রবিবার, ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

ইসলাম ও জীবন

যেভাবে শবে বরাতের রাতে ইবাদত করতে হবে

শাবান মাসের ১৫তম রাত, বা ‘শবে বরাত’, বিশেষ একটি বরকতময় রাত, যা মুসলিমদের জন্য ইবাদত ও তাওবা করার এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সময়। এই রাতে আল্লাহ তায়ালা তাঁর বান্দাদের প্রতি বিশেষ রহমত ও দয়া বর্ষণ করেন। তবে, এ রাতের বরকত লাভের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ আমল রয়েছে, যেগুলো মুমিনের পালন করা উচিত। ১.আল্লাহর সাথে অংশীদার স্থাপন না […]

নিউজ ডেস্ক

০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২১:৩১


শাবান মাসের ১৫তম রাত, বা ‘শবে বরাত’, বিশেষ একটি বরকতময় রাত, যা মুসলিমদের জন্য ইবাদত ও তাওবা করার এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সময়। এই রাতে আল্লাহ তায়ালা তাঁর বান্দাদের প্রতি বিশেষ রহমত ও দয়া বর্ষণ করেন। তবে, এ রাতের বরকত লাভের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ আমল রয়েছে, যেগুলো মুমিনের পালন করা উচিত।

১.আল্লাহর সাথে অংশীদার স্থাপন না করা
আল্লাহ তায়ালার সাথে কাউকে শরিক করা থেকে সর্বদা বিরত থাকা। আল্লাহ শিরকের গুনাহ কখনো ক্ষমা করবেন না। সুরা নিসার ৪৮ নং আয়াতে তিনি বলেন, ‘নিশ্চয় আল্লাহ তায়ালা তাঁর সাথে শরিক করাকে ক্ষমা করেন না। এছাড়া অন্যান্য অপরাধ যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করেন। আর যে আল্লাহ তায়ালার সাথে কাউকে শরিক করে, সে এক মহাপাপ রটনা করে।’

এ সম্পর্কে একাধিক হাদীসও বর্ণিত হয়েছে। বুখারী ও মুসলিম শরীফের এক বর্ণনায় এসেছে। হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাযি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,‘এক ব্যক্তি রসুল সা.কে জিজ্ঞাসা করলো, ইয়া রসুলাল্লাহ! আল্লাহ তায়ালার নিকট সবচেয়ে বড় অপরাধ কোনটি? তিনি উত্তরে বললেন, কাউকে আল্লাহ তায়ালার সমকক্ষ সাব্যস্ত করা অথচ তিনিই তোমাকে সৃষ্টি করেছেন।’ (সহিহ বুখারী, হাদিস : ৬৮৬১; সহিহ মুসলিম, হাদিস : ১৪২) তাই এ রাতে ক্ষমা লাভের জন্য শিরক থেকে সর্বদা বিরত থাকা।

২.হিংসা-বিদ্বেষ পরিহার করা
কারো প্রতি হিংসা-বিদ্বেষ পোষণ না করা। এ ব্যাপারেও হাদিসে নববীতে কঠোরভাবে সতর্ক করা হয়েছে। হজরত আবু হুরায়রা রাযি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসুল সা. ইরশাদ করেছেন,‘প্রতি সোম ও বৃহস্পতিবার জান্নাতের দরজাসমূহ খুলে দেওয়া হয়। ফলে যারা আল্লাহ তায়ালার সাথে কোনো কিছুকে শরিক করে না, এমন প্রত্যেক বান্দাকে আল্লাহ তায়ালা ক্ষমা করে দেন। তবে ঐ ব্যক্তিকে ক্ষমা করা হয় না, যার মাঝে এবং তার কোনো মুসলিম ভাইয়ের মাঝে বিদ্বেষ রয়েছে। তখন (ফেরেশতাদেরকে লক্ষ্য করে) বলা হয়, এই দুই ব্যক্তির ক্ষেত্রে (ক্ষমার ঘোষণা কার্যকর করা থেকে) বিরত থাকো, যতক্ষণ না তারা নিজেদের মাঝে সংশোধন করে নেয়। অনুরূপ কথা তিনবার বলা হয়।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ২৫৬৫; সুনানে আবু দাউদ, হাদিস : ৪৯১৬)

