মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে ঢাকা থেকে পাঠানো অনুরোধপত্র বর্তমানে পর্যালোচনা করছে ভারত। বুধবার (২৬ নভেম্বর) নয়াদিল্লিতে এক আনুষ্ঠানিক ব্রিফিংয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, বিষয়টি ভারতের বিচারিক ও আইনগত প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হচ্ছে।
এর আগে, চলতি মাসের ২১ নভেম্বর বাংলাদেশ সরকার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি ‘নোট ভারবাল’ পাঠায়, যেখানে মানবতাবিরোধী অপরাধে দণ্ডপ্রাপ্ত শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠানোর অনুরোধ জানানো হয়। বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনও বিষয়টি গণমাধ্যমে নিশ্চিত করে বলেন, রায় কার্যকর করতে আইনি প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবেই আনুষ্ঠানিক চিঠি পাঠানো হয়েছে।
গত জুলাইয়ের অভ্যুত্থান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে তদন্ত শেষে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনা ও তার সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করে। একই মামলায় সাবেক পুলিশ প্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
রায়ের পরপরই শেখ হাসিনা ও কামাল ভারতে অবস্থান করছেন বলে সরকারি সূত্র নিশ্চিত করে। এরপর থেকেই বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে ভারতকে একাধিকবার প্রত্যর্পণের অনুরোধ পাঠানো হয়েছে।
ভারতীয় পররাষ্ট্র মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানান, “বাংলাদেশের অনুরোধ আমাদের নজরে এসেছে। বিষয়টি আইনগত কাঠামোর মধ্যেই পর্যালোচনা করা হচ্ছে।” তবে তিনি এ বিষয়ে কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা উল্লেখ করেননি। কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, বিষয়টি দুই দেশের আইনি ও কূটনৈতিক প্রক্রিয়ার ওপর নির্ভরশীল হওয়ায় সিদ্ধান্ত নিতে আরও সময় লাগতে পারে।
এদিকে, বাংলাদেশ আশা করছে—ভারত তাদের আগের অনুরোধগুলোর মতো এবারও চিঠিটি উপেক্ষা করবে না এবং আইনি প্রক্রিয়া অনুযায়ী শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠানোর জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তা করবে। মামলাটির জটিলতা ও রাজনৈতিক সংবেদনশীলতার কারণে উভয় দেশই বিষয়টিকে সতর্কতার সঙ্গে পরিচালনা করছে বলে কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে।
তুরস্ক, সৌদি ও পাকিস্তানসহ অন্যান্য দেশ নিয়ে ইসলামি সেনাবাহিনী গড়ার উদ্যোগ নিয়েছে ইরান। আপনি কি এই আর্মি গঠনের পক্ষে?