রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

আন্তর্জাতিক

আরব সাগরে যুদ্ধজাহাজ নিয়ে হাজির রাশিয়া-ইরান, অংশ নিতে আসছে চীন

আরব সাগরে নতুন সামরিক শক্তির প্রদর্শনী হিসেবে যৌথ মহড়ায় অংশ নিয়েছে রাশিয়া ও ইরান। ইরানের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় উপকূলে উভয় দেশের যুদ্ধজাহাজগুলোকে যৌথভাবে মহড়ায় অংশ নিতে দেখা গেছে। এটি সপ্তম যৌথ “মেরিটাইম সিকিউরিটি বেল্ট এক্সারসাইজ ২০২৫”, যেখানে চীনও অংশ নিচ্ছে। রোববার রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। এই মহড়ার অংশ হিসেবে রাশিয়ার করভেট “আলদার […]

আরব সাগরে যুদ্ধজাহাজ নিয়ে হাজির রাশিয়া-ইরান, অংশ নিতে আসছে চীন

ছবি: সংগৃহিত

নিউজ ডেস্ক

১২ মার্চ ২০২৫, ১০:৪৬

আরব সাগরে নতুন সামরিক শক্তির প্রদর্শনী হিসেবে যৌথ মহড়ায় অংশ নিয়েছে রাশিয়া ও ইরান। ইরানের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় উপকূলে উভয় দেশের যুদ্ধজাহাজগুলোকে যৌথভাবে মহড়ায় অংশ নিতে দেখা গেছে। এটি সপ্তম যৌথ “মেরিটাইম সিকিউরিটি বেল্ট এক্সারসাইজ ২০২৫”, যেখানে চীনও অংশ নিচ্ছে। রোববার রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

এই মহড়ার অংশ হিসেবে রাশিয়ার করভেট “আলদার সাইদেনঝাপোভ” এবং ইরানের ফাস্ট অ্যাটাক ক্রাফট “নেইজেহ পি-২৩৫”-কে ইরানের কৌশলগত সামরিক ঘাঁটি “কোনারাক”-এর দিকে যেতে দেখা গেছে। পরবর্তীতে রুশ নাবিকরা এ সংক্রান্ত একটি সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেন, যেখানে রুশ ক্যাপ্টেন আলেকসেই আন্তসিফিরভ জানান, এই মহড়ার মূল উদ্দেশ্য হলো সামুদ্রিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং যে কোনো ধরনের হুমকি মোকাবিলায় যৌথ সহযোগিতা প্রতিষ্ঠা করা।

তিনি বলেন, “সাগরে যদি কোনো হুমকি পাই, তাহলে ইরান ও চীনের সঙ্গে সহযোগিতার মাধ্যমে তা মোকাবিলা করবো। চীন, ইরান ও রাশিয়ার মধ্যে ভালো সম্পর্ক রয়েছে এবং এই যৌথ সামরিক মহড়া এ অঞ্চলের নিরাপত্তাকে আরও শক্তিশালী করতে সহায়তা করবে।”

এই মহড়ায় চীনও তাদের শক্তিশালী নৌবাহিনীর উপস্থিতি নিশ্চিত করেছে। বেইজিং ঘোষণা দিয়েছে যে, চীনের টাইপ ওফাইভটুডি গাইডেড মিসাইল ডেস্ট্রয়ার ‘বাওতৌ’ এবং সাপ্লাই শিপ ‘গাওইউহো’ মহড়ায় অংশ নেবে। চীন এর আগেও এই ধরনের মহড়ায় অংশ নিয়েছে এবং এবারও ইরান ও রাশিয়ার সঙ্গে তাদের অংশগ্রহণ সামরিক কৌশলগত দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

এই বহুজাতিক সামরিক মহড়ার গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে তুলেছে এর পর্যবেক্ষক দেশগুলোর তালিকা। এবারের মহড়ায় পর্যবেক্ষক হিসেবে থাকছে আজারবাইজান, দক্ষিণ আফ্রিকা, ওমান, কাজাখস্থান, পাকিস্তান, কাতার, ইরাক, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও শ্রীলঙ্কা। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই ধরনের বহুপাক্ষিক সামরিক মহড়া মধ্যপ্রাচ্য ও এশিয়া অঞ্চলের ভূরাজনৈতিক ভারসাম্যে নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে।

