বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

আন্তর্জাতিক

১ লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে ইফতার করবেন ড. ইউনূস ও জাতিসংঘ মহাসচিব

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এবং বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আগামী শুক্রবার কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে এক ব্যতিক্রমী ইফতার মাহফিলে অংশ নিতে যাচ্ছেন। প্রায় এক লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে এই ইফতার আয়োজনকে মানবিক ও কূটনৈতিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, তার উদ্যোগেই এই ইফতার পার্টির আয়োজন করা […]

১ লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে ইফতার করবেন ড. ইউনূস ও জাতিসংঘ মহাসচিব

ড. ইউনূস ও জাতিসংঘ মহাসচিব

নিউজ ডেস্ক

১২ মার্চ ২০২৫, ১৭:০০

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এবং বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আগামী শুক্রবার কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে এক ব্যতিক্রমী ইফতার মাহফিলে অংশ নিতে যাচ্ছেন। প্রায় এক লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে এই ইফতার আয়োজনকে মানবিক ও কূটনৈতিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, তার উদ্যোগেই এই ইফতার পার্টির আয়োজন করা হয়েছে, যা রোহিঙ্গাদের প্রতি বাংলাদেশের অব্যাহত সহমর্মিতা ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সংহতির প্রতীক হিসেবে কাজ করবে।

রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরে বলেন, এটি শুধু একটি ইফতার পার্টি নয়, বরং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সামনে বাংলাদেশ ও জাতিসংঘের সমন্বিত মানবিক প্রচেষ্টার একটি উদাহরণ। আগামীকাল বৃহস্পতিবার জাতিসংঘ মহাসচিব চার দিনের সফরে বাংলাদেশে আসছেন। সফরের অংশ হিসেবে তিনি কক্সবাজারের শরণার্থী শিবির পরিদর্শন করবেন এবং সেখানে রোহিঙ্গাদের বর্তমান অবস্থা সরাসরি পর্যবেক্ষণ করবেন।

২০১৭ সালের আগস্টে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সামরিক দমন-পীড়নের শিকার হয়ে সাত লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। বর্তমানে কক্সবাজার ও ভাসানচরে মোট রোহিঙ্গার সংখ্যা ১১ লাখেরও বেশি। যদিও বাংলাদেশ সরকার আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহায়তায় রোহিঙ্গাদের সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে, তবে দীর্ঘমেয়াদী সমাধান এখনও অনিশ্চিত। জাতিসংঘের মতে, রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করা জরুরি, তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে তা বাস্তবায়ন কঠিন। জাতিসংঘ মহাসচিবের এই সফর এবং ইফতার আয়োজনে অংশগ্রহণ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারে এবং নতুন আলোচনার সুযোগ সৃষ্টি করতে পারে।

অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার পর এটি জাতিসংঘ মহাসচিবের প্রথম বাংলাদেশ সফর। তার সফরসূচিতে প্রধানমন্ত্রী ও অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক রয়েছে। পাশাপাশি, কক্সবাজার সফরকালে রোহিঙ্গাদের বর্তমান পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ এবং তাদের সঙ্গে সরাসরি মতবিনিময়ের পরিকল্পনা রয়েছে। কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই সফর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নজর বাংলাদেশে রোহিঙ্গা সংকটের ওপর নতুন করে ফেরাতে পারে এবং বাংলাদেশ সরকারের অবস্থানকে আরও জোরালো করতে সহায়তা করবে। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস শুরু থেকেই রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা এবং তাদের সম্মানজনক প্রত্যাবাসনের পক্ষে ছিলেন। তার সরকারের অধীনে জাতিসংঘের সঙ্গে কৌশলগত অংশীদারত্ব আরও দৃঢ় হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

এই ইফতার আয়োজন রোহিঙ্গাদের প্রতি মানবিক সহমর্মিতার প্রকাশ হলেও এটি নিছক ধর্মীয় বা সামাজিক অনুষ্ঠান নয়। বরং এটি কূটনৈতিকভাবে একটি বড় বার্তা বহন করছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, জাতিসংঘ মহাসচিবের উপস্থিতিতে এই আয়োজন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নজর কক্সবাজারের দিকে আরও জোরালোভাবে ফেরাবে এবং রোহিঙ্গাদের দুর্দশা সমাধানের জন্য নতুন আলোচনা উসকে দেবে। এটি বাংলাদেশ সরকারের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ, কারণ দেশটি দীর্ঘদিন ধরে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে যাচ্ছে এবং এখন আন্তর্জাতিক মহলের সহযোগিতা আরও বেশি প্রয়োজন।

