শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

আন্তর্জাতিক

অর্থনৈতিক সুপার পাওয়ার বানানো গল্প, ভারতে দেউলিয়া হওয়ার মুখে অর্ধেক মানুষ!

ভারতের অর্থনৈতিক উন্নয়নের যে গল্প মোদি সরকার বারবার প্রচার করে, সেটির বাস্তবতা একেবারেই ভিন্ন। সাম্প্রতিক এক গবেষণা মোদির অর্থনৈতিক ‘সুপারপাওয়ার’ দাবিকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ করেছে। সমীক্ষাটি স্পষ্টভাবে দেখিয়েছে, ভারতের বিপুল জনগোষ্ঠী আর্থিক সংকটের মধ্যে রয়েছে, এবং দেশটির অর্থনীতি প্রকৃতপক্ষে গভীর সঙ্কটের মুখোমুখি। বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ ভারতের অর্ধেক জনগোষ্ঠী আর্থিক দেউলিয়াত্বের দ্বারপ্রান্তে, যেখানে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কোনো […]

অর্থনৈতিক সুপার পাওয়ার বানানো গল্প, ভারতে দেউলিয়া হওয়ার মুখে অর্ধেক মানুষ!

ছবি : সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১৭:২১

ভারতের অর্থনৈতিক উন্নয়নের যে গল্প মোদি সরকার বারবার প্রচার করে, সেটির বাস্তবতা একেবারেই ভিন্ন। সাম্প্রতিক এক গবেষণা মোদির অর্থনৈতিক ‘সুপারপাওয়ার’ দাবিকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ করেছে। সমীক্ষাটি স্পষ্টভাবে দেখিয়েছে, ভারতের বিপুল জনগোষ্ঠী আর্থিক সংকটের মধ্যে রয়েছে, এবং দেশটির অর্থনীতি প্রকৃতপক্ষে গভীর সঙ্কটের মুখোমুখি।

বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ ভারতের অর্ধেক জনগোষ্ঠী আর্থিক দেউলিয়াত্বের দ্বারপ্রান্তে, যেখানে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কোনো সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা নেই। ইউগভ নামের একটি সংস্থা সম্প্রতি ভারতের ১২টি শহরে ৩৫ থেকে ৫৪ বছর বয়সী ৪ হাজার মানুষের ওপর একটি সমীক্ষা চালিয়েছে, যেখানে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। সমীক্ষায় দেখা গেছে, দেশটির মধ্যবিত্ত শ্রেণি চরম অর্থনৈতিক চাপে আছে, যেখানে একদিকে তাদের বাবা-মায়ের দেখভাল করতে হচ্ছে, অন্যদিকে সন্তানের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করতে গিয়ে নিজেরাই আর্থিকভাবে ভেঙে পড়ছেন।

গবেষণা অনুযায়ী, ৬০ শতাংশ মানুষ বিশ্বাস করেন যে, তারা যা উপার্জন করেন বা সঞ্চয় করেন, তা তাদের ভবিষ্যতের জন্য একেবারেই যথেষ্ট নয়। তারা আর্থিকভাবে এতটাই বিপর্যস্ত যে বৃদ্ধ বয়সে কীভাবে জীবনযাপন করবেন, তা নিয়ে প্রবল দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। আরও ভয়ঙ্কর তথ্য হলো, সমীক্ষায় অংশ নেওয়া ৯৪ শতাংশ মানুষের কোনো নির্দিষ্ট আর্থিক পরিকল্পনাই নেই। তারা হয় সম্পূর্ণ পরিকল্পনাহীনভাবে জীবনযাপন করছেন, অথবা স্বল্পমেয়াদী সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছেন, যা তাদের ভবিষ্যতকে আরও অনিশ্চিত করে তুলছে।

