মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

স্বাস্থ্য

শিশুর দুধদাঁতের যত্ন নেবেন যেভাবে

শিশুর দাঁতের যত্ন নিতে হয় গর্ভকালীন প্রথম ছয় সপ্তাহ থেকে। এ সময়ে গর্ভের শিশুর দাঁত ও হাড় গঠনে গর্ভবতীর পর্যাপ্ত পুষ্টিকর খাবারের পাশাপাশি ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবারের অভাবে দাঁতের গঠন দুর্বল হয়ে যায়। পরে যত্ন নিলেও দাঁত সহজে নষ্ট হয়ে যায়।     দাঁতের গঠন ও উজ্জ্বলতার জন্য গর্ভকালীন কোনো সমস্যায় চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনো ওষুধ সেবন […]

নিউজ ডেস্ক

১৫ আগস্ট ২০২৪, ১৫:১২

শিশুর দাঁতের যত্ন নিতে হয় গর্ভকালীন প্রথম ছয় সপ্তাহ থেকে। এ সময়ে গর্ভের শিশুর দাঁত ও হাড় গঠনে গর্ভবতীর পর্যাপ্ত পুষ্টিকর খাবারের পাশাপাশি ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবারের অভাবে দাঁতের গঠন দুর্বল হয়ে যায়। পরে যত্ন নিলেও দাঁত সহজে নষ্ট হয়ে যায়।

 

 

দাঁতের গঠন ও উজ্জ্বলতার জন্য গর্ভকালীন কোনো সমস্যায় চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনো ওষুধ সেবন করা উচিত নয়। এমনকি এ সময়ে অনেক চিকিৎসা গ্রহণ বিপজ্জনক হতে পারে। গর্ভকালীন মাড়ির রোগ বা দাঁতের ব্যথা পুষে রাখলে গর্ভের শিশুর ওপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়তে পারে।

এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন রাজ ডেন্টাল সেন্টারের প্রতিষ্ঠাতা ডা. মো. আসাফুজ্জোহা রাজ।

অনেকে মনে করেন, শিশুর দুধদাঁতের স্থায়ীত্বকাল কম বলে যত্নের প্রয়োজন নেই। গবেষণা বলছে, শিশুদের দুধদাঁতগুলো পড়ে যাওয়ার পরও নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত যত্ন নিতে হবে। কারণ-

* যথাযথ পুষ্টি পেতে : সুস্থ দাঁত খাদ্যকে উপযুক্ত চর্বণের মাধ্যমে হজমোপযোগী করে, খাবারের ইচ্ছা ও রুচিকে স্বাভাবিক রাখে।

* স্থায়ী দাঁতের ওপর বিরূপ প্রভাব : দুধদাঁতের শিকড়ের নিচে স্থায়ী দাঁতের গঠন শুরু হয়। দুধদাঁতের সংক্রমণ স্থায়ী দাঁতকে ক্ষতি করতে পারে। আবার স্থায়ী দাঁত এলোমেলো বা উঁচু-নিচু হওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ দুধদাঁত আগে বা পরে পড়া।

* স্পষ্ট উচ্চারণ ও মুখমণ্ডলের আকৃতি : স্বাভাবিক কথা বলা, কবিতা আবৃত্তি বা গান গাওয়া, চোয়ালের গঠন ও মুখের আকৃতি ঠিক রাখতে দুধদাঁতের সুস্থতা জরুরি। স্থায়ী দাঁতকে ঠিক স্থানে আনার দিকনির্দেশনাও দেয় দুধদাঁত।

* মানসিক বিকাশ : শিশুর মানসিক বিকাশ, স্মৃতিশক্তি, আত্মবিশ্বাস, প্রাণচঞ্চলতা, লেখাপড়ায় মনোনিবেশসহ মানসিক বিকাশে অস্থায়ী দুধদাঁত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

* সার্বিক স্বাস্থ্যব্যবস্থা : দীর্ঘ মেয়াদি দাঁতের সংক্রমণ রক্ত বাহিকায় মিশে অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গকে আক্রান্ত করতে পারে, যেমন-হার্ট, মস্তিষ্ক, হাড়। অন্যদিকে চোয়ালের হাঁড়ে সংক্রমণ ছড়িয়ে বড় ধরনের জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে।

