান্ত কারা কর্তৃপক্ষ বা সরকার নেবে। বুধবার (২২ অক্টোবর) সকালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। আসামিদের কোন জেলে রাখা হবে, এমন […]

অভিযুক্ত সেনা কর্মকর্তাদের কোন জেলে রাখা হবে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার : তাজুল ইসলাম

ছবি : সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

২২ অক্টোবর ২০২৫, ১১:৪৪

মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দায়ের করা ৩ মামলায় সেনা কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। তাদের কোন জেলে বা সাব জেলে রাখা হবে তার সিদ্ধান্ত কারা কর্তৃপক্ষ বা সরকার নেবে।

বুধবার (২২ অক্টোবর) সকালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

আসামিদের কোন জেলে রাখা হবে, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তাদের কাস্টডিতে প্রেরণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কাস্টডিতে প্রেরণ মানে হচ্ছে কারা কর্তৃপক্ষের অধীনে তারা চলে যাবেন। কারা কর্তৃপক্ষ তাদের কোথায় রাখবেন অর্থাৎ কোন জেলে রাখবেন, কোন সাব জেলে রাখবেন, ঢাকায় রাখবেন না চট্টগ্রামে পাঠাবেন, না অন্য কোথাও রাখবেন৷ এটা যথাযথ কারা কর্তৃপক্ষের অর্থাৎ সরকারের।

তাজুল ইসলাম বলেন, আদালতের কাজ হচ্ছে তাদের কাস্টডিতে পাঠিয়ে দেওয়া। কাস্টডিটা মেইনটেইন করেন রাষ্ট্র বা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অথবা স্পেসিফিক্যালি কারা অধিদপ্তর। সুতরাং কারা কর্তৃপক্ষ তাদের কোন কারাগারে রাখবেন সেটা তারাই নির্ধারণ করবে।

চিফ প্রসিকিউটর বলেন, কারা কর্তৃপক্ষ কোন আসামিকে কি পদ্ধতিতে আদালতে হাজির করবেন, এটা কারা কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত। এই ব্যাপারে আমাদের কিছুই বলার নেই।

আইন-আদালত

সেনাবাহিনীর হাতে গ্রেফতারের ক্ষমতা নেই : তাজুল ইসলাম

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মানেই পুলিশ উল্লেখ করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেছেন, সেনাবাহিনীর হাতে গ্রেফতারের ক্ষমতা নেই। ঢাকা সেনানিবাসের একটি ভবনকে ‘অস্থায়ী কারাগার’ ঘোষণার প্রসঙ্গে সোমবার (১৩ অক্টোবর) ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘আসামিকে যদি গ্রেফতার করা হয়, তাহলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আদালতে […]

সেনাবাহিনীর হাতে গ্রেফতারের ক্ষমতা নেই : তাজুল ইসলাম

ছবি : সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

১৪ অক্টোবর ২০২৫, ১০:৪২

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মানেই পুলিশ উল্লেখ করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেছেন, সেনাবাহিনীর হাতে গ্রেফতারের ক্ষমতা নেই।

ঢাকা সেনানিবাসের একটি ভবনকে ‘অস্থায়ী কারাগার’ ঘোষণার প্রসঙ্গে সোমবার (১৩ অক্টোবর) ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘আসামিকে যদি গ্রেফতার করা হয়, তাহলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আদালতে আনতে হবে। সেটা সংবিধান, ট্রাইব্যুনাল আইন ও ফৌজদারি কার্যবিধিতে আছে। তারপর আদালত তাকে যেখানে রাখতে বলবেন সেখানে রাখবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘কোন জায়গাকে কারাগার হিসেবে ঘোষণা করা হবে সেটা প্রসিকিউশন বা তদন্ত সংস্থার বিবেচ্য বিষয় নয়, আমাদের বিবেচ্য বিষয় হলো আইন অনুযায়ী কাজটা করতে হবে।’

