বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

আন্তর্জাতিক

আরব সাগরে যুদ্ধজাহাজ নিয়ে হাজির রাশিয়া-ইরান, অংশ নিতে আসছে চীন

আরব সাগরে নতুন সামরিক শক্তির প্রদর্শনী হিসেবে যৌথ মহড়ায় অংশ নিয়েছে রাশিয়া ও ইরান। ইরানের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় উপকূলে উভয় দেশের যুদ্ধজাহাজগুলোকে যৌথভাবে মহড়ায় অংশ নিতে দেখা গেছে। এটি সপ্তম যৌথ “মেরিটাইম সিকিউরিটি বেল্ট এক্সারসাইজ ২০২৫”, যেখানে চীনও অংশ নিচ্ছে। রোববার রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। এই মহড়ার অংশ হিসেবে রাশিয়ার করভেট “আলদার […]

আরব সাগরে যুদ্ধজাহাজ নিয়ে হাজির রাশিয়া-ইরান, অংশ নিতে আসছে চীন

ছবি: সংগৃহিত

নিউজ ডেস্ক

১২ মার্চ ২০২৫, ১০:৪৬

আরব সাগরে নতুন সামরিক শক্তির প্রদর্শনী হিসেবে যৌথ মহড়ায় অংশ নিয়েছে রাশিয়া ও ইরান। ইরানের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় উপকূলে উভয় দেশের যুদ্ধজাহাজগুলোকে যৌথভাবে মহড়ায় অংশ নিতে দেখা গেছে। এটি সপ্তম যৌথ “মেরিটাইম সিকিউরিটি বেল্ট এক্সারসাইজ ২০২৫”, যেখানে চীনও অংশ নিচ্ছে। রোববার রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

এই মহড়ার অংশ হিসেবে রাশিয়ার করভেট “আলদার সাইদেনঝাপোভ” এবং ইরানের ফাস্ট অ্যাটাক ক্রাফট “নেইজেহ পি-২৩৫”-কে ইরানের কৌশলগত সামরিক ঘাঁটি “কোনারাক”-এর দিকে যেতে দেখা গেছে। পরবর্তীতে রুশ নাবিকরা এ সংক্রান্ত একটি সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেন, যেখানে রুশ ক্যাপ্টেন আলেকসেই আন্তসিফিরভ জানান, এই মহড়ার মূল উদ্দেশ্য হলো সামুদ্রিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং যে কোনো ধরনের হুমকি মোকাবিলায় যৌথ সহযোগিতা প্রতিষ্ঠা করা।

তিনি বলেন, “সাগরে যদি কোনো হুমকি পাই, তাহলে ইরান ও চীনের সঙ্গে সহযোগিতার মাধ্যমে তা মোকাবিলা করবো। চীন, ইরান ও রাশিয়ার মধ্যে ভালো সম্পর্ক রয়েছে এবং এই যৌথ সামরিক মহড়া এ অঞ্চলের নিরাপত্তাকে আরও শক্তিশালী করতে সহায়তা করবে।”

এই মহড়ায় চীনও তাদের শক্তিশালী নৌবাহিনীর উপস্থিতি নিশ্চিত করেছে। বেইজিং ঘোষণা দিয়েছে যে, চীনের টাইপ ওফাইভটুডি গাইডেড মিসাইল ডেস্ট্রয়ার ‘বাওতৌ’ এবং সাপ্লাই শিপ ‘গাওইউহো’ মহড়ায় অংশ নেবে। চীন এর আগেও এই ধরনের মহড়ায় অংশ নিয়েছে এবং এবারও ইরান ও রাশিয়ার সঙ্গে তাদের অংশগ্রহণ সামরিক কৌশলগত দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

এই বহুজাতিক সামরিক মহড়ার গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে তুলেছে এর পর্যবেক্ষক দেশগুলোর তালিকা। এবারের মহড়ায় পর্যবেক্ষক হিসেবে থাকছে আজারবাইজান, দক্ষিণ আফ্রিকা, ওমান, কাজাখস্থান, পাকিস্তান, কাতার, ইরাক, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও শ্রীলঙ্কা। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই ধরনের বহুপাক্ষিক সামরিক মহড়া মধ্যপ্রাচ্য ও এশিয়া অঞ্চলের ভূরাজনৈতিক ভারসাম্যে নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে।

