বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

আন্তর্জাতিক

আমেরিকার জন্য রাশিয়া ইরানকে ত্যাগ করব না: মস্কো

রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ওয়াশিংটনের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের লক্ষ্য থাকলেও দেশটি কখনোই তার দীর্ঘমেয়াদি কৌশলগত অংশীদারদের ত্যাগ করবে না। মস্কোর ভাষায়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সংলাপ চালু রাখার প্রয়াস চললেও ইরানসহ ঘনিষ্ঠ মিত্রদের স্বার্থ ও সম্পর্ককে কোনোভাবেই উপেক্ষা করা হবে না। সোমবার এক বিবৃতিতে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা আলেকজান্ডার আলিমভ বলেন, “আমরা আমাদের অন্যান্য অংশীদারদের অবহেলা […]

আমেরিকার জন্য রাশিয়া ইরানকে ত্যাগ করব না: মস্কো

ছবি : সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১৩:৫৬

রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে,

ওয়াশিংটনের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের লক্ষ্য থাকলেও দেশটি কখনোই তার দীর্ঘমেয়াদি কৌশলগত অংশীদারদের ত্যাগ করবে না। মস্কোর ভাষায়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সংলাপ চালু রাখার প্রয়াস চললেও ইরানসহ ঘনিষ্ঠ মিত্রদের স্বার্থ ও সম্পর্ককে কোনোভাবেই উপেক্ষা করা হবে না।

সোমবার এক বিবৃতিতে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা আলেকজান্ডার আলিমভ বলেন,

“আমরা আমাদের অন্যান্য অংশীদারদের অবহেলা করবো না, বিশেষ করে যারা আমাদের সঙ্গে সত্যিকার অর্থে সহযোগিতা করতে চায়। ওয়াশিংটনের সঙ্গে সহযোগিতা কখনোই আমাদের বৈশ্বিক বন্ধন ছিন্ন করার কারণ হতে পারে না।”

রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ইউক্রেন যুদ্ধ ও দ্বিপাক্ষিক উত্তেজনার মধ্যেও সম্প্রতি সৌদি আরবের রিয়াদ এবং তুরস্কের ইস্তাম্বুলে চার দফা গোপন বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই প্রক্রিয়ার মধ্যেই রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইরানের সঙ্গে একটি বিস্তৃত কৌশলগত অংশীদারিত্ব চুক্তিতে সই করেছেন, যা দু’দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা, জ্বালানি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, বাণিজ্য এবং কূটনৈতিক সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে।

এ প্রসঙ্গে পার্সটুডে ও ইরনা একযোগে জানায়, ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে পরোক্ষ আলোচনায় রাশিয়া সক্রিয়ভাবে সহায়ক ভূমিকা রাখতে চায়। রুশ বিশেষজ্ঞ রজব সাফারভ এক সাক্ষাৎকারে বলেন,

“মস্কোর অবস্থান পরিষ্কার—তারা তেহরান-ওয়াশিংটন উত্তেজনা নিরসনের পক্ষে। রাশিয়া সবসময়ই ইরানবিরোধী নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে, এবং এই সম্পর্ক স্বাভাবিক করা বৈশ্বিক স্বার্থের সাথে সম্পৃক্ত।”

ইরান-রাশিয়া সম্পর্ক নিয়ে পশ্চিমা দুনিয়ার উদ্বেগ প্রসঙ্গে ইরানের সাবেক কূটনীতিক মোহসেন পাকাইন বলেন,

“এই সম্পর্ক ইরানের সার্বভৌম সিদ্ধান্ত। পশ্চিমা রাষ্ট্র কিংবা ইউরোপের এই সম্পর্ক নিয়ে কী মনে করছে, তা আমাদের জন্য প্রাসঙ্গিক নয়।”