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমি এখন পর্যন্ত জানি না যে আদৌ কোনও সাবজেল ঘোষণা হয়েছে কিনা। কোনও ডকুমেন্ট আমার হাতে নেই। যদি সরকার কোনও নির্দিষ্ট জায়গাকে সাবজেল ডিক্লেয়ার করে, সরকারের সেই ক্ষমতা আছে। কোন জায়গাটাকে তারা জেল ঘোষণা করবেন, সেটা সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আওতাভুক্ত।’

তবে সরাসরি কাউকে জেলে নেওয়ার বিধান নেই বলে উল্লেখ করে তাজুল ইসলাম বলেন, ‘আসামিকে গ্রেফতার করে আদালতে আনতে হবে। আদালতে আনার পর আদালত যদি অর্ডার দিয়ে বলেন—কারাগারে পাঠান, তখন কারাগার বলতে সেটা কেন্দ্রীয় কারাগারও হতে পারে, সেটা জাতীয় সংসদ ভবনের মধ্যেও হতে পারে, এমপি হোস্টেল হতে পারে বা অন্য কোনও জায়গাকেও যদি সরকার কারাগার ঘোষণা করেন, সে জায়গায় পাঠানো যেতে পারে।’

এর আগে গত ১২ অক্টোবর ঢাকা সেনানিবাসের একটি ভবনকে সাময়িকভাবে ‘কারাগার’ ঘোষণা করে সরকার।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে সেনা হেফাজতে নেওয়ার পর এ সিদ্ধান্ত এসেছে। রবিবার এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কারা-১ শাখা।

উল্লেখ্য, জুলাই গণঅভ্যুত্থানসহ বিগত সরকারের আমলে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে সম্প্রতি সাবেক ও বর্তমান ২৪ সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ২১ অক্টোবরের মধ্যে তাদের গ্রেফতার করে ২২ অক্টোবর ট্রাইব্যুনালে হাজির করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আদেশ দেওয়া হয়।

এরপর গত ১১ অক্টোবর ঢাকা সেনানিবাসের মেসে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সামরিক বাহিনীর সদস্যদের মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সেনাবাহিনীর অ্যাডজুট্যান্ট জেনারেল মেজর জেনারেল মো. হাকিমুজ্জামান জানান, যেসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে চার্জশিট হয়েছে তাদের মধ্যে ১৫ জন কর্মকর্তা ঢাকায় সেনা হেফাজতে আছেন।

আইন-আদালত

১৫ সেনা কর্মকর্তার আইনজীবী থাকছেন না ব্যারিস্টার সরোয়ার

আওয়ামী লীগ শাসনামলে টিএফআই-জেআইসি সেলে গুম-খুনসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের পৃথক তিনটি মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারের মুখোমুখি ১৫ জন সেনা কর্মকর্তার আইনজীবী থাকছেন না ব্যারিস্টার এম সরোয়ার হোসেন। বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, আমি যে গুমের অভিযোগ দায়ের করেছিলাম, গ্রেফতার হওয়া ১৫ কর্মকর্তার মধ্যে একজন রয়েছেন। তাই আর আইনি […]

১৫ সেনা কর্মকর্তার আইনজীবী থাকছেন না ব্যারিস্টার সরোয়ার

ছবি : সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

২৩ অক্টোবর ২০২৫, ১৫:২৯

আওয়ামী লীগ শাসনামলে টিএফআই-জেআইসি সেলে গুম-খুনসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের পৃথক তিনটি মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারের মুখোমুখি ১৫ জন সেনা কর্মকর্তার আইনজীবী থাকছেন না ব্যারিস্টার এম সরোয়ার হোসেন।

বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, আমি যে গুমের অভিযোগ দায়ের করেছিলাম, গ্রেফতার হওয়া ১৫ কর্মকর্তার মধ্যে একজন রয়েছেন। তাই আর আইনি লড়াইয়ে থাকছি না।

জানা গেছে, ট্রাইব্যুনাল ও গুম কমিশনে সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) এস এম শফিউদ্দিন আহমেদসহ সাবেক তিন সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিজেই অভিযোগ দায়ের করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও সাবেক সেনা কর্মকর্তা ব্যারিস্টার এম সরোয়ার হোসেন। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন তাদেরই একজন এই ১৫ জনের মধ্যে গ্রেফতার আছেন।