৩. রাত্রি জাগরণ ও নফল ইবাদত করা
এ রাতে যতটুকু সম্ভব একাকী নফল ইবাদত যেমন- যিকির-আযকার করা, দোয়া-দরুদ পড়া, কুরআন মাজীদ তিলাওয়াত করা, নফল নামাজ পড়া, (সম্ভব হলে দীর্ঘ রুকু-সেজদা করা), তওবা-ইস্তিগফার করা, আল্লাহ তায়ালার কাছে রোনাযারী করা ইত্যাদি আমলের প্রতি মনোযোগী হওয়া। রসুল সা. নিজেও এ রাতে দীর্ঘ রুকু-সেজদা বিশিষ্ট নফল নামাজ আদায় করাসহ বিভিন্ন নফল ইবাদতে মশগুল থাকতেন। (শুয়াবুল ঈমান (বায় হা কী), হাদিস : ৩৫৫৪)

৪. ইস্তেগফার ও দোয়া করা
ইস্তেগফার হলো, নিজ গুনাহের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করা। আর দোয়া হলো, আল্লাহকে ডাকা, নিজ প্রয়োজন পূরণের জন্য তাঁর নিকট প্রার্থনা করা। আর মানুষ সর্বদাই মহান রবের মুখাপেক্ষী। তাই প্রতিনিয়ত তাঁকে ডাকা ও তাঁর নিকট প্রার্থনা করা। সে হিসেবে দোয়া একটি দৈনন্দিন আমল। আর হাদিসের ভাষ্যানুযায়ী যেহেতু আল্লাহ তায়ালা এ রাতে বান্দার প্রতি বিশেষ দৃষ্টি দেন, তাই অন্য দিনের তুলনায় এ রাতে আরো বেশি গুরুত্বের সাথে কায়মনোবাক্যে দোয়া করা।

৫. ১৫ই শাবান রোযা রাখা
শবে বরাতের আরেকটি আমল হলো দিনে রোযা রাখা। যদিও সংশ্লিষ্ট হাদিসটি সনদের বিবেচনায় দুর্বল। তথাপি মুহাদ্দিস ও ফকীহগণ নানা দলিলের আলোকে উক্ত দিনে রোযা রাখা সওয়াব লাভের কারণ বলে আখ্যায়িত করেছেন।
হজরত আলী রাযি. থেকে বর্ণিত, রসুল সা. বলেন, ‘শাবানের চৌদ্দ তারিখ দিবাগত রাত যখন আসে তখন তোমরা এ রাতটি ইবাদত-বন্দেগিতে কাটাও আর দিনের বেলায় রোযা রাখো। কেননা এ রাতে সূর্যাস্তের পর আল্লাহ তায়ালা প্রথম আসমানে এসে বলেন, আছে কি কোনো ক্ষমাপ্রার্থী? আমি তাকে ক্ষমা করবো। আছে কি কোনো রিযিকপ্রার্থী? আমি তাকে রিযিক দান করবো। আছে কি কোনো বিপদগ্রস্ত ব্যক্তি? আমি তাকে তা থেকে মুক্তি দান করবো। এভাবে সুবেহ সাদিক পর্যন্ত আল্লাহ তায়ালা মানুষের প্রয়োজনের কথা বলে বলে তাদের ডাকতে থাকেন।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস : ১৩৮৮)

শাবান মাসের ১৫তম রাত আমাদের জন্য বিশেষ রহমত ও ক্ষমা লাভের সুযোগ এনে দেয়। এই রাতের বরকত থেকে লাভবান হতে, আমাদের শিরক ও হিংসা পরিহার করা, নফল ইবাদত করা, ইস্তিগফার ও দোয়া করা এবং রোযা রাখা উচিত। তবে, এ রাতেও কিছু মানুষ আল্লাহর রহমত থেকে বঞ্চিত হয়, যারা বিভিন্ন গুরুতর গুনাহে লিপ্ত থাকে। আমাদের উচিত এই রাতের মহিমাকে উপলব্ধি করে, নিজের গুনাহ মাফ করার জন্য আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করা।

লেখক: মুফতি মুখলিছুর রহমান

মুদাররিস: জামিয়া আরাবিয়া আশরাফুল উলুম কুষ্টিয়া

ইসলাম ও জীবন

মাত্র সাড়ে ৪ বছর বয়সে মায়ের কাছে হাফেজ হলেন শিশু আহমাদ

মাত্র সাড়ে ৪ বছর বয়সে ১০ মাস সময়ে মায়ের কাছে কোরআন মাজিদের হিফজ সম্পন্ন করার এক বিস্ময়কর দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন আহমাদ আবদুল্লাহ মাসুম। তার বয়স বর্তমানে ৪ বছর ৬ মাস ২৯ দিন। শনিবার (১৮ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় ঢাকার যাত্রাবাড়ির মাদরাসাতু উসওয়াতি ফাতিমাহ রাদিয়াল্লাহু আনহায় এ বিস্ময়কর ঘটনা ঘটে। তার শিক্ষক ছিলেন তারই মা, যিনি তাকে […]

