বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

ফিচার

চিন্ময় ইস্যুতে ভারতের বিবৃতিতে ক্ষেপেছে ড.ইউনূস

বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও চট্টগ্রামের হাটহাজারীর পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ প্রভু চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় ভারতের বিবৃতির তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ। মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ প্রতিবাদ জানায়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ একটি বিষয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) জারি করা একটি […]

নিউজ ডেস্ক

২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৩:৪১

বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও চট্টগ্রামের হাটহাজারীর পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ প্রভু চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় ভারতের বিবৃতির তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ প্রতিবাদ জানায়।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ একটি বিষয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) জারি করা একটি বিবৃতি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে তা বাংলাদেশ সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে।

বিবৃতিতে বলা হয়, অত্যন্ত হতাশার সঙ্গে বাংলাদেশ সরকার উল্লেখ করছে, শ্রী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করার পর থেকে কিছু মহল তার গ্রেপ্তার ইস্যুকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করছে। বাংলাদেশ সরকার মনে করে, এই ধরনের ভিত্তিহীন বিবৃতি শুধু সত্যকে বিকৃত করে না বরং প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্ব ও বোঝাপড়ার চেতনার পরিপন্থি। বাংলাদেশে সব ধর্মের জনগণের মধ্যে বিদ্যমান যে সম্প্রীতি রয়েছে এবং সরকারের যে অসাম্প্রদায়িকতার প্রতিশ্রুতি ও প্রচেষ্টা রয়েছে বিবৃতিটিতে তা প্রতিফলিত হয়নি।

এতে বলা হয়, বাংলাদেশে জনগণের ওপর গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিচারহীনতার যে সংস্কৃতি চলে আসছিল তা সমাপ্ত করার বিষয়ে সরকারের যে দৃঢ়প্রতিজ্ঞা রয়েছে এবং সংখ্যাগুরু ও সংখ্যালঘুদের একই নজরে দেখার যে দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে, ভারতের বিবৃতি সেটি সম্পূর্ণ উপেক্ষা করেছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে নিশ্চিত করে, প্রত্যেক বাংলাদেশি তার ধর্মীয় পরিচয় নির্বিশেষে, নিজ নিজ ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পালনের অধিকার রয়েছে এবং বাধা ছাড়াই সবার মতামত প্রকাশ করার অধিকার রয়েছে। সব নাগরিকের বিশেষ করে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা বাংলাদেশ সরকারের একটি দায়িত্ব। গত মাসে বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণভাবে দুর্গাপূজা পালনের মাধ্যমে এটি আবারও প্রমাণিত হয়েছে।

বাংলাদেশ সরকার দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সমুন্নত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, চট্টগ্রামে আজ বিকেলে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফ। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বাংলাদেশ সরকার গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। যে কোনো মূল্যে ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য কর্তৃপক্ষ বন্দর নগরীতে নিরাপত্তা জোরদার করেছে।

এর আগে, চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেপ্তার ইস্যুতে এক বিবৃতিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতন জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তার ও জামিন নাকচ করার বিষয়টি আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করেছি। বাংলাদেশে হিন্দু এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুদের ওপর একাধিক হামলার পরে এখন এ ঘটনা ঘটল।

বিবৃতিতে ভারত দাবি করে, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের পাশাপাশি চুরি ও ভাঙচুর এবং দেবতা ও মন্দির অবমাননার একাধিক নথিভুক্ত ঘটনা রয়েছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, শান্তিপূর্ণ সমাবেশের মাধ্যমে ন্যায্য দাবি উপস্থাপনকারী একজন ধর্মীয় নেতার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিপরীতে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলাকারী-দুষ্কৃতকারীরা বাইরে ঘুরে বেড়াচ্ছে। বিবৃতিতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি হিন্দু ধর্মাবলম্বীসহ সকল সংখ্যালঘুদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার অধিকার প্রতিষ্ঠা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানানো হয়।

ফিচার

ভারতীয় গণমাধ্যম বাংলাদেশ সম্পর্কে অপপ্রচার চালাচ্ছে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, ভারতীয় গণমাধ্যম প্রতিদিন আমাদের সম্পর্কে অপপ্রচার চালাচ্ছে। বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে বরিশাল জেলা পুলিশ লাইন্সের ড্রিল শেডে বরিশাল বিভাগের আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অপপ্রচারের ব্যাপারে আপনারা সবসময় সজাগ থাকবেন। তারা প্রতিদিন মিথ্যা রিপোর্ট দিয়ে যাচ্ছে। তারা যাতে মিথ্যে […]