এর আগে বুধবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ ১৫ সেনা কর্মকর্তার পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সরোয়ার।

আইন-আদালত

ফয়াসলই আমাকে হাদির কাছে নিয়ে গিয়েছিল : ফয়সালের সহযোগী

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ফয়সাল করিম মাসুদের ঘনিষ্ঠ সহযোগী মো. কবির আদালতে দাবি করেছেন, তিনি ফয়সালের গাড়ি চালাতেন এবং ফয়সালই তাকে হাদির কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন। ঘটনার বিষয়ে এর বাইরে তিনি আর কিছু জানেন না বলে আদালতকে জানান কবির। মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) বিকেলে রিমান্ড শুনানিতে এসব কথা বলেন তিনি। শুনানি […]

নিউজ ডেস্ক

১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২:০২

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ফয়সাল করিম মাসুদের ঘনিষ্ঠ সহযোগী মো. কবির আদালতে দাবি করেছেন, তিনি ফয়সালের গাড়ি চালাতেন এবং ফয়সালই তাকে হাদির কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন। ঘটনার বিষয়ে এর বাইরে তিনি আর কিছু জানেন না বলে আদালতকে জানান কবির।

মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) বিকেলে রিমান্ড শুনানিতে এসব কথা বলেন তিনি। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হাসিবুজ্জামানের আদালত কবিরের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে গত রোববার রাতে নারায়ণগঞ্জে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। মঙ্গলবার বিকাল ৪টা ৫৩ মিনিটে রিমান্ড শুনানি শুরু হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।

শুনানিতে তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনায় দেখা যায়—আসামি কবির ফয়সাল করিম মাসুদসহ অন্যদের সঙ্গে ওসমান হাদির কালচারাল সেন্টারে যান। হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি কবিরের মালিকানাধীন বলে উল্লেখ করেন তিনি। মামলার সুষ্ঠু তদন্ত এবং পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারের স্বার্থে ১০ দিনের রিমান্ড প্রয়োজন বলে আদালতকে অবহিত করেন তদন্ত কর্মকর্তা।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. কাইয়ুম হোসেন নয়ন রিমান্ডের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে বলেন, আসামি কবির আদাবর থানার স্বেচ্ছাসেবক লীগের ১ নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক। মোটরসাইকেলযোগে হাদিকে গুলি করা হয়েছে এবং তার জীবন এখনো সংকটাপন্ন। তিনি আরও বলেন, ঘটনার পর সংশ্লিষ্টদের ছবি ভাইরাল হলে কবির আত্মগোপনে যান। হত্যাচেষ্টার সঙ্গে আর কারা জড়িত, তা জানতে রিমান্ড প্রয়োজন।

এ সময় বিচারক কাঠগড়ায় দাঁড়ানো কবিরের বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, “স্যার, আমি ১৮ দিন আগে উনার (ফয়সাল) গাড়ি ও পাঠাও চালাতাম। উনি আমাকে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যেতেন। উনিই আমাকে হাদির কাছে নিয়ে যান। ফুটেজে আমাকে দেখা গেছে—এর বাইরে আমি আর কিছুই জানি না।”

উল্লেখ্য, গত ১২ ডিসেম্বর পুরানা পল্টনের বক্স-কালভার্ট রোডে মোটরসাইকেল আরোহীরা ওসমান হাদির মাথায় গুলি করে পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে, পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়।

উন্নত চিকিৎসার জন্য ১৫ ডিসেম্বর তাকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়েছে। একই ঘটনায় মোটরসাইকেলের মালিক মো. আব্দুল হান্নানসহ ফয়সালের স্ত্রী সাহেদা পারভীন সামিয়া, শ্যালক ওয়াহিদ আহমেদ সিপু ও বান্ধবী মারিয়া আক্তার লিমার রিমান্ডও মঞ্জুর করেছেন আদালত।