মো: মেহেদী হাসান শাওন
গতকাল ১০ জানুয়ারি ২০২৫ (শুক্রবার) বিকেল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত রাজধানী ঢাকার মুগদায় কমলাপুর স্টেডিয়াম সংলগ্ন মাঠে আয়োজিত হয়েছে আন্তর্জাতিক কিরাত ও নাশিদ সম্মেলন।
মারকাযুল ফুরকান শিক্ষা পরিবার হাফেজ ছাত্রদের পাগড়ি প্রদান উপলক্ষ্যে আয়োজিত এ আন্তর্জাতিক কিরাত ও নাশিদ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেছেন বিশ্বব্যাপী খ্যাতনামা কারীগণ। আমন্ত্রিত বিদেশি কারিগণ হলেন, আনোয়ারুল হাসান শাহ বুখারী (পাকিস্তান) আতা আব্দুল আলিম রসূলী (মালয়েশিয়া) হাদী ইসফিদানি (ইরান) মুখতার মোহাম্মদ আব্দুল আজিজ (ইরাক) হাফিজ আবু মোহাম্মদ আসাদ (ভারত)।
বাংলাদেশি ক্বারিগণের মধ্যে ছিলেন, মাওলানা সাইফুল ইসলাম আসাদ, হাফেজ মো. ইমরান হাসান, মাওলানা মুজিবুর রহমান, সুন্দর কণ্ঠে ইসলামি নাশিদ পরিবেশনা উপস্থাপনের জন্য সম্মেলনে অংশ নেবেন দেশের প্রখ্যাত শিল্পীগণ, থাকবেন, কাজী আল আমিন, মুহাম্মদ আহসান, মাওলানা রাশেদ, সাদিক আল কোরাইশী, মুহাম্মদ আব্দুর রহমান, মুহাম্মদ ইমামুল হকসহ আরও অনেক সুনামধন্য ব্যক্তিবর্গ ।
অনুষ্ঠানে দেশ বিদেশ থেকে আগত ক্বারীগন মনেমুগ্ধকর কুরআন তিলাওয়াত পেশ করে উপস্থিত দর্শক ও শ্রোতাদের মন কেরে নেন।
উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ড. আনম এহছানুল হক মিলন এবং সাবেক ধর্ম প্রতিমন্ত্রী কাজী শাহ মোজাম্মেল হোসাইন কায়কোবাদ। এসময় তাদের মারকাযুল ফুরকান শিক্ষা পরিবার পক্ষ থেকে পাগড়ি পরিয়ে সম্মানিত করা হয়। রাত ১২ টার দিকে অনুষ্ঠানে যোগ দেন গনঅধিকার পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল হক নুর ( সাবেক ঢাবি ভিপি)।
সাবেক ধর্মপ্রতিমন্ত্রী কায়কোবাদ উপস্থিত সবার উদ্দেশ্যে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে, দেশে যেকোনো চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে আহবান জানান এবং দেশে কুরআন ও হাদিসপন্থী আইন পাশ করার পক্ষে থাকার কথা বলেন।
আন্তর্জাতিক কিরাত ও নাশিদ সম্মেলনে সভাপতি হিসেবে সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, খ্যাতিমান ওয়ায়েজ আলহাজ্ব মাওলানা খালিদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবী (উপদেষ্টা, মারকাযুল ফুরকান শিক্ষা পরিবার)। উপদেষ্টা হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন আলহাজ্ব মাওলানা এরশাদুল হক।
অনুষ্ঠানের আয়োজকরা জানান, এ সম্মেলনের মূল উদ্দেশ্য ইসলামি সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, শিক্ষার প্রচার ও প্রসার ঘটানো। হাফেজ ছাত্রদের কঠোর পরিশ্রম ও সাফল্যের প্রতি সম্মান জানানো হবে এ অনুষ্ঠানের অন্যতম বৈশিষ্ট্য।
এ আন্তর্জাতিক কিরাত সম্মেলনের আয়োজক মারকাযুল ফুরকান শিক্ষা পরিবারের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মুহাম্মদ মোশাররফ হোসাইন মাহমুদ গনমাধ্যমে বলেন, “এ আন্তর্জাতিক সম্মেলনের মাধ্যমে আমরা বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে খ্যাতনামা কারি ও শিল্পীদের একত্রিত করে কুরআনের সুমধুর তিলাওয়াত ও ইসলামি সংগীতের মাধ্যমে মানুষকে অনুপ্রাণিত করতে চাই।”
তিনি আরও বলেন, “আমাদের উদ্দেশ্য শুধু একটি অনুষ্ঠান আয়োজন নয়, বরং ইসলামি চেতনাকে সবার হৃদয়ে পৌঁছে দেয়া। হাফেজ ছাত্রদের পাগড়ি প্রদান আমাদের প্রতিষ্ঠানটির অন্যতম গর্বিত উদ্যোগ, যা তাদের অধ্যবসায় ও সাফল্যের প্রতি সম্মান জানায়। এতে দেশের লাখো মানুষ তাদের সন্তানদের কোরআনে হাফেজ বানাতে আগ্রহী হবে বলে আমি মনে করি।”