এদিকে ইরান-রাশিয়ার সম্পর্ককে আরও মজবুত করতে বেসরকারি খাতের ভূমিকার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন ইরানি প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা মেহদী সানায়ি। তিনি বলেন, “এই সম্পর্ক শুধুমাত্র সরকারি স্তরে সীমাবদ্ধ থাকলে টেকসই হবে না। এজন্য বাণিজ্য, প্রযুক্তি, শিক্ষা এবং সংস্কৃতিগত ক্ষেত্রে বেসরকারি অংশীদারিত্ব গড়ে তোলা জরুরি।”

এই প্রেক্ষাপটে, ইরান ও রাশিয়ার মধ্যে ১৮তম যৌথ অর্থনৈতিক কমিশন বৈঠক ২৩ থেকে ২৫ এপ্রিল মস্কোতে অনুষ্ঠিত হবে। এতে ইরানের পক্ষ থেকে নেতৃত্ব দেবেন তেলমন্ত্রী মোহসেন পাকনেজাদ, আর রাশিয়ার পক্ষ থেকে নেতৃত্বে থাকবেন জ্বালানিমন্ত্রী সের্গেই সিভলিয়েভ। এই বৈঠকে জ্বালানি, পরিবহন, খাদ্য নিরাপত্তা, প্রযুক্তি হস্তান্তর ও আর্থিক লেনদেনসহ একাধিক খাতে সহযোগিতা চুক্তি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, পশ্চিমা বিশ্ব ইরান-রাশিয়ার এই ঘনিষ্ঠতাকে “বিকল্প জোট রাজনীতির উত্থান” হিসেবে দেখছে। অন্যদিকে, তেহরান ও মস্কো তাদের সম্পর্ককে ন্যায্য আন্তর্জাতিক ভারসাম্য গঠনের অংশ হিসেবে তুলে ধরছে। বর্তমান ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে দুই দেশই একে অপরকে কৌশলগত প্রতিরক্ষা, নিষেধাজ্ঞা মোকাবিলা এবং প্রযুক্তি সহায়তার নির্ভরযোগ্য অংশীদার হিসেবে বিবেচনা করছে।

এই প্রক্রিয়া শুধু মধ্যপ্রাচ্য নয়, বরং ইউরেশিয়া এবং বৈশ্বিক কূটনীতিতেও একটি নতুন সংলাপ কাঠামোর ইঙ্গিত দিচ্ছে, যেখানে পশ্চিমের একতরফা আধিপত্যের বিপরীতে একাধিক কেন্দ্রীয় শক্তি আত্মপ্রকাশ করছে।

২০ জুন ২০২৫
poll_title
তুরস্ক, সৌদি ও পাকিস্তানসহ অন্যান্য দেশ নিয়ে ইসলামি সেনাবাহিনী গড়ার উদ্যোগ নিয়েছে ইরান। আপনি কি এই আর্মি গঠনের পক্ষে?

তুরস্ক, সৌদি ও পাকিস্তানসহ অন্যান্য দেশ নিয়ে ইসলামি সেনাবাহিনী গড়ার উদ্যোগ নিয়েছে ইরান। আপনি কি এই আর্মি গঠনের পক্ষে?

মোট ভোট: ৩০৪১

আন্তর্জাতিক

জাকির নায়েক ঢাকায় পা রাখলেই যেন ভারতের হাতে তুলে দেওয়া হয়: রনধীর জয়সওয়াল

আসছে নভেম্বরে ঢাকায় আসছেন আন্তর্জাতিকভাবে আলোচিত ইসলামী বক্তা ডা. জাকির নায়েক। তবে মালয়েশিয়া থেকে ঢাকায় পা রাখলেই তাঁকে যেন ভারতের হাতে তুলে দেওয়া হয়—বাংলাদেশের কাছে এমন প্রত্যাশা প্রকাশ করেছে ভারত। বিষয়টি দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের (এমইএ) পক্ষ থেকে ভারতীয় গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করা হয়েছে।

