সিরিয়ার নতুন শাসকগোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শামের (এইচটিএস) যোদ্ধারা গত ৭২ ঘণ্টায় ৩৫ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছেন।
যাদের প্রায় সবাই ক্ষমতাচ্যুত বাশার আল-আসাদ সরকারের কর্মকর্তা ছিলেন।
রোববার (২৬ জানুয়ারি) সিরিয়া নিয়ে কাজ করা মানবাধিকার সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস এ তথ্য জানায়।
গত মাসে সিরিয়ার দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকা প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে উৎখাতকারী বিদ্রোহী বাহিনী এইচটিএসের নিযুক্ত নতুন প্রশাসন জানিয়েছে, তারা পশ্চিম হোমস এলাকায় অনির্দিষ্ট ‘লঙ্ঘনের’ অভিযোগে ব্যাপক ধরপাকড় চালিয়েছে এবং বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে।
সরকারি সংবাদ সংস্থা সানা জানায়, কর্তৃপক্ষ গত শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) একটি ‘অপরাধী গোষ্ঠীর’ সদস্যদের অভিযুক্ত করে, যারা নিরাপত্তা পরিষেবার সদস্য হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিয়ে বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে নির্যাতন চালায়।
সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস মনিটর জানিয়েছে, এই গ্রেফতার করা ব্যক্তিদের মধ্যে ৩৫ জনকে দ্রুত বিচার প্রক্রিয়া শেষে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়; যা গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন।
এছাড়া ধর্মীয় সংখ্যালঘুরাও সেখানে অপমান ও নির্যাতন সহ্য করছেন বলেও জানানো হয়েছে। সংস্থাটি আরও বলেছে, নতুন ক্ষমতাসীন সুন্নি ইসলামপন্থি জোটের অধীনে থাকা স্থানীয় সশস্ত্র গোষ্ঠীর সদস্যরা হোমস অঞ্চলে নিরাপত্তা অভিযানে অংশ নেয় এবং তাদের গ্রেফতার করে।
অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস আরও জানায়, স্বৈরতান্ত্রিক উপায়ে গণ-গ্রেফতার, নৃশংস নির্যাতন, ধর্মীয় প্রতীকের ওপর আক্রমণ, মৃতদেহের বিকৃতকরণ, বেসামরিক নাগরিকদের দ্রুত বিচারের মাধ্যমে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর; যা অত্যন্ত নিষ্ঠুরতা এবং সহিংসতা।
এদিকে সিভিল পিস গ্রুপ, একটি নাগরিক সমাজের সংগঠন বিবৃতিতে বলেছে, নিরাপত্তা অভিযানের সময় হোমস এলাকার একাধিক গ্রামে বেসামরিক নাগরিকদের হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। নিরস্ত্র মানুষকে হত্যা করার সমালোচনাও করেছে সংগঠনটি।
ক্ষমতা দখলের পর থেকে, নতুন কর্তৃপক্ষ সিরিয়ার ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের আশ্বস্ত করার চেষ্টা করেছে যে, তাদের অধিকার সমুন্নত রাখা হবে।

জয় ও নিঝুম মজুমদারের এই আহ্বানকে দেশবিরোধী বলে মনে করেন ?