নিউজ ডেস্ক

২৬ জানুয়ারী ২০২৫, ১৮:১৮

মাত্র সাড়ে ৪ বছর বয়সে ১০ মাস সময়ে মায়ের কাছে কোরআন মাজিদের হিফজ সম্পন্ন করার এক বিস্ময়কর দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন আহমাদ আবদুল্লাহ মাসুম। তার বয়স বর্তমানে ৪ বছর ৬ মাস ২৯ দিন।

শনিবার (১৮ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় ঢাকার যাত্রাবাড়ির মাদরাসাতু উসওয়াতি ফাতিমাহ রাদিয়াল্লাহু আনহায় এ বিস্ময়কর ঘটনা ঘটে। তার শিক্ষক ছিলেন তারই মা, যিনি তাকে অত্যন্ত যত্ন ও আন্তরিকতায় হিফজ সম্পন্ন করিয়েছেন। হিফজের সময় আহমাদ কোরআনের বাংলা অর্থও শিখেছেন, যা তার প্রতিভার আরও একটি প্রমাণ।

বিশ্বখ্যাত কারি ও বিচারক শায়খ আহমাদ বিন ইউসুফ আজহারীর মতে, এই বয়সে হিফজ সম্পন্ন করার ঘটনা বিশ্বে বিরল। ইরান বা আলজেরিয়ায় ৫ বছর বয়সে হিফজের দৃষ্টান্ত থাকলেও আহমাদের মতো সাড়ে চার বছরে এ অর্জন অভূতপূর্ব। আহমাদ তার হিফজ সম্পন্ন করতে সময় নিয়েছে মাত্র ১০ মাস ১৮ দিন।

তার মায়ের একান্ত ইচ্ছা, তিনি যেন বিশ্বমানের মুত্তাকি, মুখলিস হাফেজ ও আলেম হিসেবে গড়ে ওঠেন। আল্লাহ তাআলা তাকে সেই তাওফিক যেনো দান করেন, সে দোয়াই কামনা করেছেন তিনি।

বিস্ময় শিশু আহমাদ আবদুল্লাহ মাসুমের বাবা, খ্যাতিমান টিভি উপস্থাপক ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব মাসুম বিল্লাহ বিন রেজা গণমাধ্যমকে বলেন, মহান রবের দরবারে কোটি কোটি কৃতজ্ঞতা, মহান রব দয়া মায়া করে আমার কলিজার টুকরো আহমাদকে তাঁর মহান গ্রন্থ আল কোরআন হিফজ করার তাওফিক দান করেছেন। আমাদের সন্তানের এ অর্জন আমাদের জন্য শুধু গর্বের নয়, দায়িত্বেরও। আমরা চাই, আহমাদ যেন একদিন বিশ্বজুড়ে কোরআনের আলো ছড়ায় ও মুসলিম উম্মাহর জন্য একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করে। আমি দেশবাসীর কাছে দোয়া প্রার্থী।

হাদিস ফাউন্ডেশন শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানড. আহমাদ আবদুল্লাহ ছাকিব বলেন, ‘বাবা-মায়ের সঙ্গে এই বিস্ময় শিশু যখন আমার মারকাযে বেড়াতে আসে, তখন আমি নিজেই স্তব্ধ হয়ে যাই। শুধু কোরআন হিফজ নয়, সে কোরআনের শব্দার্থও শিখে নিয়েছে। বাংলা, ইংরেজি ও আরবি ভাষায় ঝরঝরে রিডিং করতে পারে। আরবিতে তার স্পিকিং দক্ষতাও অসাধারণ। সব মিলিয়ে এটি এক অবিশ্বাস্য প্রতিভা। এখানেই তার যাত্রা শেষ নয়। বুখারি ও মুসলিম শরিফের হাদিস ধারাবাহিকভাবে মুখস্থ করার লক্ষ্যে সে এগিয়ে যাবে এটাও সে জানায়। মাশাআল্লাহ। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তাকে মুসলিম উম্মাহর একজন সুবিজ্ঞ মুখলিস আলেমে দ্বীন হিসাবে কবুল করুন।’