নিউজ ডেস্ক

৩১ অক্টোবর ২০২৫, ১৩:০৮

আসছে নভেম্বরে ঢাকায় আসছেন আন্তর্জাতিকভাবে আলোচিত ইসলামী বক্তা ডা. জাকির নায়েক। তবে মালয়েশিয়া থেকে ঢাকায় পা রাখলেই তাঁকে যেন ভারতের হাতে তুলে দেওয়া হয়—বাংলাদেশের কাছে এমন প্রত্যাশা প্রকাশ করেছে ভারত। বিষয়টি দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের (এমইএ) পক্ষ থেকে ভারতীয় গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করা হয়েছে।

গত ৩০ অক্টোবর নয়াদিল্লিতে এক সংবাদ সম্মেলনে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রনধীর জয়সওয়াল বলেন,

“জাকির নায়েক একজন পলাতক আসামি। তিনি ভারতে ওয়ান্টেড। আমরা আশা করি, তিনি যেখানেই যান না কেন, সংশ্লিষ্ট দেশ তাঁর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে এবং আমাদের নিরাপত্তা উদ্বেগগুলো বিবেচনায় রাখবে।”

ডা. জাকির নায়েক ২০১৬ সালের আগে পর্যন্ত ভারতে অবস্থান করতেন। বিভিন্ন ইসলামী আলোচনায় অংশ নিয়ে আন্তর্জাতিক খ্যাতি অর্জন করেন তিনি। তবে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকারের সময় তাঁর বিরুদ্ধে “ঘৃণামূলক বক্তব্য প্রচার” এবং একাধিক অর্থপাচারের মামলা হয়। একইসঙ্গে বন্ধ করে দেওয়া হয় তাঁর নিয়ন্ত্রিত ইসলামিক চ্যানেল “পিস টিভি”-র সম্প্রচার।

এসব ঘটনার পর ৬০ বছর বয়সি এই ইসলামী বক্তা ২০১৬ সালে ভারত ছেড়ে মালয়েশিয়ায় চলে যান এবং সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি পান। ভারতে ফেরা প্রসঙ্গে তিনি একাধিকবার বলেছেন,

“ন্যায়বিচারের নিশ্চয়তা না পাওয়া পর্যন্ত আমি ভারতে ফিরব না।”

আগামী ২৮ ও ২৯ নভেম্বর ডা. জাকির নায়েক ঢাকায় একটি দাতব্য অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন বলে জানা গেছে। স্পার্ক ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের আয়োজনে এই অনুষ্ঠানটি আগারগাঁও এলাকায় অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।

২০১৬ সালে ঢাকার হলি আর্টিজান হামলার পর অন্তত দুই হামলাকারী “জাকির নায়েকের বক্তৃতা থেকে অনুপ্রাণিত” ছিল—এমন প্রতিবেদন প্রকাশের পর তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার তাঁর বাংলাদেশে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে।

তবে শেখ হাসিনার পতনের পর সেই নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এমন পরিস্থিতিতে এবার ঢাকায় আসছেন ডা. জাকির নায়েক। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তিনি ঢাকায় এলেই তাঁকে যেন ভারতের হাতে হস্তান্তর করা হয়—এমনটাই তাদের প্রত্যাশা।

২০ জুন ২০২৫
poll_title
তুরস্ক, সৌদি ও পাকিস্তানসহ অন্যান্য দেশ নিয়ে ইসলামি সেনাবাহিনী গড়ার উদ্যোগ নিয়েছে ইরান। আপনি কি এই আর্মি গঠনের পক্ষে?

তুরস্ক, সৌদি ও পাকিস্তানসহ অন্যান্য দেশ নিয়ে ইসলামি সেনাবাহিনী গড়ার উদ্যোগ নিয়েছে ইরান। আপনি কি এই আর্মি গঠনের পক্ষে?