জাতিসংঘ মহাসচিবের সফরের ফলে রোহিঙ্গাদের খাদ্য সহায়তা ও মানবিক তহবিল বৃদ্ধি, নতুন কূটনৈতিক আলোচনা এবং প্রত্যাবাসনের সম্ভাবনা নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। বাংলাদেশের মানবিক উদ্যোগ ও আন্তর্জাতিক সংহতির প্রতীক হিসেবে এই ইফতার আয়োজন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। জাতিসংঘ মহাসচিবের সফর এবং ইফতার অনুষ্ঠানে তার অংশগ্রহণ আন্তর্জাতিকভাবে রোহিঙ্গা সংকটের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করবে এবং সংকট সমাধানের জন্য নতুন কৌশল নির্ধারণে সাহায্য করতে পারে। এই সফরের মধ্য দিয়ে জাতিসংঘ ও বাংলাদেশের মধ্যে সহযোগিতা আরও দৃঢ় হবে এবং রোহিঙ্গা ইস্যুতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ভূমিকা নতুন মাত্রা পেতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

১০ জানুয়ারী ২০২৫
poll_title
সচিবালয়ে আগুন

সচিবালয়ে আগুনের ঘটনা পরিকল্পিত বলে সন্দেহ করছেন অনেকে। আপনি কী মনে করেন?

মোট ভোট: ১১৫৯

আন্তর্জাতিক

রাশিয়ার বড় বড় পোশাক কারখানা বাংলাদেশে স্থানান্তরের পরিকল্পনা

শ্রমিক সংকট ও উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় রাশিয়ার সবচেয়ে বড় পোশাক প্রস্তুতকারক কোম্পানিগুলো বাংলাদেশসহ অন্য দেশগুলোতে সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করছে দেশটি। এর মধ্যে রয়েছে গ্লোরিয়া জিনস নামের পোশাক কোম্পানি। রাশিয়াজুড়ে গ্লোরিয়া জিনসের ১৮টি কারখানা রয়েছে। তারা মূলত পোশাক ও জুতো তৈরি করে। সম্প্রতি রুশ গণমাধ্যম কমারসান্তকে উদ্ধৃত করে ইউক্রেনের অনলাইন সংবাদপত্র ইউক্রেইনস্কা প্রাভদা জানিয়েছে, রাশিয়ার […]

নিউজ ডেস্ক

১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০:২৪

শ্রমিক সংকট ও উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় রাশিয়ার সবচেয়ে বড় পোশাক প্রস্তুতকারক কোম্পানিগুলো বাংলাদেশসহ অন্য দেশগুলোতে সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করছে দেশটি। এর মধ্যে রয়েছে গ্লোরিয়া জিনস নামের পোশাক কোম্পানি। রাশিয়াজুড়ে গ্লোরিয়া জিনসের ১৮টি কারখানা রয়েছে। তারা মূলত পোশাক ও জুতো তৈরি করে।

সম্প্রতি রুশ গণমাধ্যম কমারসান্তকে উদ্ধৃত করে ইউক্রেনের অনলাইন সংবাদপত্র ইউক্রেইনস্কা প্রাভদা জানিয়েছে, রাশিয়ার পোশাকশিল্পে দক্ষ কর্মীর সংকট দিনে দিনে গভীর হচ্ছে। ২০২৪ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে দেশটিতে শ্রমিক-ঘাটতি আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে। শ্রমিক-সংকটের পাশাপাশি রাশিয়ায় তৈরি কাঁচামাল ও আনুষঙ্গিক উপকরণের মানও খারাপ। ফলে পোশাক খাতের ব্যবসায়ীদের অন্য দেশ থেকে পণ্য জোগাড় করতে হচ্ছে।