দাঁত ওঠার আগের সময়

সঠিক পরিচর্যার অভাবে ও অপুষ্ট শিশুর জিহ্বা, মাড়ি বা চোয়ালের অংশে ছত্রাক সংক্রমণ প্রায়ই দেখা যায়। এতে সাদা দইয়ের মতো প্রলেপ পড়ে, শিশু খেতে বিরক্ত করে ও কান্না করে। এ সমস্যা থেকে উপশম পেতে চিকিৎসকের পরামর্শে মুখ পরিষ্কার, পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ, প্রয়োজনে ছত্রাকনাশক ওষুধ ব্যবহার করা যেতে পারে। দাঁত ওঠার আগে অনেক বাচ্চা ‘টিথিং’ নামে সাত-আট দিনের জটিলতায় ভোগে।

লক্ষণ হিসাবে বিরক্তি, ঘুমের ব্যাঘাত, মাড়ির ফোলাভাব বা প্রদাহ, লালা ঝরানো, ক্ষুধা কমে যাওয়া, মুখের চারপাশে ফুসকুড়ি, হালকা তাপমাত্রা, ডায়রিয়া, কামড় বেড়ে যাওয়া বা মাড়ি ঘষা দেখা যায়। এ ধরনের সমস্যা হলে মাড়ি ম্যাসাজ, সতর্কতার সঙ্গে ঠান্ডা কোনো ফল বা শক্ত খাবার চিবানোসহ প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে, শিশু যেন অপরিষ্কার কিছু মুখে না দেয় বা কিছু খেয়ে না ফেলে। অতিরিক্ত আঙুল চোষা রোধেও সচেতন থাকতে হবে। সাধারণভাবে ছয় মাসের দিকে, নিচের সামনের দাঁত ওঠা শুরু করলেও ক্ষেত্র বিশেষে বাচ্চা দাঁত নিয়ে জন্মাতে পারে, তখন চিকিৎসকের পরামর্শে তা ফেলে দিতে হয়।

শিশুর জন্য মায়ের বুকের দুধের কোনো বিকল্প নেই, এতে মুখের স্বাস্থ্য রক্ষায় অতিজরুরি উপাদান আছে। যেসব মায়েদের নিরুপায় হয়ে ফিডারে খাওয়াতে হয় তাদের শিশুর মুখের যত্নে অধিক সচেতন হতে হবে। ফিডারে রাতে দুধ খাওয়ানোর সময় দুটি বোতল ব্যবহার করা উচিত। একটিতে দুধ ও অন্যটিতে পানি। কিছুক্ষণ পর পর দুধ ও পানি পরিবর্তন করে খাওয়ালে শিশুদের মুখের স্বাস্থ্য ভালো থাকে।

এমনিতেই মুখের মধ্যে ব্যাকটেরিয়াসহ বিভিন্ন অণুজীব সুপ্ত অবস্থায় থাকে। অনুকূল পরিবেশ পেলে এরা সক্রিয় হয়ে নানা রোগের সৃষ্টি করে। শিশুদের দাঁত ওঠার আগে টুথপেস্টের পরিবর্তে পরিষ্কার সুতি কাপড় গরম পানিতে ভিজিয়ে আঙুলে পেঁচিয়ে মাড়ি ও জিহ্বা নিয়মিত সকালে ও রাতে খাবার পর ভালোভাবে মুছে দিতে হবে।

দাঁত ওঠার পর

বাচ্চাদের স্বভাব মিষ্টি খাবারের প্রতি দুর্বলতা। এ জাতীয় খাবারে অভ্যস্থ করা, অভিভাবকের অবহেলা সব মিলিয়ে দুধদাঁতে ক্যারিজ বা ক্ষয় রোগ খুব সাধারণ। র‌্যাম্পেন্ট বা নার্সিং বটল ক্যারিজ থেকে চিকিৎসার অভাবে সংক্রমণ দাঁতের গোড়াতে পৌঁছে দাঁতের গোড়া এমনকি মুখসহ ফুলে যাওয়ার ঘটনা দেখা যায়।