কুয়েত প্রবাসী দাঈ, শায়খ হাবিবুর রহমান মাদানী বলেন, আলহামদুলিল্লাহ, যিনি তাঁর অনুগ্রহে সকল কল্যাণ পরিপূর্ণ করেন। আল্লাহ এই শিশু ও তার পরিবারকে বরকত দিন। তাকে ইসলামের জন্য এক মূল্যবান সম্পদ বানিয়ে দিন এবং সকল অকল্যাণ থেকে রক্ষা করুন। এমন সংবাদ হৃদয়কে প্রশান্তি দেয়। আল্লাহ আমাদের সবাইকে উত্তম প্রতিদান দিন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. হাফেজ হুসাইনুল বান্না বলেন, আলহামদুলিল্লাহ। এটা আল্লাহর মেহেরবানি যে আল্লাহ এমন শেষ্ঠ সন্তান দান করেছেন। ইয়া রাব্বি লাকাল হামদ। আল্লাহ যুগের আলেমে দীন হিসেবে কবুল করুন।

ঢাকা নেছারিয়া কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ শায়খ শরিফ আবু হানিফ বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ। আলহামদুলিল্লাহ। আল্লাহপাকের বড় মেহেরবানি। বিনয়ের সাথে আল্লাহর শোকর আদায় করি। কারো বদনজর যেন না পড়ে খেয়াল রাখতে হবে। এ সংবাদ শুনেই সবাই মাশাআল্লাহ পড়বেন। তার জন্য দোয়া করবেন। সকল জ্বীন-ইনসানের অনিষ্ট থেকে আল্লাহ ওকে হেফাজত করুন।’

মিডিয়া ব্যক্তিত্ব শায়খ সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আল্লাহু আকবর, মাশাল্লাহ তাবারকাল্লাহ, এটা বাংলাদেশের জন্য মহান এক গৌরব। আমি বাংলাদেশের মায়েদের প্রতি অনুরোধ করবো, আপনারা যদি সন্তানদের কোরআনের প্রতি ভালোবাসা ও অধ্যবসায় শেখাতে পারেন, তবে এমন সাফল্য সম্ভব। নিজের সন্তানকে সময় দিন, তাদের মননশীলতা ও প্রতিভা বিকাশে সহযোগিতা করুন। আল্লাহ তাআলা আমাদের সন্তানকে দুনিয়া ও আখিরাতে সফলতার পথিক বানিয়ে দিন। আমিন’

ইসলাম ও জীবন

বিশ্বের ১৬৫ দেশের মুসলিমরা ব্যবহার করছেন যে স্যোশাল মিডিয়া

ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, এক্সের মত সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে মুসলিমদের তৈরি স্যোশাল মিডিয়া ‘আলফাফা’। বিশ্বজুড়ে প্রায় ১৬৫টিরও বেশি দেশের প্রায় চার লাখ মুসলিম এটি ব্যবহার করছেন। বিশ্লেষকরা মনে করেন, আলফাফা জনপ্রিয় হওয়ার কারণ হচ্ছে, আলফাফা মুসলিমদের জন্য সর্বোচ্চ ধর্মীয় স্বাধীনতা নিশ্চিত করে। যে স্বাধীনতা ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, এক্সে পাওয়া যায় না। ইসলাম নিয়ে অধিকাংশ পোস্ট […]

নিউজ ডেস্ক

২০ জানুয়ারী ২০২৫, ১৭:৪৭

ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, এক্সের মত সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে মুসলিমদের তৈরি স্যোশাল মিডিয়া ‘আলফাফা’। বিশ্বজুড়ে প্রায় ১৬৫টিরও বেশি দেশের প্রায় চার লাখ মুসলিম এটি ব্যবহার করছেন।

বিশ্লেষকরা মনে করেন, আলফাফা জনপ্রিয় হওয়ার কারণ হচ্ছে, আলফাফা মুসলিমদের জন্য সর্বোচ্চ ধর্মীয় স্বাধীনতা নিশ্চিত করে। যে স্বাধীনতা ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, এক্সে পাওয়া যায় না। ইসলাম নিয়ে অধিকাংশ পোস্ট ডিলেট করে দেয় তারা। কিন্তু আলফাফা তৈরিই করা হয়েছে মুসলিমদের জন্য।

জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের একদল মুসলিম যুবক শুরু করেন এ স্যোশাল সাইট। ক্রমে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে সাইটটি। বর্তমানে ১৬৫টিরও বেশি দেশের মুসলিম ব্যবহার করছে এ অ্যাপস। বিশেষ করে পাকিস্তান, আফগানিস্তান, বাংলাদেশ ও তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে। এখন পর্যন্ত গুগল প্লে স্টোর থেকে ডাউনলোড হয়েছে এক মিলিয়নেরও বেশি।