এ ছাড়া পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রেখেছে। এর ফলে বিদেশ থেকে সেলাই করার যন্ত্রপাতি আমদানি করা রুশ ব্যবসায়ীদের জন্য কঠিন হয়ে পড়েছে। কারণ, নিষেধাজ্ঞার মধ্যে এসব আমদানির বিপরীতে দাম পরিশোধ করা যাচ্ছে না।

এ বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে গ্লোরিয়া জিনস কোম্পানিটির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তারা কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানায় বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ কার হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়, একসময় চীন ছিল রাশিয়ার পোশাক প্রস্তুতকারকদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে। কিন্তু রুশ ব্র্যান্ডগুলো এখন আর চীনে যেতে খুব একটা আগ্রহী নয়। ফ্যাশনশিল্পের সঙ্গে জড়িত এক প্রতিনিধি বিষয়টি ব্যাখ্যা করে বলেন, বর্তমানে চীনে শ্রমিক মজুরি বাংলাদেশ কিংবা উজবেকিস্তানের তুলনায় অনেক বেশি।

তাই কোম্পানিটি তাদের উৎপাদনব্যবস্থা ভিয়েতনাম, বাংলাদেশ বা উজবেকিস্তানে সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করছে। কারণ উজবেকিস্তানে তুলার উৎপাদন হয়, সে কারণে কাঁচামালের স্থিতিশীল সরবরাহ রয়েছে। এসব দেশে ভালো মানের শিল্পসুবিধা বিদ্যমান। ফলে কাঁচামালের সরবরাহ কিংবা উৎপাদন খরচ নিয়ে কোনো ঝামেলা পোহাতেও হয় না।

১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
poll_title
বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারতের হস্তক্ষেপের আহ্বান

জয় ও নিঝুম মজুমদারের এই আহ্বানকে দেশবিরোধী বলে মনে করেন ?

মোট ভোট: ৫৮০

আন্তর্জাতিক

হাসপাতালের রোগীদের ওপর গুলি চালিয়েছে ইসরাইলি স্নাইপাররা

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার কামাল আদোয়ান হাসপাতালের পরিচালক ডাক্তার হুসাম আবু সাফিয়া বলেছেন, ইহুদিবাদী ইসরাইলের সামরিক বাহিনীর স্নাইপাররা তার হাসপাতালের চিকিৎসাধীন রোগী এবং ইন্টেনসিভ কেয়ার ইউনিট বা আইসিইউ-এর স্টাফদের ওপর গুলি চালিয়েছে। তিনি জানান, ইহুদিবাদী স্নাইপাররা গত সোমবার প্রথমবারের মতো আইসিইউ স্টাফদের ওপর গুলি চালায়। হাসপাতালের সমস্ত জানালায় গুলি লেগেছে বলে তিনি জানান। ডাক্তার হুসাম […]

নিউজ ডেস্ক

১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮:৫১

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার কামাল আদোয়ান হাসপাতালের পরিচালক ডাক্তার হুসাম আবু সাফিয়া বলেছেন, ইহুদিবাদী ইসরাইলের সামরিক বাহিনীর স্নাইপাররা তার হাসপাতালের চিকিৎসাধীন রোগী এবং ইন্টেনসিভ কেয়ার ইউনিট বা আইসিইউ-এর স্টাফদের ওপর গুলি চালিয়েছে।

তিনি জানান, ইহুদিবাদী স্নাইপাররা গত সোমবার প্রথমবারের মতো আইসিইউ স্টাফদের ওপর গুলি চালায়। হাসপাতালের সমস্ত জানালায় গুলি লেগেছে বলে তিনি জানান।

ডাক্তার হুসাম জানান, হাসপাতালের পরিস্থিতি ক্রমেই অবনতির দিকে যাচ্ছে এবং এই হাসপাতাল সবার জন্য কবরস্থানে পরিণত হবে।

ইসরাইলি স্নাইপারদের গুলির সময় হাসপাতালের ওয়ার্ডগুলোতে থাকা সবাই ঝুঁকির মুখে ছিল এবং রোগী ও স্টাফদের জন্য মারাত্মক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। ওই সময় ইসরাইলের কোয়াডকপ্টার থেকেও হাসপাতালের ওপর গুলি চালানো হয়েছে।

তিনি জানান, হাসপাতাল ভবন, এর আশপাশ কিংবা এর ভেতরে যারাই চলাচল করেছে তাদের ওপর গুলি চালানো হয়েছে। হাসপাতালটির সুরক্ষায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি ভূমিকা নেয়ার আহ্বান জানান পরিচালক হুসাম সাফিয়া।

সূত্রঃ পার্সটুডে

১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
poll_title
বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারতের হস্তক্ষেপের আহ্বান

জয় ও নিঝুম মজুমদারের এই আহ্বানকে দেশবিরোধী বলে মনে করেন ?