মোট ভোট: ৩০৪১

আন্তর্জাতিক

ইসরাইলি আটক থেকে মুক্তির পর জামায়াত থেকে পদত্যাগ করলেন মুশতাক

পাকিস্তানের সাবেক সিনেটর মুশতাক আহমদ ঘোষণা করেছেন, তিনি জামায়াত-ই-ইসলামি থেকে পদত্যাগ করেছেন। তবে তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন, এই সিদ্ধান্তের পেছনে দলের সঙ্গে তার কোনো ব্যক্তিগত বিরোধ বা মনোমালিন্য নেই। শুক্রবার (১০ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে জিও নিউজ। ইসরাইলি হেফাজত থেকে মুক্তি পেয়ে পাকিস্তানে ফেরার পর বৃহস্পতিবার এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে মুশতাক আহমদ বলেন, তিনি […]

ইসরাইলি আটক থেকে মুক্তির পর জামায়াত থেকে পদত্যাগ করলেন মুশতাক

ছবি সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

১০ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:৪৪

পাকিস্তানের সাবেক সিনেটর মুশতাক আহমদ ঘোষণা করেছেন, তিনি জামায়াত-ই-ইসলামি থেকে পদত্যাগ করেছেন। তবে তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন, এই সিদ্ধান্তের পেছনে দলের সঙ্গে তার কোনো ব্যক্তিগত বিরোধ বা মনোমালিন্য নেই।

শুক্রবার (১০ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে জিও নিউজ। ইসরাইলি হেফাজত থেকে মুক্তি পেয়ে পাকিস্তানে ফেরার পর বৃহস্পতিবার এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে মুশতাক আহমদ বলেন, তিনি মানবাধিকার, গণতন্ত্র এবং সাংবিধানিক অধিকারের পক্ষে স্বাধীনভাবে কাজ করার জন্য ‘নিজস্ব রাজনৈতিক পরিসর’ তৈরি করতে চান।

মুশতাক জানান, ‘আমি আনুষ্ঠানিকভাবে জামায়াত-ই-ইসলামি থেকে পদত্যাগ করেছি। ১৯ সেপ্টেম্বর গ্লোবাল সমুদ ফ্লোটিলায় যাত্রাপথে থাকাকালীন আমি পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছি।’ তবে দলটি এখনো তার পদত্যাগ আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করেনি বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

দলের ভেতরে নীতিনিষ্ঠ অবস্থান ও নাগরিক স্বাধীনতার পক্ষে সরব ভূমিকায় পরিচিত এই নেতা বলেন, পদত্যাগ তার জীবনের এক আবেগঘন মুহূর্ত ছিল। ‘সেদিন রাতে আমি কেঁদেছিলাম, যেমন কেঁদেছিলাম আমার মা মারা যাওয়ার রাতে,’ বলেন মুশতাক।

তিনি আরও বলেন, এখনই তিনি কোনো রাজনৈতিক দলে যোগ দেবেন না। তার মতে, ‘রাজনৈতিক সংগঠনের কাঠামোর ভেতরে অনেক সীমাবদ্ধতা থাকে, কখনও কখনও স্বাধীনভাবে কাজ করাই প্রয়োজন।’ ‘আমি মানবাধিকার, গণতন্ত্র, স্বাধীন গণমাধ্যম, ড. আফিয়া সিদ্দিকীর মুক্তি, ফিলিস্তিনের ন্যায়বিচার এবং পাকিস্তানের প্রদেশগুলোর সাংবিধানিক অধিকার নিয়ে কাজ চালিয়ে যেতে চাই,’ বলেন তিনি।

মুশতাক স্বীকার করেন, জামায়াতের ভেতরে গত কয়েক বছরে কিছু বিষয়ে মতপার্থক্য ছিল, তবে তা ব্যক্তিগত কোনো বিরোধে পরিণত হয়নি। ‘দলের ভেতরে কিছু বিষয়ে ভিন্নমত ছিল, কিন্তু আমার কারও সঙ্গে কোনো রাগ বা শত্রুতা নেই,’ বলেন তিনি।

