বাংলাদেশে পরিবার পরিকল্পনার গুরুত্ব নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আলোচনা হচ্ছে, তবে সম্প্রতি এক বিতর্কিত মন্তব্যে শায়খ আহমদুল্লাহ বলেছেন, “পরিবার পরিকল্পনার নামে জনসংখ্যার ক্রাইসিস তৈরি হচ্ছে।” তিনি দাবি করেছেন যে, এই পরিকল্পনার কারণে সমাজে নানা সামাজিক ও অর্থনৈতিক সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে, যা ভবিষ্যতে দেশের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
পরিবার পরিকল্পনা মূলত জনসংখ্যার ভারসাম্য নিশ্চিত করার জন্য চালু করা হয়েছিল, যাতে একটি দেশের জনগণের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। তবে শায়খ আহমদুল্লাহ এর কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
তার মতে, পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রমের ফলে অনেক পরিবারে সন্তান সম্ভাবনার সংখ্যা কমে যাচ্ছে, যার প্রভাব পরবর্তীতে কর্মক্ষম জনশক্তির সংকটে পড়তে পারে।
শায়খ আহমদুল্লাহ উল্লেখ করেছেন, “আমরা যখন কম সন্তান নেয়ার পরামর্শ দিচ্ছি, তখন একদিকে জনগণের সংখ্যা কমছে, অন্যদিকে আমাদের দেশের জন্য কর্মক্ষম যুবশক্তি কমে যাচ্ছে।” তিনি আরও যোগ করেন, এই ধরনের পরিকল্পনার ফলে সমাজে পরিবার গঠনের গুরুত্ব হ্রাস পাচ্ছে, যা সামাজিক অবকাঠামো ও পারিবারিক সম্পর্কের উপর প্রভাব ফেলছে
পরিবার পরিকল্পনার নামে মানুষ জন্মের হার কমতে কমতে আমাদের দেশে যে পর্যায় আসছে। প্রেডিকশন বলছে, আর ১০-১৫ বছর পরে আমাদের দেশেই ক্রাইসিস তৈরি হবে দেশ চালানোর মতো মানুষ পাওয়া যাবে না। বুড়ো দিয়ে ভরে যাবে দেশ।
তিনি বলেন, আপনি ইতালিসহ পৃথিবীর সমস্ত উন্নত দেশে যান একটাও উন্নত দেশ আপনি খুঁজে পাবেন না যেই দেশে যেই পরিমাণ মানুষ দরকার সেই পরিমাণ মানুষ জন্ম হয়। প্রত্যেকটা দেশে ক্রাইসিস চলছে।
প্রত্যেকটা দেশে গভর্নমেন্ট দেখবেন একটা ছেলে হলে প্রণোদনা দেন ধরেন ২০০ ডলার, দুইটা ছেলে হলে ধরা যাক ৫০০ ডলার, ৩টা হলে ৭০০ ডলার। সন্তান যত জন্ম দিবে তত পুরস্কার দিবেন। এই লোকগুলাই একসময় বলেছিল ছেলে হোক আর মেয়ে হোক দুইটাই যথেষ্ট। একটা হলে আরও ভাল হয়।
তিনি আরো বলেন, ওরা ধরা খাইয়া যে জায়গায় আসছে, আমরা এখন শুরু করেছি। পুরান পাগলের ভাত নাই, নতুন পাগল শুরু হয়েছে।
শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, ওরা ট্রান্সজেন্ডার মতবাদকে কবর দিচ্ছে। পশ্চিমের অভিভাবকরা রাস্তায় রাস্তায় বের হচ্ছে। সমকামিতা বৈধতা দিয়ে তাঁদের সমাজকে ধ্বংস করা হয়েছে। ইলন মাস্কের মতো লোক বলছে তার ছেলেকে খুন করা হয়েছে এই মতবাদ দিয়ে। ছেলে ট্রান্সজেন্ডার মতবাদে প্রভাবিত হয়ে মেয়ে হয়ে তিনি মনে করছেন তার ছেলেকে খুন করা হয়েছে।
আহমাদুল্লাহ আরো জানান, ইলন মাস্ক আজকে এফেক্টেড হয়ে আজকে তার সমস্ত সম্পদ, সমস্ত শক্তি দিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পর নির্বাচনে তাঁকে জয়ী করে আজকে তার সেই মিশন নিয়ে দুনিয়ার সামনে অগ্রসর হচ্ছেন।
শায়খ আহমাদুল্লাহ হতাশা নিয়ে বলেন, আমাদের অভিভাবকরা ধ্বংস হওয়ার আগে যেন আমাদের হুঁশ ফিরে আসে আমরা পশ্চিমাদের সবকিছু গ্রহণ না করি। তাদের অনেক ভালো ভালো জিনিস আছে আমরা সেগুলো অবশ্যই গ্রহণ করব, কিন্তু সব কিছু নয়।