বেবি টুথপেস্টের গুণগত মান নিশ্চিত না হয়ে বা খেয়ে ফেলার আশঙ্কা থাকলে পেস্ট না দিয়ে নরম বেবি টুথব্রাশ পানিতে ভিজিয়ে দাঁত পরিষ্কার করে দিতে হবে।

বাচ্চারা অনুকরণ প্রিয়, তাই অভিভাবকরা তাদের সামনেই ব্রাশ করবে। এতে বাচ্চারাও দাঁতের যত্নের প্রতি আকৃষ্ট হবে। বাইরের খাবার খাওয়ার ক্ষেত্রে তাজা ফলমূলের জুস, শাকসবজি, সুষম খাবার খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। ক্ষতিকর ফাস্টফুড, চিপস্, কোমল পানীয়, কৃত্রিম জুস, ক্যান্ডি ইত্যাদি চিনি জাতীয় খাদ্য থেকে শিশুদের বিরত রাখতে হবে। যেসব শিশুর দীর্ঘ সময় আঙুল চোষা অভ্যাস আছে, সেটাও বন্ধ করতে হবে।

দুধদাঁতের চিকিৎসা

কাঁদলে, জিদ করলে বা না খেলে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাব; বলে ছোটকাল থেকে শিশুদের ডাক্তার ভীতি তৈরি করেন অনেক অভিভাবক। এটা শিশুদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। দুধদাঁত আক্রান্ত হলে এটি পড়ে যাওয়ার নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত রক্ষা করার সর্বাধুনিক নিরাপদ চিকিৎসা এখন দেশের অনুমোদিত ডেন্টাল চিকিৎসকরা নিয়মিত দিচ্ছেন। তবে রোগের শুরুতে চিকিৎসা নিলে পদ্ধতি হয় সহজ ও অল্প সময়ে।

শিশুরা সহযোগিতা না করলেও আছে নানা কার্যকর চিকিৎসাব্যবস্থা। অযথা ভয়ে রোগকে পুষে রেখে বা চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ দিয়ে জটিলতা বাড়ানো যাবে না। এক্ষেত্রে বেশকিছু নীরবে বেড়ে ওঠা রোগের উপসর্গ মুখ গহ্বরে প্রকাশ পেতে পারে, যেমন-জন্মগত হৃদরোগ, অপুষ্টি, রক্তস্বল্পতা, ডায়াবেটিস টাইপ-১ ও শ্বাসকষ্ট।

স্বাস্থ্য

বাংলাদেশি রোগীদের টানতে নতুন প্রতিযোগিতায় থাইল্যান্ড, ইরান ও মালয়েশিয়া

বাংলাদেশি রোগী ধরতে বিশেষ চিকিৎসা ছাড় দিচ্ছে এশিয়ার অন্যতম বড় দেশ চীন। দেশটির ইউনান প্রদেশের চারটি শীর্ষ পর্যায়ের হাসপাতালকে বিশেষভাবে বাংলাদেশি রোগীদের সেবা দেওয়ার জন্য মনোনীত করা হয়েছে। তবে শুধু চীনই নয়, বাংলাদেশি রোগীদের স্বাস্থ্য সেবা দিতে আগ্রহী থাইল্যান্ড, ইরান ও মালয়েশিয়াও। চীনের সুবিধা নিতে খোদ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্রীয়ভাবে উদ্যোগ নিয়েছে। তবে চিকিৎসক সমাজ বলছেন, […]

নিউজ ডেস্ক

০৪ এপ্রিল ২০২৫, ১৫:৪৯

বাংলাদেশি রোগী ধরতে বিশেষ চিকিৎসা ছাড় দিচ্ছে এশিয়ার অন্যতম বড় দেশ চীন। দেশটির ইউনান প্রদেশের চারটি শীর্ষ পর্যায়ের হাসপাতালকে বিশেষভাবে বাংলাদেশি রোগীদের সেবা দেওয়ার জন্য মনোনীত করা হয়েছে। তবে শুধু চীনই নয়, বাংলাদেশি রোগীদের স্বাস্থ্য সেবা দিতে আগ্রহী থাইল্যান্ড, ইরান ও মালয়েশিয়াও।