ভারতের অর্থনৈতিক নীতির মারাত্মক ব্যর্থতার আরেকটি প্রমাণ হলো, ৩৫ থেকে ৫৪ বছর বয়সী অর্ধেকেরও বেশি মানুষের দাবি, পরিবারের ব্যয়ভার বহনের পর তাদের হাতে সঞ্চয়ের জন্য কোনো অর্থই অবশিষ্ট থাকে না। মধ্যবিত্ত শ্রেণির জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েই চলেছে, কিন্তু উপার্জনের সঙ্গে তার কোনো সামঞ্জস্য নেই। অথচ সরকার প্রতিনিয়ত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গল্প শুনিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে।

এই গবেষণার ফলাফল মোদি সরকারের অর্থনৈতিক ব্যর্থতা স্পষ্টভাবে প্রমাণ করে দিয়েছে। যে ‘উন্নয়নের’ গল্প সরকার বলছে, সেটি শুধুমাত্র কাগজে-কলমে আছে, বাস্তবে দেশের জনগণ দারিদ্র্যের করাল গ্রাসে নিপতিত। কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান ও ধনকুবেরদের উন্নতির নামে সাধারণ মানুষকে নিঃশেষ করে দেওয়া হচ্ছে, যা ভারতকে প্রকৃত অর্থেই এক ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।

১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
poll_title
বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারতের হস্তক্ষেপের আহ্বান

জয় ও নিঝুম মজুমদারের এই আহ্বানকে দেশবিরোধী বলে মনে করেন ?

মোট ভোট: ৫৮৭

আন্তর্জাতিক

রাশিয়ার বড় বড় পোশাক কারখানা বাংলাদেশে স্থানান্তরের পরিকল্পনা

শ্রমিক সংকট ও উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় রাশিয়ার সবচেয়ে বড় পোশাক প্রস্তুতকারক কোম্পানিগুলো বাংলাদেশসহ অন্য দেশগুলোতে সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করছে দেশটি। এর মধ্যে রয়েছে গ্লোরিয়া জিনস নামের পোশাক কোম্পানি। রাশিয়াজুড়ে গ্লোরিয়া জিনসের ১৮টি কারখানা রয়েছে। তারা মূলত পোশাক ও জুতো তৈরি করে। সম্প্রতি রুশ গণমাধ্যম কমারসান্তকে উদ্ধৃত করে ইউক্রেনের অনলাইন সংবাদপত্র ইউক্রেইনস্কা প্রাভদা জানিয়েছে, রাশিয়ার […]

নিউজ ডেস্ক

১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০:২৪

শ্রমিক সংকট ও উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় রাশিয়ার সবচেয়ে বড় পোশাক প্রস্তুতকারক কোম্পানিগুলো বাংলাদেশসহ অন্য দেশগুলোতে সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করছে দেশটি। এর মধ্যে রয়েছে গ্লোরিয়া জিনস নামের পোশাক কোম্পানি। রাশিয়াজুড়ে গ্লোরিয়া জিনসের ১৮টি কারখানা রয়েছে। তারা মূলত পোশাক ও জুতো তৈরি করে।

সম্প্রতি রুশ গণমাধ্যম কমারসান্তকে উদ্ধৃত করে ইউক্রেনের অনলাইন সংবাদপত্র ইউক্রেইনস্কা প্রাভদা জানিয়েছে, রাশিয়ার পোশাকশিল্পে দক্ষ কর্মীর সংকট দিনে দিনে গভীর হচ্ছে। ২০২৪ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে দেশটিতে শ্রমিক-ঘাটতি আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে। শ্রমিক-সংকটের পাশাপাশি রাশিয়ায় তৈরি কাঁচামাল ও আনুষঙ্গিক উপকরণের মানও খারাপ। ফলে পোশাক খাতের ব্যবসায়ীদের অন্য দেশ থেকে পণ্য জোগাড় করতে হচ্ছে।

