চলতি বছর বাংলাদেশ ও মেক্সিকোর মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার এবং সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্র খুঁজে বের করতে উভয়পক্ষ আগ্রহী।
মেক্সিকোতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারী শুক্রবার মেক্সিকোর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আন্ডার সেক্রেটারি মারিয়া তেরেসা মারকাদো পেরেজের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এই বিষয়ে আলোচনা হয়।
আন্ডার সেক্রেটারি মারিয়া তেরেসা এই সপ্তাহের শুরুতে সফলভাবে পরিচয়পত্র উপস্থাপনের জন্য রাষ্ট্রদূত মুশফিককে উষ্ণ অভিনন্দন জানান এবং বাংলাদেশের সঙ্গে মেক্সিকোর অংশীদারিত্ব গভীর করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
এসময় উভয়ই স্বীকার করেন যে, ২০২৫ সালে বাংলাদেশ ও মেক্সিকোর মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকী উদযাপন করবে যা দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরো বাড়ানোর একটি চমৎকার সুযোগ তৈরি করবে।
রাষ্ট্রদূত আনসারী দুই দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান বন্ধুত্বকে প্রতিফলিত করে এমন যৌথ উদ্যোগ এবং বার্ষিকী উদযাপনের আয়োজনের এই সুযোগটি কাজে লাগানোর প্রস্তাব করে।
বৈঠকে উভয় পক্ষই আগস্টের শেষের দিকে বা সেপ্টেম্বরের শুরুতে মেক্সিকোতে তৃতীয় পররাষ্ট্র দপ্তর পরামর্শ আয়োজনের বিষয়ে আলোচনা করেন।
এই পরামর্শের লক্ষ্য বিভিন্ন ক্ষেত্রে সম্পৃক্ততা আরো গভীর করা এবং গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা এগিয়ে নেওয়া।
কৃষি, প্রতিরক্ষা, ভিসা মওকুফ, ফুটবল ও দ্বৈত কর পরিহারের মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে অনিষ্পন্ন সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) চূড়ান্ত করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন মুশফিক।
তিনি বাংলাদেশ ও মেক্সিকোর মধ্যে ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক বিনিময়ের বিষয়টিও তুলে ধরেন এবং দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরো সহজতর করার জন্য ঢাকায় একটি মেক্সিকান দূতাবাস খোলার গুরুত্বের ওপর জোর দেন।
আন্ডার সেক্রেটারি মারিয়া তেরেসা মারকাদো পেরেজ রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারীকে এই উদ্যোগগুলোকে এগিয়ে নিতে মেক্সিকোর সম্পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দেন এবং দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারে তার দেশের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
উভয় পক্ষই বাংলাদেশ-মেক্সিকো সম্পর্কের ভবিষ্যত এবং আগামী বছরগুলোতে সম্পর্ক গভীর করার জন্য তাদের অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে আশাবাদ ব্যক্ত করার মধ্য দিয়ে বৈঠকটি ইতিবাচকভাবে শেষ হয়।
বাসস

জয় ও নিঝুম মজুমদারের এই আহ্বানকে দেশবিরোধী বলে মনে করেন ?