জামায়াতের আমির হাফিজ নাঈমুর রহমান সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘হাফিজ নাঈমুর রহমান একজন নেতা; তাঁর সঙ্গে আমার কোনো মতবিরোধ নেই। আমি চাই, আমার আর জামায়াতের মধ্যে কোনো সমস্যা না থাকুক, আর আমার কারণে দলটিরও কোনো সমস্যার সৃষ্টি না হোক।’

পদত্যাগের পাশাপাশি মুশতাক আহমদ এক নতুন জনআন্দোলন গঠনের পরিকল্পনার কথাও জানান। তিনি বলেন, ‘আমি সারা পাকিস্তানে এক লাখ ফিলিস্তিন কমিটি গঠনের উদ্যোগ নিচ্ছি, যাতে সাধারণ মানুষ ফিলিস্তিনের পক্ষে ঐক্যবদ্ধ হতে পারে।’

ইসরাইলি বাহিনীকে ‘কাগুজে বাঘ’ আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, গ্লোবাল সমুদ ফ্লোটিলায় যাত্রা ও পরবর্তীতে ইসরাইলে আটক অবস্থায় তিনি যে পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছিলেন, তা ছিল এক কঠিন ধৈর্য ও বিশ্বাসের পরীক্ষা।

তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বিলম্বিত প্রতিক্রিয়ারও সমালোচনা করে বলেন, ‘গাজায় যুদ্ধবিরতি যদি দুই বছর আগে হতো, সেটাই হতো প্রকৃত সাফল্য। এখনকার এই ফলাফলের কৃতিত্ব হামাসেরই, কারণ তাদের সংগ্রাম অদম্য।’

২০ জুন ২০২৫
poll_title
তুরস্ক, সৌদি ও পাকিস্তানসহ অন্যান্য দেশ নিয়ে ইসলামি সেনাবাহিনী গড়ার উদ্যোগ নিয়েছে ইরান। আপনি কি এই আর্মি গঠনের পক্ষে?

তুরস্ক, সৌদি ও পাকিস্তানসহ অন্যান্য দেশ নিয়ে ইসলামি সেনাবাহিনী গড়ার উদ্যোগ নিয়েছে ইরান। আপনি কি এই আর্মি গঠনের পক্ষে?

মোট ভোট: ৩০৪১

আন্তর্জাতিক

নেতানিয়াহুর হুমকি, কাতারের পর এবার চীনে হামলা করবে ইসরাইল

মধ্যপ্রাচ্যের চলমান সংঘাতের মাঝেই ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবার সরাসরি চীনকে জড়িয়েছেন। কাতারে হামলার পর এবার চীনের বিরুদ্ধেও ইসরায়েলের সামরিক অভিযান শুরু হতে পারে বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের নেতাদের কাছে নেতানিয়াহু চীনের বিরুদ্ধে তীব্র অভিযোগ তুলে একটি সতর্কবার্তা দেন। নেতানিয়াহুর অভিযোগ ও কৌশলগত হুমকি নেতানিয়াহু অভিযোগ করেছেন যে, চীনের সামরিক ও কূটনৈতিক […]

নেতানিয়াহুর হুমকি, কাতারের পর এবার চীনে হামলা করবে ইসরাইল

ছবি : সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:৩২

মধ্যপ্রাচ্যের চলমান সংঘাতের মাঝেই ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবার সরাসরি চীনকে জড়িয়েছেন। কাতারে হামলার পর এবার চীনের বিরুদ্ধেও ইসরায়েলের সামরিক অভিযান শুরু হতে পারে বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের নেতাদের কাছে নেতানিয়াহু চীনের বিরুদ্ধে তীব্র অভিযোগ তুলে একটি সতর্কবার্তা দেন।