চীনের সুবিধা নিতে খোদ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্রীয়ভাবে উদ্যোগ নিয়েছে। তবে চিকিৎসক সমাজ বলছেন, উন্নত ও বিশেষায়িত রোগের চিকিৎসায় দেশে পাঁচটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, একটি সুপার স্পেশালাইজড ও ২০টির মতো বিশেষায়িত হাসপাতাল রয়েছে। এরপরও বছরে প্রায় ৩০ লাখ মানুষ চিকিৎসার জন্য ভারতসহ বিভিন্ন দেশে যাচ্ছেন।

প্রতিবছর তিন থেকে চার বিলিয়ন ডলার চিকিৎসার জন্য চলে যাচ্ছে বিদেশে। এমন প্রেক্ষাপটে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় বাইরের দেশকে মেডিকেল সুবিধা না দিয়ে নিজেদের চিকিৎসা খাতের উন্নয়নে গুরুত্ব দেওয়া জরুরি হয়ে পড়ছে। রোগীদের আস্থা ফেরাতে হাসপাতালগুলোতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নিয়োগ, অবকাঠামো নির্মাণ, নির্ভুল রোগ নির্ণয়ে অত্যাধুনিক পরীক্ষা সরঞ্জাম স্থাপন করে কমমূল্যে সেবা দিতে হবে। স্বাস্থ্য খাতে প্রয়োজনীয় বাজেট বরাদ্দ ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে কাজে লাগাতে হবে।

সংশ্লিষ্টরা যুগান্তরকে বলছেন, বিগত বছরগুলোতে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের উষ্ণ সম্পর্কের জেরে দেশটি মেডিকেল ট্যুরিজমের টার্গেট পূরণ করত বাংলাদেশি রোগীদের মাধ্যমে। বিত্তশালী রোগীদের বড় একটি অংশ ভারতের পাশাপাশি থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও মধ্যপ্রাচ্যসহ কিছু দেশে যাচ্ছেন। ৫ আগস্টের পর ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের টানাপোড়েনের কারণে দেশটির ভিসার সুযোগ ব্যাপকভাবে সীমিত হয়ে গেছে। বাংলাদেশিদের জন্য পর্যটক ভিসা বন্ধ করে দিয়েছে। মেডিকেল ভিসা সীমিতভাবে দেওয়া হচ্ছে। ভারতের ভিসা জটিলতায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহতদের যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জাপান, ফ্রান্স, চীন ও ভুটান থেকে চিকিৎসক এনে সেবা দিয়েছে। ৩৮ জনকে থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, রাশিয়াসহ কয়েকটি দেশে পাঠিয়েছে।

এদিকে থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুরের মতো দেশে চিকিৎসা খরচ ভারতের তুলনায় বেশি হওয়ায় সাধারণ রোগীদের জন্য আর্থিক চাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেকে বিকল্প হিসাবে চীনকে বেছে নিচ্ছেন। চীন অনেক আগে থেকেই বাংলাদেশের অর্থনৈতিক বাজার ধরতে মরিয়া হয়ে কাজ করছে। ভারতে বাংলাদেশিদের চিকিৎসার দরজা সীমিত হওয়ায় চায়না মেডিকেল ট্যুরিজম সুযোগ নিচ্ছে। ইতোমধ্যে চীন সরকার দেশটির কুনমিং মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন ফার্স্ট অ্যাফিলিয়েটেড হাসপাতাল এবং ইউনান ফার্স্ট পিপলস হাসপাতাল বাংলাদেশিদের সব ধরনের চিকিৎসা দেবে বলে জানিয়েছে। বিশেষায়িত হাসপাতাল হিসাবে ফু-ওয়াই কার্ডিওভাসকুলার হাসপাতাল এবং ইউনান ক্যানসার হাসপাতাল ডেডিকেটেড ঘোষণা করেছে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা যুগান্তরকে জানিয়েছেন, চীনের ওই চার হাসপাতালে স্থানীয় লোকজন যে ফি পরিশোধ করেন বাংলাদেশি রোগীরা একই ফি পরিশোধ করবেন। গত মাসে কয়েক ডজন বাংলাদেশি চিকিৎসার জন্য কুনমিং ভ্রমণ করেছেন। যাত্রীদের বিমান টিকিটের উচ্চমূল্যের সমস্যা সমাধানে চায়না ইস্টার্ন এয়ারলাইন্স চট্টগ্রাম থেকে কুনমিং রুটে ফ্লাইট পরিচালনার পরিকল্পনা করছে। ঢাকার সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষও ঢাকা-কুনমিং রুটে ফ্লাইটের টিকিটের ভাড়া কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে। এপ্রিলে বাংলাদেশ থেকে সাংবাদিকদের বড় একটি দলকে কুনমিংয়ে চিকিৎসা ব্যবস্থা দেখতে পাঠানো হবে।

সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস চীন সফরে যান। সফর শেষে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে প্রধান উপদেষ্টার হাই রিপ্রেজেনটেটিভ ড. খলিলুর রহমান বলেন, বাংলাদেশে একটি আন্তর্জাতিকমানের বিশেষায়িত হাসপাতাল নির্মাণের ব্যাপারে চীন সরকারকে অনুরোধ করা হয়েছে। চীন রাজি হয়েছে। খুব শিগগির এ হাসপাতাল নির্মাণ কার্যক্রম শুরু হবে।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহতদের সেবা দিতে বাংলাদেশে চিকিৎসক টিম পাঠিয়েছিল চীন। এবার আহতদের উন্নত চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের লক্ষ্যে রিহ্যাবিলিটেশন ও রোবটিক ফিজিওথেরাপি সেন্টার স্থাপন করতে সহায়তা করবে দেশটি। রাজধানীর শাহবাগে বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে এই সেন্টার স্থাপন করা হবে। এরই মধ্যে চীনের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল এ বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শন করে গেছে। দগ্ধ মুমূর্ষু রোগীদের চিকিৎসায়ও চীনের অনুদানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট স্থাপন করা হচ্ছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বার্ন ইউনিট নির্মাণে ব্যয় হবে ২৮৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে চীন সরকার অনুদান হিসাবে দেবে ১৮০ কোটি টাকা। চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করার কথা রয়েছে।

ভারতের পর বাংলাদেশ থেকে বেশি রোগী যায় থাইল্যান্ডে। ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সপ্তাহে ১৪টি ফ্লাইট পরিচালনা করছে থাই এয়ারওয়েজ। যাত্রীদের চাপ এড়াতে থাইল্যান্ড ডিসেম্বর থেকে বাংলাদেশিদের ই-ভিসা দিচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে ইরান, মালয়েশিয়াসহ বেশ কয়েকটি দেশ বাংলাদেশের রোগীদের নিয়ে মেডিকেল ট্যুরিজম শক্তিশালী করার উদ্যোগ নিয়েছে।

স্বাস্থ্য অর্থনীতিবিদরা যুগান্তরকে বলছেন, এই মুহূর্তে বিশ্বে মেডিকেল ট্যুরিজমের পরিমাণ ২০ থেকে ৩০ বিলিয়ন ডলারের। মেডিকেল ট্যুরিজমের ৪০ শতাংশ হয় এশিয়ার দেশগুলোতে। যার এক-তৃতীয়াংশ নিয়ন্ত্রণ করে ভারত। দেশটির ২০ থেকে ৩০ শতাংশ বাজার বাংলাদেশের রোগী নিয়ে। ভারতের দুয়ার বন্ধ হওয়ায় চীন সুযোগ নিচ্ছে। সরকারও তা দিচ্ছে। দিনশেষে এটি দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার প্রতি রোগীদের অনাস্থা আরও বাড়তে পারে। রোগীদের বিদেশমুখিতা ঠেকাতে পরিকল্পনা করে এগোতে হবে।

বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (সাবেক বিএসএমএমইউ) সাবেক উপাচার্য ও চিকিৎসা অধিকার আন্দোলনের আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. রশীদ-ই মাহবুব যুগান্তরকে বলেন, দেশে সাধারণ রোগের চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে। কিন্তু বড় অসংক্রামক রোগ যেমন ক্যানসার, নিউরোলজি ও ট্রান্সপ্ল্যান্টেশন কঠিন হচ্ছে। আধুনিক ডায়াগনোসিস কঠিন হচ্ছে। সরকার এটিতে গুরুত্ব না দিয়ে বাইরের দেশে সুযোগ সৃষ্টি করলে সাধারণ মানুষের লাভ হবে না। বাইরে চিকিৎসা করাতে গেলে ৩০ শতাংশ শুল্ক গুনতে হয়। তিনি আরও বলেন, দেশে প্রায় ১৮ কোটি মানুষ রয়েছে। যাদের চিকিৎসায় স্বাস্থ্য খাতকে আধুনিকায়ন করার সুযোগ রয়েছে। এজন্য স্বাস্থ্য খাতে বিনিয়োগ ও মানবসম্পদ জরুরি। সরকারের উচিত আজই কাজ শুরু করা। কোনো দেশ যদি জনহিতকর উদ্দেশ্যে এগিয়ে আসে সেটা নেওয়া যেতে পারে। তবে নিজেকে কিভাবে প্রস্তুত করা যায় সেদিকে নজর দিতে হবে।

স্বাস্থ্য

চিকিৎসা ক্ষেত্রে ভারতের বিকল্প হতে পারে চীন: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

ভারত ভিসা বন্ধ রাখায় চীন বাংলাদেশিদের জন্য দেশটির বিকল্প হতে পারে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। রোববার (২৬ জানুয়ারি) চীন সফর শেষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক ব্রিফিংয়ে এমনটা জানান তিনি।পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, চিকিৎসার জন্য ভারতের বিকল্প হতে পারে চীনের কুনমিং। সেখানে চিকিৎসা খরচ ও যাতায়াতের খরচ তুলনামূলক কম। এ ক্ষেত্রে চীনকে ভিসা ফি কমানোর […]

নিউজ ডেস্ক

২৬ জানুয়ারী ২০২৫, ১৮:০৭

ভারত ভিসা বন্ধ রাখায় চীন বাংলাদেশিদের জন্য দেশটির বিকল্প হতে পারে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।

রোববার (২৬ জানুয়ারি) চীন সফর শেষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক ব্রিফিংয়ে এমনটা জানান তিনি।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, চিকিৎসার জন্য ভারতের বিকল্প হতে পারে চীনের কুনমিং। সেখানে চিকিৎসা খরচ ও যাতায়াতের খরচ তুলনামূলক কম। এ ক্ষেত্রে চীনকে ভিসা ফি কমানোর কথা বলা হয়েছে। যেহেতু ভারত ভিসা বন্ধ রেখেছে, সে ক্ষেত্রে কুনমিং বিকল্প হতে পারে।

তৌহিদ হোসেন বলেন, বাংলাদেশে একটি বড় হাসপাতাল করে দিতে রাজি হয়েছে চীন। সেটির স্থান নির্বাচন নিয়ে কথাবার্তা চলছে। আমরা বলেছি, আমাদের হাতে পূর্বাচলে সুন্দর জায়গা রয়েছে। সেখানে আমরা জায়গা দেয়ার কথা তাদের বলেছি।

তিনি বলেন, চীনের সঙ্গে আলোচনায় ঋণের সুদ হার কমানো এবং পরিশোধের সময়সীমা বাড়ানোর বিষয়ে তাদের ইতিবাচক মনোভাব দেখা গেছে। তারা আশ্বাস দিয়েছে বিষয়টি দেখবে। এছাড়া ব্রহ্মপুত্র নদের বিষয়ে একটি সমঝোতা স্বাক্ষর হয়েছে। তবে তিস্তার বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।

স্বাস্থ্য

ক্যানসারের চিকিৎসায় টিকার ব্যবহার শুরু সেপ্টেম্বরেই

ক্যানসারের চিকিৎসা কতটা জটিল ও ব্যয়বহুল তা সবারই জানা।তবে সেই জটিলতা কাটাতে রুশ গবেষকদের নিরন্তর প্রচেষ্টার ফসল ক্যানসারের টিকা। চিকিৎসাক্ষেত্রে এই টিকার ব্যবহার আগামী সেপ্টেম্বর থেকেই শুরু হতে পারে বলে জানা গেছে। রাশিয়ার গামালেয়া রিসার্চ ইনস্টিটিউটের পরিচালক আলেক্সান্ডার গিন্টসবার্গ জানিয়েছেন, সেপ্টেম্বরেই মিলতে পারে সংস্থাটির তৈরি ক্যানসারের টিকা। রুশ বার্তা সংস্থা রিয়া নভোস্তিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে […]

