তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোয়ান চলতি সপ্তাহে পাকিস্তান সফরে যাচ্ছেন, যা তার মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া এবং পাকিস্তানকে অন্তর্ভুক্ত করে চার দিনের এক কূটনৈতিক সফরের অংশ। এই সফরের মূল লক্ষ্য হলো দুই দেশের মধ্যকার কৌশলগত অংশীদারিত্ব আরও শক্তিশালী করা, বিশেষ করে প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা সহযোগিতার ক্ষেত্রে নতুন দিক উন্মোচন করা।
কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, সফরের গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার মধ্যে থাকবে পাকিস্তান নৌবাহিনীর জন্য তুরস্কের তৈরি উন্নত সামরিক নৌযান কেনা এবং এর আগে অনুষ্ঠিত যৌথ নৌ মহড়া Turgutreis-XI-এর মতো ভবিষ্যৎ সামরিক মহড়ার পরিকল্পনা। দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা শিল্পে দীর্ঘমেয়াদী সহযোগিতার বিষয়টিও এই আলোচনায় স্থান পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এরদোয়ানের সফরের আগে দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা একাধিকবার বৈঠকে মিলিত হয়েছেন। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান ও পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি ইতোমধ্যেই ইস্তাম্বুলে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেছেন, যেখানে পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট নানা বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এছাড়া, গত বছরের সেপ্টেম্বরে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফও এরদোয়ানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন, যা দুই দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদারের একটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হয়।
তবে এরদোয়ানের আসন্ন সফর শুধু প্রতিরক্ষা সহযোগিতার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না। কূটনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই সফরের মাধ্যমে বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং অন্যান্য কৌশলগত ক্ষেত্রে পাকিস্তান-তুরস্ক সম্পর্ক নতুন মাত্রা পেতে পারে। তুরস্ক ও পাকিস্তান ইতোমধ্যেই বাণিজ্য সম্প্রসারণের নানা পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে বিনিয়োগ বাড়ানো এবং অভ্যন্তরীণ উৎপাদন শিল্পে পারস্পরিক সহযোগিতা।
এই সফরকে কেন্দ্র করে দুই দেশের মধ্যে উচ্চপর্যায়ের আলোচনা হবে বলে আশা করা হচ্ছে, যা ভবিষ্যতে পাকিস্তান ও তুরস্কের মধ্যে বহুমাত্রিক সম্পর্কের আরও দৃঢ় ভিত্তি গড়ে তুলবে। কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই সফর শুধু দুই দেশের জন্য নয়, বরং সমগ্র দক্ষিণ এশিয়া ও মুসলিম বিশ্বে একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দেবে, যেখানে আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে তুরস্কের ভূমিকা আরও প্রসারিত হতে পারে।

জয় ও নিঝুম মজুমদারের এই আহ্বানকে দেশবিরোধী বলে মনে করেন ?