রাশিয়া, চীন ও ইরানের এই শক্তিশালী জোট সামুদ্রিক নিরাপত্তা রক্ষার নামে মূলত পশ্চিমা সামরিক প্রভাবের বিরুদ্ধে নিজেদের অবস্থান সুসংহত করছে বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা। বিশেষ করে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্র দেশগুলোর নৌবাহিনীর প্রভাব মোকাবিলায় এই মহড়া নতুন কৌশলগত সমীকরণ তৈরি করতে পারে।

মধ্যপ্রাচ্যের কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল ও রাশিয়া-ইরান-চীনের ভূমিকা

এই মহড়া এমন এক সময়ে হচ্ছে যখন মধ্যপ্রাচ্য ও দক্ষিণ এশিয়ায় সামরিক উত্তেজনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইরানের ওপর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা আরও কঠোর হচ্ছে, চীনের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নানা বাণিজ্যিক ও সামরিক পদক্ষেপ জোরদার হয়েছে এবং রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধে ব্যস্ত থাকলেও আন্তর্জাতিক শক্তির সমীকরণে তাদের অবস্থান ধরে রাখার চেষ্টা করছে।

বহুপাক্ষিক এই মহড়া বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে, কারণ এটি এমন অঞ্চলে হচ্ছে যেখানে আমেরিকা ও তার মিত্রদের শক্তিশালী সামরিক উপস্থিতি রয়েছে। আরব সাগর ও পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলে এই যৌথ মহড়া নতুন ভূরাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে বলে ধারণা করছেন সামরিক বিশ্লেষকরা।

বিশ্লেষকদের মতে, এই সামরিক মহড়ার মাধ্যমে ইরান, রাশিয়া ও চীন তাদের শক্তিমত্তার প্রকাশ ঘটাচ্ছে এবং পশ্চিমা সামরিক শক্তির প্রভাব খর্ব করতে চাইছে। মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় এই ধরনের কৌশলগত পদক্ষেপ ভবিষ্যতে আরও বড় সামরিক জোটের দিকে ইঙ্গিত করতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই মহড়া কেবলমাত্র প্রশিক্ষণের জন্যই নয় বরং এটি একটি রাজনৈতিক বার্তা, যা পশ্চিমা শক্তিগুলোর জন্য সতর্কসংকেত হিসেবে কাজ করবে। এটি এমন এক সময় অনুষ্ঠিত হচ্ছে যখন যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা ইরানবিরোধী পদক্ষেপ বাড়াচ্ছে এবং রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরও কঠোর হচ্ছে। একইসঙ্গে, চীন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য ও প্রযুক্তিগত দ্বন্দ্বে লিপ্ত রয়েছে।

বিশ্ব রাজনীতির বর্তমান প্রেক্ষাপটে এই মহড়া আন্তর্জাতিক শক্তির নতুন মেরুকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
poll_title
বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারতের হস্তক্ষেপের আহ্বান

জয় ও নিঝুম মজুমদারের এই আহ্বানকে দেশবিরোধী বলে মনে করেন ?

মোট ভোট: ৫৭৬
বিষয়ঃ

আন্তর্জাতিক

রাশিয়ার বড় বড় পোশাক কারখানা বাংলাদেশে স্থানান্তরের পরিকল্পনা

শ্রমিক সংকট ও উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় রাশিয়ার সবচেয়ে বড় পোশাক প্রস্তুতকারক কোম্পানিগুলো বাংলাদেশসহ অন্য দেশগুলোতে সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করছে দেশটি। এর মধ্যে রয়েছে গ্লোরিয়া জিনস নামের পোশাক কোম্পানি। রাশিয়াজুড়ে গ্লোরিয়া জিনসের ১৮টি কারখানা রয়েছে। তারা মূলত পোশাক ও জুতো তৈরি করে। সম্প্রতি রুশ গণমাধ্যম কমারসান্তকে উদ্ধৃত করে ইউক্রেনের অনলাইন সংবাদপত্র ইউক্রেইনস্কা প্রাভদা জানিয়েছে, রাশিয়ার […]

নিউজ ডেস্ক

১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০:২৪

শ্রমিক সংকট ও উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় রাশিয়ার সবচেয়ে বড় পোশাক প্রস্তুতকারক কোম্পানিগুলো বাংলাদেশসহ অন্য দেশগুলোতে সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করছে দেশটি। এর মধ্যে রয়েছে গ্লোরিয়া জিনস নামের পোশাক কোম্পানি। রাশিয়াজুড়ে গ্লোরিয়া জিনসের ১৮টি কারখানা রয়েছে। তারা মূলত পোশাক ও জুতো তৈরি করে।