এ ছাড়া পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রেখেছে। এর ফলে বিদেশ থেকে সেলাই করার যন্ত্রপাতি আমদানি করা রুশ ব্যবসায়ীদের জন্য কঠিন হয়ে পড়েছে। কারণ, নিষেধাজ্ঞার মধ্যে এসব আমদানির বিপরীতে দাম পরিশোধ করা যাচ্ছে না।

এ বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে গ্লোরিয়া জিনস কোম্পানিটির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তারা কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানায় বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ কার হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়, একসময় চীন ছিল রাশিয়ার পোশাক প্রস্তুতকারকদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে। কিন্তু রুশ ব্র্যান্ডগুলো এখন আর চীনে যেতে খুব একটা আগ্রহী নয়। ফ্যাশনশিল্পের সঙ্গে জড়িত এক প্রতিনিধি বিষয়টি ব্যাখ্যা করে বলেন, বর্তমানে চীনে শ্রমিক মজুরি বাংলাদেশ কিংবা উজবেকিস্তানের তুলনায় অনেক বেশি।

তাই কোম্পানিটি তাদের উৎপাদনব্যবস্থা ভিয়েতনাম, বাংলাদেশ বা উজবেকিস্তানে সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করছে। কারণ উজবেকিস্তানে তুলার উৎপাদন হয়, সে কারণে কাঁচামালের স্থিতিশীল সরবরাহ রয়েছে। এসব দেশে ভালো মানের শিল্পসুবিধা বিদ্যমান। ফলে কাঁচামালের সরবরাহ কিংবা উৎপাদন খরচ নিয়ে কোনো ঝামেলা পোহাতেও হয় না।

১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
poll_title
বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারতের হস্তক্ষেপের আহ্বান

জয় ও নিঝুম মজুমদারের এই আহ্বানকে দেশবিরোধী বলে মনে করেন ?

মোট ভোট: ৫৮৭

আন্তর্জাতিক

হাসপাতালের রোগীদের ওপর গুলি চালিয়েছে ইসরাইলি স্নাইপাররা

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার কামাল আদোয়ান হাসপাতালের পরিচালক ডাক্তার হুসাম আবু সাফিয়া বলেছেন, ইহুদিবাদী ইসরাইলের সামরিক বাহিনীর স্নাইপাররা তার হাসপাতালের চিকিৎসাধীন রোগী এবং ইন্টেনসিভ কেয়ার ইউনিট বা আইসিইউ-এর স্টাফদের ওপর গুলি চালিয়েছে। তিনি জানান, ইহুদিবাদী স্নাইপাররা গত সোমবার প্রথমবারের মতো আইসিইউ স্টাফদের ওপর গুলি চালায়। হাসপাতালের সমস্ত জানালায় গুলি লেগেছে বলে তিনি জানান। ডাক্তার হুসাম […]

নিউজ ডেস্ক

১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮:৫১

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার কামাল আদোয়ান হাসপাতালের পরিচালক ডাক্তার হুসাম আবু সাফিয়া বলেছেন, ইহুদিবাদী ইসরাইলের সামরিক বাহিনীর স্নাইপাররা তার হাসপাতালের চিকিৎসাধীন রোগী এবং ইন্টেনসিভ কেয়ার ইউনিট বা আইসিইউ-এর স্টাফদের ওপর গুলি চালিয়েছে।

তিনি জানান, ইহুদিবাদী স্নাইপাররা গত সোমবার প্রথমবারের মতো আইসিইউ স্টাফদের ওপর গুলি চালায়। হাসপাতালের সমস্ত জানালায় গুলি লেগেছে বলে তিনি জানান।

ডাক্তার হুসাম জানান, হাসপাতালের পরিস্থিতি ক্রমেই অবনতির দিকে যাচ্ছে এবং এই হাসপাতাল সবার জন্য কবরস্থানে পরিণত হবে।