আলফাফার নির্বাহী পরিচালক আসিফ সাঈদ গণমাধ্যমকে জানান, বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা সহকর্মী ও বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ করতে অনেক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেরই প্রকাশ ঘটেছে। কিন্তু মুসলমানদের জন্য ঈমান-আমল ঠিক রেখে সে সবের অনেক কিছু ব্যবহার করা দুষ্কর। সেসব বিষয় মাথায় রেখে ইসলামি মতাদর্শ লালন করা যুক্তরাষ্ট্রের একদল যুবক নিয়ে এসেছে সম্পূর্ণ হালাল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। নাম আলফাফা ডটকম।

এতে বিনামূল্যে আপনার ব্যবসা, মসজিদ, রেস্টুরেন্ট বা চাকরি ও পেশাদার প্রোফাইল তালিকাভুক্ত করতে পারবেন। অ্যামাজনের মতো ই-কমার্স হিসেবেও দেখতে পারেন মুসলিমদের পরিচালিত এ সাইটটি।

একটি বাটনের ক্লিকে বিশ্বজুড়ে আপনার বন্ধু ও পরিবারের সঙ্গে সংযোগ করতে পারবেন সহজে। একই সঙ্গে স্যোশাল মিডিয়া, মুসলিম ডিরেক্টরি, ব্লগ, ফোরাম, জবস, টিচ, ই-কমার্সসহ নানান ফিচারে সাজানো হয়েছে সাইটটি। গুগল প্লে স্টোর থেকে অ্যাপসটি ডাউনলোড করতে লিখুন alfafaa.

ইসলাম ও জীবন

ওমরাহ পালনকারীদের জন্য সু-সংবাদ দিলো সৌদি আরব

ওমরাহ পালনকারীদের জন্য সুখবর দিয়েছে সৌদি আরব। এখন থেকে ওমরা পালনকারীরা বিনামূল্যে লাগেজ সংরক্ষণ করতে পারবেন। বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) সৌদির দেওয়া ঘোষণা অনুযায়ী, গ্র্যান্ড মসজিদের পূর্ব দিকে মক্কা লাইব্রেরির কাছে এবং পশ্চিম দিকে গেট ৬৪-এর কাছে বিনামূল্যে লাগেজ সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ জানায়, একজন ওমরাহ পালনকারী সর্বোচ্চ চার ঘণ্টার জন্য সাত কেজি ওজনের ব্যাগ […]

নিউজ ডেস্ক

২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২:৫৩

ওমরাহ পালনকারীদের জন্য সুখবর দিয়েছে সৌদি আরব। এখন থেকে ওমরা পালনকারীরা বিনামূল্যে লাগেজ সংরক্ষণ করতে পারবেন।

বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) সৌদির দেওয়া ঘোষণা অনুযায়ী, গ্র্যান্ড মসজিদের পূর্ব দিকে মক্কা লাইব্রেরির কাছে এবং পশ্চিম দিকে গেট ৬৪-এর কাছে বিনামূল্যে লাগেজ সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

কর্তৃপক্ষ জানায়, একজন ওমরাহ পালনকারী সর্বোচ্চ চার ঘণ্টার জন্য সাত কেজি ওজনের ব্যাগ রাখতে পারবেন। তবে ব্যাগের বাইরে কিছু রাখা যাবে না। এ ছাড়া মূল্যবান ও নিষিদ্ধ জিনিসপত্র, খাবার ও ওষুধ রাখা যাবে না। ব্যাগ জমা দিয়ে টিকিট নিতে হবে ও টিকিট দেখিয়ে পরে ব্যাগ ফেরত নিতে হবে।

ওমরা পালনকারীরা সৌদি আরব সরকার অনুমোদিত ডিজিটাল হজ সেবা গেটওয়ে নুসুক অ্যাপের মাধ্যমে পারমিট দেখিয়ে এই সুবিধা নিতে পারবেন। মক্কার পবিত্র দুই মসজিদে প্রবেশ করতে হলে নুসুক অ্যাপের মাধ্যমে ওমরা পালনের অনুমতি নেওয়া বাধ্যতামূলক।

সৌদি প্রেস এজেন্সি জানায়, নুসুক অ্যাপের মাধ্যমে এই সুবিধা নিতে পারবেন ওমরাহ পালনকারীরা। এ ছাড়া কাবা শরিফের আশপাশের সব এলাকায় এই সেবা সম্প্রসারণের পরিকল্পনা করা হচ্ছে।