প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেনে রুশ অভিযান শুরুর পর থেকে মস্কোর বিরুদ্ধে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার পাশাপাশি রাশিয়ার সেনাবাহিনীর অগ্রগতি ঠেকাতে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় দেশগুলো ক্রমাগত সামরিক সহায়তা ও অস্ত্র দিয়ে আসছে এবং এই প্রক্রিয়া এখনও অব্যাহত রয়েছে। পার্সটুডের মতে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র নীতি নির্ধারণ বিষয়ক প্রধান কর্মকর্তা জোসেফ বারেল ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশগুলির প্রতিরক্ষা মন্ত্রীদের অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে স্বীকার করেছেন: আজ, ইউক্রেনের প্রতি আমাদের সামরিক সহায়তা ৪৩০০ কোটি ইউরোতে পৌঁছেছে।
এ প্রসঙ্গে জাতিসংঘে রাশিয়ার উপ-প্রতিনিধি “দিমিত্রি পলিয়ানস্কি” ঘোষণা করেছেন, ইউক্রেনের প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় দেশগুলির অস্ত্র ও সামরিক সহায়তা যুদ্ধকে দীর্ঘায়িত করেছে এবং এই সহায়তা না পেলে ইউক্রেন অনেক আগেই যুদ্ধ বন্ধ করে দিত।
অন্যদিকে, ইতালির পররাষ্ট্র মন্ত্রী “অ্যান্টোনিও তাজানি” জোর দিয়ে বলেছেন যে শুধুমাত্র ইউক্রেনের ভূখণ্ডে ইতালীয় অস্ত্রের ব্যবহার অনুমোদিত। রাশিয়ার ভূখণ্ডের বিরুদ্ধে এই অস্ত্র ব্যবহারের বিরোধিতা করেছেন তিনি।
এ বিষয়ে, ইতালীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন: “প্রত্যেক দেশ তার নিজস্ব সিদ্ধান্ত নেয়, কিন্তু ইতালির ক্ষেত্রে, ইতালীয় অস্ত্রের ব্যবহার শুধুমাত্র ইউক্রেনের অভ্যন্তরে করা যেতে পারে।
ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী “দিমিত্রো কোলবা” বৃহস্পতিবার ব্রাসেলস বৈঠকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোর সামরিক সহায়তায় বিলম্বের অভিযোগ উত্থাপনের পর ইতালির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এই বক্তব্য দিলেন।
সূত্রঃ পার্সটুডে

জয় ও নিঝুম মজুমদারের এই আহ্বানকে দেশবিরোধী বলে মনে করেন ?