ইসরাইলি স্নাইপারদের গুলির সময় হাসপাতালের ওয়ার্ডগুলোতে থাকা সবাই ঝুঁকির মুখে ছিল এবং রোগী ও স্টাফদের জন্য মারাত্মক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। ওই সময় ইসরাইলের কোয়াডকপ্টার থেকেও হাসপাতালের ওপর গুলি চালানো হয়েছে।

তিনি জানান, হাসপাতাল ভবন, এর আশপাশ কিংবা এর ভেতরে যারাই চলাচল করেছে তাদের ওপর গুলি চালানো হয়েছে। হাসপাতালটির সুরক্ষায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি ভূমিকা নেয়ার আহ্বান জানান পরিচালক হুসাম সাফিয়া।

সূত্রঃ পার্সটুডে

১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
poll_title
বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারতের হস্তক্ষেপের আহ্বান

জয় ও নিঝুম মজুমদারের এই আহ্বানকে দেশবিরোধী বলে মনে করেন ?

মোট ভোট: ৫৮৭

আন্তর্জাতিক

সাতসকালে বন্দুকযুদ্ধ, ভারতীয় দুই সেনাসহ নিহত ১৪

সাতসকালে বন্দুকযুদ্ধে ভারতীয় দুই সেনাসহ অন্তত ১৪ জন নিহত হয়েছেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে ছত্তিশগড়ের বিজাপুর জেলায় নিরাপত্তা কর্মীরা অভিযানে যান। এসময় তাদের সঙ্গে মাওবাদীদের ভয়ঙ্কর বন্দুকযুদ্ধ শুরু হয়। এতে অন্তত ১২ জন মাওবাদী এবং দুই সেন সদস্য নিহত হন। এনকাউন্টার চলাকালীন দুই জওয়ান প্রাণ হারানোর পাশাপাশি অপর দু’জন […]

নিউজ ডেস্ক

০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১৪:১২

সাতসকালে বন্দুকযুদ্ধে ভারতীয় দুই সেনাসহ অন্তত ১৪ জন নিহত হয়েছেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে ছত্তিশগড়ের বিজাপুর জেলায় নিরাপত্তা কর্মীরা অভিযানে যান। এসময় তাদের সঙ্গে মাওবাদীদের ভয়ঙ্কর বন্দুকযুদ্ধ শুরু হয়।

এতে অন্তত ১২ জন মাওবাদী এবং দুই সেন সদস্য নিহত হন।

এনকাউন্টার চলাকালীন দুই জওয়ান প্রাণ হারানোর পাশাপাশি অপর দু’জন সেনা সদস্যও আহত হয়েছে। তাদরেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।

একজন সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, নিরাপত্তা কর্মীদের একটি দল যখন মাওবাদী বিরোধী অভিযান চালাচ্ছিলেন, তখন সকালের সময় ইন্দ্রাবতী জাতীয় উদ্যান এলাকার একটি ঘন জঙ্গলে বন্দুকযুদ্ধ শুরু হয়। “প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, বন্দুকযুদ্ধে ১২ জন মাওবাদী নিহত হয়েছে।”

তিনি যোগ করেন, যে এলাকায় একটি বিরতিহীন গুলি বিনিময় এখনও চলছে, আরও বিশদ বিবরণের জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে। পরিস্থিতি এখনও উত্তেজনাপূর্ণ, এবং কর্তৃপক্ষ উচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।

এদিকে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বলছে, বস্তার রেঞ্জের পুলিশ মহাপরিদর্শক সুন্দররাজ পি, নিশ্চিত করেছেন যে এনকাউন্টারে নিহত একজন জওয়ান ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড (ডিআরজি) এবং অপরজন মাওবাদী বিরোধী অভিযানে বিশেষজ্ঞ স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ) রাজ্য-স্তরের সদস্য ছিলেন।

১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
poll_title
বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারতের হস্তক্ষেপের আহ্বান

জয় ও নিঝুম মজুমদারের এই আহ্বানকে দেশবিরোধী বলে মনে করেন ?

মোট ভোট: ৫৮৭