সম্প্রতি রুশ গণমাধ্যম কমারসান্তকে উদ্ধৃত করে ইউক্রেনের অনলাইন সংবাদপত্র ইউক্রেইনস্কা প্রাভদা জানিয়েছে, রাশিয়ার পোশাকশিল্পে দক্ষ কর্মীর সংকট দিনে দিনে গভীর হচ্ছে। ২০২৪ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে দেশটিতে শ্রমিক-ঘাটতি আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে। শ্রমিক-সংকটের পাশাপাশি রাশিয়ায় তৈরি কাঁচামাল ও আনুষঙ্গিক উপকরণের মানও খারাপ। ফলে পোশাক খাতের ব্যবসায়ীদের অন্য দেশ থেকে পণ্য জোগাড় করতে হচ্ছে।

এ ছাড়া পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রেখেছে। এর ফলে বিদেশ থেকে সেলাই করার যন্ত্রপাতি আমদানি করা রুশ ব্যবসায়ীদের জন্য কঠিন হয়ে পড়েছে। কারণ, নিষেধাজ্ঞার মধ্যে এসব আমদানির বিপরীতে দাম পরিশোধ করা যাচ্ছে না।

এ বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে গ্লোরিয়া জিনস কোম্পানিটির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তারা কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানায় বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ কার হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়, একসময় চীন ছিল রাশিয়ার পোশাক প্রস্তুতকারকদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে। কিন্তু রুশ ব্র্যান্ডগুলো এখন আর চীনে যেতে খুব একটা আগ্রহী নয়। ফ্যাশনশিল্পের সঙ্গে জড়িত এক প্রতিনিধি বিষয়টি ব্যাখ্যা করে বলেন, বর্তমানে চীনে শ্রমিক মজুরি বাংলাদেশ কিংবা উজবেকিস্তানের তুলনায় অনেক বেশি।

তাই কোম্পানিটি তাদের উৎপাদনব্যবস্থা ভিয়েতনাম, বাংলাদেশ বা উজবেকিস্তানে সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করছে। কারণ উজবেকিস্তানে তুলার উৎপাদন হয়, সে কারণে কাঁচামালের স্থিতিশীল সরবরাহ রয়েছে। এসব দেশে ভালো মানের শিল্পসুবিধা বিদ্যমান। ফলে কাঁচামালের সরবরাহ কিংবা উৎপাদন খরচ নিয়ে কোনো ঝামেলা পোহাতেও হয় না।

১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
poll_title
বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারতের হস্তক্ষেপের আহ্বান

জয় ও নিঝুম মজুমদারের এই আহ্বানকে দেশবিরোধী বলে মনে করেন ?

মোট ভোট: ৫৭৬

আন্তর্জাতিক

হাসপাতালের রোগীদের ওপর গুলি চালিয়েছে ইসরাইলি স্নাইপাররা

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার কামাল আদোয়ান হাসপাতালের পরিচালক ডাক্তার হুসাম আবু সাফিয়া বলেছেন, ইহুদিবাদী ইসরাইলের সামরিক বাহিনীর স্নাইপাররা তার হাসপাতালের চিকিৎসাধীন রোগী এবং ইন্টেনসিভ কেয়ার ইউনিট বা আইসিইউ-এর স্টাফদের ওপর গুলি চালিয়েছে। তিনি জানান, ইহুদিবাদী স্নাইপাররা গত সোমবার প্রথমবারের মতো আইসিইউ স্টাফদের ওপর গুলি চালায়। হাসপাতালের সমস্ত জানালায় গুলি লেগেছে বলে তিনি জানান। ডাক্তার হুসাম […]

নিউজ ডেস্ক

১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮:৫১

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার কামাল আদোয়ান হাসপাতালের পরিচালক ডাক্তার হুসাম আবু সাফিয়া বলেছেন, ইহুদিবাদী ইসরাইলের সামরিক বাহিনীর স্নাইপাররা তার হাসপাতালের চিকিৎসাধীন রোগী এবং ইন্টেনসিভ কেয়ার ইউনিট বা আইসিইউ-এর স্টাফদের ওপর গুলি চালিয়েছে।

তিনি জানান, ইহুদিবাদী স্নাইপাররা গত সোমবার প্রথমবারের মতো আইসিইউ স্টাফদের ওপর গুলি চালায়। হাসপাতালের সমস্ত জানালায় গুলি লেগেছে বলে তিনি জানান।