রাশিয়া, চীন ও ইরানের এই শক্তিশালী জোট সামুদ্রিক নিরাপত্তা রক্ষার নামে মূলত পশ্চিমা সামরিক প্রভাবের বিরুদ্ধে নিজেদের অবস্থান সুসংহত করছে বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা। বিশেষ করে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্র দেশগুলোর নৌবাহিনীর প্রভাব মোকাবিলায় এই মহড়া নতুন কৌশলগত সমীকরণ তৈরি করতে পারে।

মধ্যপ্রাচ্যের কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল ও রাশিয়া-ইরান-চীনের ভূমিকা

এই মহড়া এমন এক সময়ে হচ্ছে যখন মধ্যপ্রাচ্য ও দক্ষিণ এশিয়ায় সামরিক উত্তেজনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইরানের ওপর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা আরও কঠোর হচ্ছে, চীনের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নানা বাণিজ্যিক ও সামরিক পদক্ষেপ জোরদার হয়েছে এবং রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধে ব্যস্ত থাকলেও আন্তর্জাতিক শক্তির সমীকরণে তাদের অবস্থান ধরে রাখার চেষ্টা করছে।

বহুপাক্ষিক এই মহড়া বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে, কারণ এটি এমন অঞ্চলে হচ্ছে যেখানে আমেরিকা ও তার মিত্রদের শক্তিশালী সামরিক উপস্থিতি রয়েছে। আরব সাগর ও পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলে এই যৌথ মহড়া নতুন ভূরাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে বলে ধারণা করছেন সামরিক বিশ্লেষকরা।

বিশ্লেষকদের মতে, এই সামরিক মহড়ার মাধ্যমে ইরান, রাশিয়া ও চীন তাদের শক্তিমত্তার প্রকাশ ঘটাচ্ছে এবং পশ্চিমা সামরিক শক্তির প্রভাব খর্ব করতে চাইছে। মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় এই ধরনের কৌশলগত পদক্ষেপ ভবিষ্যতে আরও বড় সামরিক জোটের দিকে ইঙ্গিত করতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই মহড়া কেবলমাত্র প্রশিক্ষণের জন্যই নয় বরং এটি একটি রাজনৈতিক বার্তা, যা পশ্চিমা শক্তিগুলোর জন্য সতর্কসংকেত হিসেবে কাজ করবে। এটি এমন এক সময় অনুষ্ঠিত হচ্ছে যখন যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা ইরানবিরোধী পদক্ষেপ বাড়াচ্ছে এবং রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরও কঠোর হচ্ছে। একইসঙ্গে, চীন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য ও প্রযুক্তিগত দ্বন্দ্বে লিপ্ত রয়েছে।

বিশ্ব রাজনীতির বর্তমান প্রেক্ষাপটে এই মহড়া আন্তর্জাতিক শক্তির নতুন মেরুকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
poll_title
বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারতের হস্তক্ষেপের আহ্বান

জয় ও নিঝুম মজুমদারের এই আহ্বানকে দেশবিরোধী বলে মনে করেন ?

মোট ভোট: ৮৯০
বিষয়ঃ

আন্তর্জাতিক

সাতসকালে বন্দুকযুদ্ধ, ভারতীয় দুই সেনাসহ নিহত ১৪

সাতসকালে বন্দুকযুদ্ধে ভারতীয় দুই সেনাসহ অন্তত ১৪ জন নিহত হয়েছেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে ছত্তিশগড়ের বিজাপুর জেলায় নিরাপত্তা কর্মীরা অভিযানে যান। এসময় তাদের সঙ্গে মাওবাদীদের ভয়ঙ্কর বন্দুকযুদ্ধ শুরু হয়। এতে অন্তত ১২ জন মাওবাদী এবং দুই সেন সদস্য নিহত হন। এনকাউন্টার চলাকালীন দুই জওয়ান প্রাণ হারানোর পাশাপাশি অপর দু’জন […]

নিউজ ডেস্ক

০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১৪:১২

সাতসকালে বন্দুকযুদ্ধে ভারতীয় দুই সেনাসহ অন্তত ১৪ জন নিহত হয়েছেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে ছত্তিশগড়ের বিজাপুর জেলায় নিরাপত্তা কর্মীরা অভিযানে যান। এসময় তাদের সঙ্গে মাওবাদীদের ভয়ঙ্কর বন্দুকযুদ্ধ শুরু হয়।

