ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে কাশ্মীর ইস্যু বহুদিন ধরেই উত্তেজনার কারণ হয়ে আছে। দুই দেশের মধ্যে একাধিক যুদ্ধ এবং সীমান্ত সংঘর্ষের মূল কেন্দ্রবিন্দু এই বিতর্কিত অঞ্চল। তবে সাম্প্রতিক সময়ে চীনের ভূমিকা
এই সংকটকে আরও জটিল করে তুলেছে। বিভিন্ন সূত্রের খবর অনুযায়ী, কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তানের পাশে থাকতে পারে চীন, যা ভারতের জন্য নতুন কৌশলগত চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে।
ভারত বর্তমানে দুই ফ্রন্টে উত্তেজনার মুখে রয়েছে—একদিকে পাকিস্তান, অন্যদিকে চীন। লাদাখ সীমান্তে চীনের ক্রমবর্ধমান সেনা উপস্থিতি ও সামরিক স্থাপনা গড়ে তোলার খবর ইতোমধ্যেই ভারতকে ভাবিয়ে তুলেছে।
অন্যদিকে, পাকিস্তান নিয়মিতভাবে লাইন অব কন্ট্রোলে (এলওসি) সংঘর্ষ চালিয়ে যাচ্ছে। পাকিস্তানের সেনাপ্রধান স্পষ্টতই বলেছেন যে, কাশ্মীর ইস্যুতে যেকোনো মূল্যে লড়াই চালিয়ে যাবে ইসলামাবাদ।
চীন ও পাকিস্তানের সম্পর্ক ঐতিহাসিকভাবে বন্ধুত্বপূর্ণ। সামরিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বেইজিং দীর্ঘদিন ধরে ইসলামাবাদের প্রধান মিত্র।
চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর (CPEC) এবং বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (BRI)-এর মতো প্রকল্প দুই দেশের সম্পর্ক আরও গভীর করেছে। বিশ্লেষকদের মতে, চীন যদি কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তানের পাশে দাঁড়ায়, তাহলে এটি ভারতের জন্য গুরুতর হুমকি হয়ে দাঁড়াবে।
চীন আনুষ্ঠানিকভাবে কাশ্মীর ইস্যুকে দ্বিপাক্ষিক সমস্যা হিসেবে দেখায় এবং কূটনৈতিকভাবে নিরপেক্ষ অবস্থান বজায় রাখার কথা বলে। তবে বাস্তবে, বেইজিং বিভিন্ন সময়ে পাকিস্তানের পক্ষে কথা বলেছে এবং জাতিসংঘে কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতের বিরোধিতা করেছে।
ভারতের অরুণাচল প্রদেশ এবং লাদাখের কিছু অংশকে নিজের বলে দাবি করায় চীনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক আরও শীতল হয়েছে।যদিও সরাসরি যুদ্ধের আশঙ্কা কম, তবে চীন ও পাকিস্তানের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ভারতকে কৌশলগতভাবে চাপের মুখে ফেলছে।
পাকিস্তান যদি চীনের সামরিক সহায়তা পায়, তাহলে এলওসি-তে সংঘর্ষ আরও বাড়তে পারে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সীমান্তে উত্তেজনা চলতে থাকলে এটি বড় ধরনের সামরিক সংঘাতে রূপ নিতে পারে।কাশ্মীর ইস্যুতে চীনের প্রত্যক্ষ হস্তক্ষেপ ভারতের জন্য বড় মাথাব্যথার কারণ হতে পারে।
ভারতকে এখন কৌশলগতভাবে দুই ফ্রন্টে প্রস্তুতি নিতে হবে—একদিকে চীনের সঙ্গে লাদাখ সীমান্তে উত্তেজনা, অন্যদিকে পাকিস্তানের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান সংঘর্ষ। ভারতের জন্য এটি শুধুই একটি ভূরাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ নয়, বরং দীর্ঘমেয়াদে নিরাপত্তা ও কূটনৈতিক ভারসাম্যের পরীক্ষাও।

জয় ও নিঝুম মজুমদারের এই আহ্বানকে দেশবিরোধী বলে মনে করেন ?