ডাক্তার হুসাম জানান, হাসপাতালের পরিস্থিতি ক্রমেই অবনতির দিকে যাচ্ছে এবং এই হাসপাতাল সবার জন্য কবরস্থানে পরিণত হবে।

ইসরাইলি স্নাইপারদের গুলির সময় হাসপাতালের ওয়ার্ডগুলোতে থাকা সবাই ঝুঁকির মুখে ছিল এবং রোগী ও স্টাফদের জন্য মারাত্মক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। ওই সময় ইসরাইলের কোয়াডকপ্টার থেকেও হাসপাতালের ওপর গুলি চালানো হয়েছে।

তিনি জানান, হাসপাতাল ভবন, এর আশপাশ কিংবা এর ভেতরে যারাই চলাচল করেছে তাদের ওপর গুলি চালানো হয়েছে। হাসপাতালটির সুরক্ষায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি ভূমিকা নেয়ার আহ্বান জানান পরিচালক হুসাম সাফিয়া।

সূত্রঃ পার্সটুডে

১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
poll_title
বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারতের হস্তক্ষেপের আহ্বান

জয় ও নিঝুম মজুমদারের এই আহ্বানকে দেশবিরোধী বলে মনে করেন ?

মোট ভোট: ৫৭৬

আন্তর্জাতিক

সাতসকালে বন্দুকযুদ্ধ, ভারতীয় দুই সেনাসহ নিহত ১৪

সাতসকালে বন্দুকযুদ্ধে ভারতীয় দুই সেনাসহ অন্তত ১৪ জন নিহত হয়েছেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে ছত্তিশগড়ের বিজাপুর জেলায় নিরাপত্তা কর্মীরা অভিযানে যান। এসময় তাদের সঙ্গে মাওবাদীদের ভয়ঙ্কর বন্দুকযুদ্ধ শুরু হয়। এতে অন্তত ১২ জন মাওবাদী এবং দুই সেন সদস্য নিহত হন। এনকাউন্টার চলাকালীন দুই জওয়ান প্রাণ হারানোর পাশাপাশি অপর দু’জন […]

নিউজ ডেস্ক

০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১৪:১২

সাতসকালে বন্দুকযুদ্ধে ভারতীয় দুই সেনাসহ অন্তত ১৪ জন নিহত হয়েছেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে ছত্তিশগড়ের বিজাপুর জেলায় নিরাপত্তা কর্মীরা অভিযানে যান। এসময় তাদের সঙ্গে মাওবাদীদের ভয়ঙ্কর বন্দুকযুদ্ধ শুরু হয়।

এতে অন্তত ১২ জন মাওবাদী এবং দুই সেন সদস্য নিহত হন।

এনকাউন্টার চলাকালীন দুই জওয়ান প্রাণ হারানোর পাশাপাশি অপর দু’জন সেনা সদস্যও আহত হয়েছে। তাদরেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।

একজন সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, নিরাপত্তা কর্মীদের একটি দল যখন মাওবাদী বিরোধী অভিযান চালাচ্ছিলেন, তখন সকালের সময় ইন্দ্রাবতী জাতীয় উদ্যান এলাকার একটি ঘন জঙ্গলে বন্দুকযুদ্ধ শুরু হয়। “প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, বন্দুকযুদ্ধে ১২ জন মাওবাদী নিহত হয়েছে।”

তিনি যোগ করেন, যে এলাকায় একটি বিরতিহীন গুলি বিনিময় এখনও চলছে, আরও বিশদ বিবরণের জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে। পরিস্থিতি এখনও উত্তেজনাপূর্ণ, এবং কর্তৃপক্ষ উচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।

এদিকে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বলছে, বস্তার রেঞ্জের পুলিশ মহাপরিদর্শক সুন্দররাজ পি, নিশ্চিত করেছেন যে এনকাউন্টারে নিহত একজন জওয়ান ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড (ডিআরজি) এবং অপরজন মাওবাদী বিরোধী অভিযানে বিশেষজ্ঞ স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ) রাজ্য-স্তরের সদস্য ছিলেন।

১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
poll_title
বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারতের হস্তক্ষেপের আহ্বান

জয় ও নিঝুম মজুমদারের এই আহ্বানকে দেশবিরোধী বলে মনে করেন ?

মোট ভোট: ৫৭৬