নেতানিয়াহুর অভিযোগ ও কৌশলগত হুমকি

নেতানিয়াহু অভিযোগ করেছেন যে, চীনের সামরিক ও কূটনৈতিক কর্মকাণ্ড ইসরায়েলের নিরাপত্তার জন্য হুমকি তৈরি করছে এবং এর বিরুদ্ধে অবিলম্বে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। তার মতে, চীন ইসরায়েলের বিরুদ্ধে একটি সুসংগঠিত কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক আক্রমণ চালাচ্ছে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, আন্তর্জাতিক সংস্থা ও অর্থনৈতিক মঞ্চে ইসরায়েলের সমর্থন কমানোর চেষ্টা করছে।

তিনি সতর্ক করে বলেন, “ইরান যেমন আঞ্চলিক মিত্রদের ব্যবহার করে ইসরায়েলকে ঘিরে ফেলতে চেয়েছিল, ঠিক তেমনি চীন তথ্য ও রাজনৈতিক যুদ্ধের মাধ্যমে ইসরায়েলকে ঘিরে ফেলছে।” নেতানিয়াহু মনে করেন, এটি শুধু তথ্যযুদ্ধ নয়, বরং একটি সুপরিকল্পিত কৌশল, যার লক্ষ্য ইসরায়েলের মিত্রদের দূরে সরিয়ে আন্তর্জাতিক চাপ বৃদ্ধি করা।

সামরিক সংঘাতের সম্ভাবনা

বিশ্লেষকরা বলছেন, নেতানিয়াহুর এই হুশিয়ারি কেবল কূটনীতি বা বাণিজ্যের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না। চীনের সঙ্গে সামরিক সংঘাতও ইসরায়েলের সম্ভাব্য পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে। কাতারে হামলার পর চীনের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য সামরিক পদক্ষেপের পরিকল্পনা এখন ইসরায়েলের নিরাপত্তা কৌশলের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

নেতানিয়াহু আগে থেকেই চীনের কৌশলকে ইরানের আঞ্চলিক অবরোধ কৌশলের মতো উল্লেখ করেছেন। তিনি মনে করছেন, চীন তার সামরিক শক্তি, অর্থনৈতিক প্রভাব ও আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ত্রাণ ও সমর্থন কমানোর চেষ্টা করছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, নেতানিয়াহু চীনের সম্ভাব্য প্রভাবকে অবমূল্যায়ন করতে চান না, বরং তাৎক্ষণিক এবং শক্তিশালী প্রতিরোধ তৈরি করতে চাইছেন। চীনের ক্রমবর্ধমান সামরিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতার মোকাবিলায় ইসরায়েল কৌশলগত হুমকি হিসেবে সামরিক পদক্ষেপের পরিকল্পনা করছে।

ভবিষ্যৎ পরিস্থিতি ও ঝুঁকি

যদি ইসরায়েল চীনের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান চালায়, তবে এর প্রভাব শুধু চীনের ওপরই পড়বে না, বরং পুরো আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে অচল করে দিতে পারে। যুদ্ধ বিশ্লেষকদের ধারণা, চীনের সামরিক শক্তির কাছে ইসরায়েল কোনোভাবেই অবস্থান করতে পারবে না।

চীন-ইসরায়েল সংঘাত বিশ্বের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে একটি বড় সংকটের সূচনা করতে পারে, যা মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাতকে আরও জটিল এবং বহুগুণ বিস্তৃত করার সম্ভাবনা রাখে। আন্তর্জাতিক মহল এখন এই নতুন ও সম্ভাব্য আক্রমণাত্মক পরিস্থিতির দিকে সতর্ক নজর রাখছে।

২০ জুন ২০২৫
poll_title
তুরস্ক, সৌদি ও পাকিস্তানসহ অন্যান্য দেশ নিয়ে ইসলামি সেনাবাহিনী গড়ার উদ্যোগ নিয়েছে ইরান। আপনি কি এই আর্মি গঠনের পক্ষে?

তুরস্ক, সৌদি ও পাকিস্তানসহ অন্যান্য দেশ নিয়ে ইসলামি সেনাবাহিনী গড়ার উদ্যোগ নিয়েছে ইরান। আপনি কি এই আর্মি গঠনের পক্ষে?

মোট ভোট: ৩০৪১