মোট ভোট: ৫৮০

জাতীয়

বেনজীরের খেলা শেষ? ইন্টারপোলের জালে ধরা সাবেক আইজিপি

গত ১৬ বছর ধরে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কিছু সদস্য দেশকে অস্থিতিশীল করার কাজে লিপ্ত ছিল। বিশেষ করে অন্তত দুই ডজন পুলিশ কর্মকর্তা প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে নিজেদের স্বার্থে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। ক্ষমতাচ্যুত হাসিনা সরকারের পতনের পর, সেই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের অনেকেই পলাতক রয়েছেন। তবে দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র এখনও থামেনি। সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ পলাতক থেকেও […]

বেনজীরের খেলা শেষ? ইন্টারপোলের জালে ধরা সাবেক আইজিপি

ছবি : সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০১:৫৩

গত ১৬ বছর ধরে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কিছু সদস্য দেশকে অস্থিতিশীল করার কাজে লিপ্ত ছিল। বিশেষ করে অন্তত দুই ডজন পুলিশ কর্মকর্তা প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে নিজেদের স্বার্থে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। ক্ষমতাচ্যুত হাসিনা সরকারের পতনের পর, সেই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের অনেকেই পলাতক রয়েছেন। তবে দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র এখনও থামেনি।

সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ পলাতক থেকেও ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে পুলিশের গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে তিনি মানবাধিকার লঙ্ঘন ও দুর্নীতির মতো গুরুতর অনিয়মে জড়িত ছিলেন। সম্প্রতি তিনি ভার্চুয়াল মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সমর্থকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন, যা নতুন ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত বলে মনে করা হচ্ছে।

তবে এবার পরিস্থিতি পাল্টাতে শুরু করেছে। আদালত ইন্টারপোলের মাধ্যমে সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দিয়েছে। ২০২১ সালে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্র র‍্যাবের সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল, যার মধ্যে বেনজীর আহমেদও ছিলেন। নিষেধাজ্ঞার পরও তিনি যুক্তরাষ্ট্র সফর করেছিলেন, তবে এবার পালিয়ে থাকার সুযোগ নেই।

অনেকেই সন্দেহ করছেন, ইন্টারপোলের রেড এলার্ট কতটা কার্যকর হবে। আন্তর্জাতিক অপরাধ পুলিশ সংস্থা বা ইন্টারপোল বিভিন্ন দেশের পুলিশ বাহিনীকে সহযোগিতা করে থাকে। কোনো অপরাধী নিজ দেশ থেকে পালিয়ে অন্য দেশে আশ্রয় নিলে, ইন্টারপোল তাকে ফিরিয়ে আনার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে।


বাংলাদেশ ১৯৭৬ সালে ইন্টারপোলের সদস্যপদ লাভ করে। বর্তমানে ইন্টারপোলের তালিকায় ১৯৫টি দেশের ৬,০৬৯ জনের নাম রেড এলার্টে রয়েছে, যার মধ্যে বাংলাদেশ থেকে ৬৪ জনের নাম অন্তর্ভুক্ত।২০০৯ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে মাত্র ১৫ জন পলাতক আসামিকে দেশে ফেরানো সম্ভব হয়েছে। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হতে চলেছে সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের নাম। প্রশ্ন হচ্ছে, তিনি কি সত্যিই ধরা পড়বেন, নাকি ফেরারির খেলায় আবারও রক্ষা পাবেন?

২৪ জানুয়ারী ২০২৫
poll_title
বাংলাদেশের পুলিশ, র‍্যাব ও আনসারের নতুন ড্রেস

বাংলাদেশের পুলিশ, র‍্যাব ও আনসারের ড্রেস নিয়ে আপনার মতামত কী?

মোট ভোট: ৬০০