পাকিস্তানের হেভি ইন্ডাস্ট্রিজ ট্যাক্সিলা (HIT) তাদের প্রথম সিরিয়াল প্রোডাকশন ব্যাচের হায়দার প্রধান যুদ্ধ ট্যাংকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর চিফ অফ স্টাফ জেনারেল আসিম মুনির। এই অনুষ্ঠানে তৃতীয় প্রজন্মের হায়দার ট্যাংক উন্মোচন করা হয়, যা পুরোপুরি পাকিস্তানে ডিজাইন ও নির্মিত।
চীনের ভিটি৪ প্ল্যাটফর্মের উপর ভিত্তি করে নির্মিত হায়দার ট্যাংকে রয়েছে শক্তিশালী অস্ত্রশস্ত্র। এর মধ্যে রয়েছে ১২৫ মিমি স্মুথবোয়ার গান, যা বিভিন্ন ধরণের গোলাবারুদ নিক্ষেপ করতে সক্ষম, যেমন আর্মার পিয়ার্সিং ফিন-স্ট্যাবিলাইজড ডিসকার্ডিং স্যাবট এবং অ্যান্টি-ট্যাংক গাইডেড মিসাইল।
অস্ত্রশক্তি বাড়াতে হায়দার ট্যাংকে রয়েছে দ্বিতীয় অস্ত্র ব্যবস্থা, যার মধ্যে রয়েছে একটি ৭.৬২ মিমি কো-অ্যাক্সিয়াল মেশিন গান এবং একটি রিমোটলি অপারেটেড অস্ত্র স্টেশন, যা ১২.৭ মিমি ভারী মেশিন গান দিয়ে সজ্জিত।
হায়দার ট্যাংক অত্যাধুনিক ফায়ার কন্ট্রোল সিস্টেম দ্বারা সজ্জিত, যা বিভিন্ন সেন্সর এবং টার্গেটিং ডিভাইস সমন্বয় করে যুদ্ধক্ষেত্রে নিখুঁত নির্ভুলতা ও ধ্বংসক্ষমতা নিশ্চিত করে।
১,২০০ হর্সপাওয়ার উৎপন্নকারী টার্বোচার্জড ইলেকট্রনিকভাবে নিয়ন্ত্রিত ডিজেল ইঞ্জিন এবং হাইড্রো-মেকানিক্যাল অটোমেটিক ট্রান্সমিশনের সমন্বয়ে ট্যাংকটি সর্বোচ্চ ৭০ কিমি/ঘণ্টা গতিতে চলতে সক্ষম এবং ৫০০ কিমি ক্রুজিং রেঞ্জ অর্জন করে।
হায়দার প্রধান যুদ্ধ ট্যাংক পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা সক্ষমতায় একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি, যা জাতীয় স্বনির্ভরতার প্রতি দেশের প্রতিশ্রুতি প্রমাণ করে।

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?