নিউজ ডেস্ক

২৮ জানুয়ারী ২০২৫, ১৮:২৪

ক্যানসারের চিকিৎসা কতটা জটিল ও ব্যয়বহুল তা সবারই জানা।
তবে সেই জটিলতা কাটাতে রুশ গবেষকদের নিরন্তর প্রচেষ্টার ফসল ক্যানসারের টিকা। চিকিৎসাক্ষেত্রে এই টিকার ব্যবহার আগামী সেপ্টেম্বর থেকেই শুরু হতে পারে বলে জানা গেছে।

রাশিয়ার গামালেয়া রিসার্চ ইনস্টিটিউটের পরিচালক আলেক্সান্ডার গিন্টসবার্গ জানিয়েছেন, সেপ্টেম্বরেই মিলতে পারে সংস্থাটির তৈরি ক্যানসারের টিকা। রুশ বার্তা সংস্থা রিয়া নভোস্তিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ তথ্য জানান তিনি। খবর আরটি’র।

গিন্টসবার্গ বলেন, চিকিৎসাক্ষেত্রে এই টিকার ব্যবহার সংক্রান্ত অনুমোদনে আমরা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে ইতোমধ্যে আবেদন করেছি। আগস্ট শেষ হওয়ার আগেই সম্ভবত অনুমোদন দেয়া হতে পারে বলে আভাস পেয়েছি আমরা।
মন্ত্রণালয় অনুমোদন দিলে আগামী সেপ্টেম্বর থেকে চিকিৎসাক্ষেত্রে এই টিকার ব্যবহার করা সম্ভব হবে।

তিনি আরও জানান, যাদের ইতোমধ্যে ক্যানসার ধরা পড়েছে তাদেরকে এই টিকা দেয়া যাবে। টিকার মূল ওষুধ মানবদেহে প্রবেশের পর সেটি অল্প সময়ের মধ্যেই রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থাকে বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত করে তোলে।
এই প্রশিক্ষিত প্রতিরোধী শক্তিই ক্ষতিকর ক্যানসার কোষগুলোকে প্রথমে শনাক্ত ও পরে ধ্বংস করে।

চলতি বছর আরও কয়েকটি ক্যানসারের ওষুধ এবং টিকা বাজারে আসার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানান গিন্টসবার্গ। কারণ রাশিয়ার অনেক সরকারি-বেসরকারি কোম্পানি এখন এ সংক্রান্ত গবেষণার দিকে ঝুঁকছে।

ভ্যাকসিনটি সম্পর্কে গামালেয়া রিসার্চ ইনস্টিটিউটের পরিচালক এর আগে বার্তা সংস্থা তাসকে বলেছিলেন, ‘পরীক্ষামূলক প্রয়োগে দেখা গেছে, এই ভ্যাকসিন টিউমারের বিকাশ এবং সম্ভাব্য মেটাস্টেসগুলোকে দমন করে রাখে, ছড়াতে দেয় না।

রাশিয়ার ভ্যাকসিন প্রধান আন্দ্রে কাপ্রিনের মতে, এখন ব্যক্তিগত ভ্যাকসিন তৈরি করতে বেশ দীর্ঘ সময় লাগে; কারণ গাণিতিক ভাষায় একটি ভ্যাকসিন, বা কাস্টমাইজড এমআরএনএ কীভাবে ম্যাট্রিক্স পদ্ধতি ব্যবহার করে তার কম্পিউটিং করা হয়।
আমরা ইভানিকভ ইনস্টিটিউটকে যুক্ত করেছি যা এটি করতে এআই’র (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) ওপর নির্ভর করবে।
মানে নিউরাল নেটওয়ার্ক কম্পিউটিংয়ের মাধ্যমে এই পদ্ধতিগুলো প্রায় ৩০ মিনিট থেকে এক ঘন্টা সময়ের মধ্যে করা সম্ভব হবে।