এতে অন্তত ১২ জন মাওবাদী এবং দুই সেন সদস্য নিহত হন।

এনকাউন্টার চলাকালীন দুই জওয়ান প্রাণ হারানোর পাশাপাশি অপর দু’জন সেনা সদস্যও আহত হয়েছে। তাদরেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।

একজন সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, নিরাপত্তা কর্মীদের একটি দল যখন মাওবাদী বিরোধী অভিযান চালাচ্ছিলেন, তখন সকালের সময় ইন্দ্রাবতী জাতীয় উদ্যান এলাকার একটি ঘন জঙ্গলে বন্দুকযুদ্ধ শুরু হয়। “প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, বন্দুকযুদ্ধে ১২ জন মাওবাদী নিহত হয়েছে।”

তিনি যোগ করেন, যে এলাকায় একটি বিরতিহীন গুলি বিনিময় এখনও চলছে, আরও বিশদ বিবরণের জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে। পরিস্থিতি এখনও উত্তেজনাপূর্ণ, এবং কর্তৃপক্ষ উচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।

এদিকে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বলছে, বস্তার রেঞ্জের পুলিশ মহাপরিদর্শক সুন্দররাজ পি, নিশ্চিত করেছেন যে এনকাউন্টারে নিহত একজন জওয়ান ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড (ডিআরজি) এবং অপরজন মাওবাদী বিরোধী অভিযানে বিশেষজ্ঞ স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ) রাজ্য-স্তরের সদস্য ছিলেন।

১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
poll_title
বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারতের হস্তক্ষেপের আহ্বান

জয় ও নিঝুম মজুমদারের এই আহ্বানকে দেশবিরোধী বলে মনে করেন ?

মোট ভোট: ৮৯০

আন্তর্জাতিক

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য ভারতের জন্য জটিলতা তৈরি করেছে: শশী থারুর

ভারতের কংগ্রেসের সিনিয়র নেতা ও পার্লামেন্ট সদস্য শশী থারুর বলেছেন, বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক বক্তব্য ভারতের জন্য কিছুটা জটিলতা তৈরি করেছে। তিনি মনে করেন, প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ভারতের উচিত নির্দিষ্ট কোনো রাজনৈতিক দল নয়, বরং সমগ্র বাংলাদেশের মানুষের কল্যাণের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকা। সোমবার (১১ ফেব্রুয়ারি) ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির ফরেন করেসপন্ডেন্টস ক্লাবে এক বইয়ের […]

নিউজ ডেস্ক

১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২২:১৭

ভারতের কংগ্রেসের সিনিয়র নেতা ও পার্লামেন্ট সদস্য শশী থারুর বলেছেন, বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক বক্তব্য ভারতের জন্য কিছুটা জটিলতা তৈরি করেছে। তিনি মনে করেন, প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ভারতের উচিত নির্দিষ্ট কোনো রাজনৈতিক দল নয়, বরং সমগ্র বাংলাদেশের মানুষের কল্যাণের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকা।

সোমবার (১১ ফেব্রুয়ারি) ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির ফরেন করেসপন্ডেন্টস ক্লাবে এক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

শশী থারুর বাংলাদেশ ইস্যুকে ‘স্পর্শকাতর’ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, প্রতিবেশী দেশটিতে যদি শত্রুভাবাপন্ন সরকার ক্ষমতায় আসে, তবে ভারত বড় ধরনের ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারে। আমাদের উচিত, বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী হিসেবে কোনো নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দল বা সম্প্রদায়ের প্রতি উদ্বেগের চেয়ে বাংলাদেশের জনগণের সার্বিক কল্যাণের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকা।

তিনি আরও বলেন, একটি নির্দিষ্ট দেশ কে শাসন করবে, তা ভারত নির্ধারণ করতে পারে না। বরং আমাদের উচিত যেকোনো সরকারের সঙ্গে কাজ করার কৌশল রপ্ত করা।

বাংলাদেশের বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে শশী থারুর বলেন, আমি মনে করি না যে তাদের শত্রুভাবাপন্ন বলা যায়। তবে একই সঙ্গে আমাদের কিছু সতর্কতাও বজায় রাখতে হবে।

বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতির বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের অবশ্যই নিবিড়ভাবে, সতর্কতার সঙ্গে বাংলাদেশের ঘটনাপ্রবাহ পর্যবেক্ষণ করতে হবে, কারণ তাদের অবস্থান আমাদের ঠিক পাশেই।

শশী থারুর মনে করেন, ভারতের উচিত স্পষ্টভাবে জানানো যে তারা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির চেয়ে পুরো দেশের মানুষের কল্যাণে বেশি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

ভারতের উচিত এটা বোঝানো যে, তারা কোনো নির্দিষ্ট দল বা গোষ্ঠীর চেয়ে সমগ্র বাংলাদেশের জনগণের কল্যাণের জন্য কাজ করতে চায়।

১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
poll_title
বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারতের হস্তক্ষেপের আহ্বান

জয় ও নিঝুম মজুমদারের এই আহ্বানকে দেশবিরোধী বলে মনে করেন ?

মোট ভোট: ৮৯০

আন্তর্জাতিক

মোদি’কে পাত্তাই দিলেন না ম্যাক্রোঁ, অপমানিত হলেন মোদি

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি করমর্দনের জন্য হাত বাড়িয়ে দিলেও তাকে অগ্রাহ্য করেছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। প্যারিসের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) শীর্ষ সম্মেলনে বিব্রতকর দৃশ্যটি দেখা গেছে। যদিও ম্যাক্রোঁ ঠিক ওই সময়েই অন্য বিশ্বনেতাদের সঙ্গে করমর্দন করেছেন। মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) তুরস্কের সংবাদমাধ্যম আনাদোলু নিউজের এক প্রতিবেদনে বিষয়টি ওঠে আসে। এছাড়াও এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। […]

নিউজ ডেস্ক

১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১৩:২৯

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি করমর্দনের জন্য হাত বাড়িয়ে দিলেও তাকে অগ্রাহ্য করেছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। প্যারিসের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) শীর্ষ সম্মেলনে বিব্রতকর দৃশ্যটি দেখা গেছে। যদিও ম্যাক্রোঁ ঠিক ওই সময়েই অন্য বিশ্বনেতাদের সঙ্গে করমর্দন করেছেন।

মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) তুরস্কের সংবাদমাধ্যম আনাদোলু নিউজের এক প্রতিবেদনে বিষয়টি ওঠে আসে। এছাড়াও এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, মঙ্গলবার প্যারিসে এআই সম্মেলনে অংশ নেয়া বিশ্বনেতাদের স্বাগত জানাতে সম্মেলনস্থলে হাজির হন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। এসময় মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সসহ বিশ্বনেতাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট।

সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়, জেডি ভ্যান্সের পাশে বসা নরেন্দ্র মোদি হাত বাড়িয়ে দিলে তাকে পুরোপুরি এড়িয়ে যান ম্যাক্রোঁ। তবে মোদিকে উপেক্ষা করলেও আশপাশে থাকা ইউরোপীয় কমিশনের সভাপতি উরসুলা ভন ডার লেইনসহ অনেক অতিথির সঙ্গে হাত মেলাতে দেখা যায় ফরাসি প্রেসিডেন্টকে।

ঘটনাটি সোশ্যাল মিডিয়ায় তোলপাড় সৃষ্টি করেছে। কিন্তু কেন ঘটলো এমন ঘটনা? কেউ কেউ এ ঘটনাকে কূটনৈতিক অবজ্ঞা হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

আবার কেউ কেউ বলছেন অনিচ্ছাকৃতভাবে এটি হতে পারে। ফরাসি বা ভারত সরকারের পক্ষ থেকে কেউ এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।

এদিকে, প্যারিসে থাকা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সের সঙ্গে দেখা করেছেন।

এলিসি প্যালেসে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ আয়োজিত এক নৈশভোজের সময় তাদের সাক্ষাৎ হয়। নৈশভোজের সাইডলাইনে অনুষ্ঠিত বৈঠকের সময় নরেন্দ্র মোদি জেডি ভ্যান্সকে তার নির্বাচনী বিজয়ের জন্য অভিনন্দন জানান।

১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
poll_title
বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারতের হস্তক্ষেপের আহ্বান

জয় ও নিঝুম মজুমদারের এই আহ্বানকে দেশবিরোধী বলে মনে করেন ?

মোট ভোট: ৮৯০