ইহুদিবাদী ইসরাইলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্ত অনুযায়ী আরও তিন পণবন্দিকে মুক্তি দিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ও ইসলামিক জিহাদ। এর বিনিময়ে আজ ৩০টি শিশুসহ ১১০ জন ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়ার কথা রয়েছে।
উত্তর গাজার জাবালিয়া শরণার্থী শিবির থেকে প্রথমে ২০ বছর বয়সী ইসরাইলি সেনা আগাম বার্গারকে রেড ক্রসের হাতে তুলে দেয় হামাস। পরে খান ইউনিসে শহীদ ইয়াহিয়া সিনওয়ারের বাড়ির সামনে থেকে ছাড়া হয় ২৯ বছর বয়সী আরবেল ইয়েহুদ ও ৮০ বছর বয়সী গাদি মোজেসকে। যুদ্ধবিরতির শর্তে না থাকলেও খান ইউনিস থেকে আজ আরও ৫ থাই বন্দিকে মুক্তি দেয় হামাস। তাদের যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় নয়, বরং হামাসের একক সিদ্ধান্তেই ছাড়া হয়েছে।
ফিলিস্তিনি প্রিজনার্স ক্লাব অ্যাডভোকেসি গ্রুপের মতে, আজ মুক্তিপ্রাপ্ত ফিলিস্তিনি বন্দিদের মধ্যে ৩২ জন যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পেয়েছেন এবং ৪৮ জন বিভিন্ন মেয়াদের কারাদণ্ড ভোগ করছেন।
গত ১৯ জানুয়ারি ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর তৃতীয় ধাপে বন্দিবিনিময়ের অংশ হিসেবে তাদের ছাড়া হবে। ইতোমধ্যে চুক্তির আওতায় দুই ধাপে ইসরাইলি কারাগার থেকে ২৯০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তির বিনিময়ে সাতজন নারীকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। আগামী শনিবার চতুর্থ ধাপে বন্দিবিনিময় হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরাইলের অভ্যন্তরে আল আকসা তুফান অভিযান পরিচালনা করে হামাস। এতে প্রায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত হয়। ইসরাইল থেকে ২৫১ জনকে আটক করে হামাস। জবাবে সেদিন থেকেই গাজা উপত্যকায় হামলা শুরু করে ইসরাইল। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুসারে, ইসরাইলি হামলায় ৪৭ হাজার ৩১০ জনের বেশি মানুষ শহীন হয়েছে। তাদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু।
সূত্রঃ পার্সটুডে