নিউজ ডেস্ক

১৪ নভেম্বর ২০২৪, ২১:৩১

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, ভারতীয় গণমাধ্যম প্রতিদিন আমাদের সম্পর্কে অপপ্রচার চালাচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে বরিশাল জেলা পুলিশ লাইন্সের ড্রিল শেডে বরিশাল বিভাগের আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অপপ্রচারের ব্যাপারে আপনারা সবসময় সজাগ থাকবেন। তারা প্রতিদিন মিথ্যা রিপোর্ট দিয়ে যাচ্ছে। তারা যাতে মিথ্যে রিপোর্ট না দেয় সেজন্য আমি আপনাদের সহযোগিতা চাচ্ছি। আপনারা সত্য রিপোর্ট দেন।

সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি আরও বলেন, আমরা যদি কোনো ভুল করি, আপনারা বলেন, আমরা সেটা রেক্টিফাই করব। আমার ভেতরে কোনো রকম দুর্নীতি থাকলে আপনারা বলুন, আমার উত্তর দিতে দ্বিধা নেই। কিন্তু কোনো মিথ্যা রিপোর্ট আপনারা দেবেন না।

এ সময় তিনি বলেন, আমাদের বাহিনীগুলোকে জনবান্ধব করে গড়ে তুলতে হবে। এতে আমাদের চেষ্টাগুলো নিয়ে এখানে আলোচনা হয়েছে। আমাদের বাহিনীরও অনেক সমস্যা রয়েছে। যেমন, গাড়ি ও অর্থসহ নানা লজিস্টিক সমস্যা।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও কীভাবে উন্নতি করা যায় এ ব্যাপারেও আলোচনা করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

বরগুনার এসপির বিষয়ে তদন্ত করে সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে জানিয়ে মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, দুএকদিন দেরি হচ্ছে হয়তো। তবে একটি ফরমাল ইনভেস্টিগেশন তো করতেই হবে। আর তাতে যদি তাকে দোষী পাওয়া যায় অবশ্যই তার বিরুদ্ধে শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। অন্যান্য ক্ষেত্রে অন্যায় করলে দরকার হলে এদেরও জেলে নেওয়া হবে।

সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে তিনি বলেন, এবারে অবশ্যই একটা সুরাহা হবে। এখানে ৬ মাসের সময় দেওয়া হয়েছে। আর আইজিপি সাহেবের নির্দেশে নতুন একটি টিমও করে দেওয়া হয়েছে।

পুলিশ বাহিনীর আস্থার একটি সংকট ছিল, তবে এটা হঠাৎ করে ঠিক হয়ে যাবে না। কিন্তু আগের থেকে কিছুটা উন্নতি হয়েছে, আস্তে আস্তে আরও হবে।

নীরব চাঁদাবাজির কোনো বিষয় থাকলে এসপি, পুলিশ কমিশনার ও ডিআইজি সাহেবকে জানান। তারা ব্যবস্থা না নিলে আমাকে কিংবা আইজি সাহেবকে জানান। তাদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেব।

মাদকের বিষয়ে তিনি বলেন, মাদক আমাদের বড় সমস্যা। ক্যারিয়ারগুলো ধরা পড়ছে বেশিরভাগ সময়, হোতাগুলো ধরা পড়ছে না। কিন্তু এবার বেশ কয়েকজন বড় বড় হোতা ধরা পড়েছে।

মাদক আমাদের দেশের বড় সমস্যা। এর সমাধান আমাদের সবাইকে মিলে করতে হবে। আপনাদের কাছে অনুরোধে মাদকের বিষয়ে তথ্য দেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর অ্যাকশনে না গেলে তাদের বিরুদ্ধে আমরা অবশ্যই যাব। পুলিশ, র‌্যাব ও সেনাবাহিনীকেও তথ্য দিতে পারেন। পেপারে আগে না দিয়ে এদের কাছে জানান, যদি তারা না ব্যবস্থা নেয় তাহলে পেপারে দিয়ে দেন। কিন্তু মাদকের সঙ্গে জড়িতদের ধরতে আমাদের সহযোগিতা করুন, মিডিয়ায় আগে দিলে তারা সজাগ হয়ে যায়, তাই আমরা চাই তারা ঘুমিয়ে থাকা অবস্থাতেই ধরে ফেলতে।

এখন অনেক মামলা হচ্ছে, অনেক নির্দোষ লোককে আসামি করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে আপনাদের সজাগ হতে হবে। আমি বাহিনী প্রধানদেরও বলেছি, যারা এ ধরনের মামলা করবে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে এখন থেকে। খারাপ লোককে খারাপ বললে সেও মামলা করে দিচ্ছে, এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সার্কুলারও দিয়েছে- যারা এরকম মামলা করে সেগুলো না নেওয়ার জন্য। আর নিলেও বাদীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। আগে পুলিশ বাদী হয়ে অনেক আসামি করত কিন্তু এখন পুলিশ সেরকম মামলা দেয় না, এখন দেয় সাধারণ মানুষ।

পুলিশ সংস্কারে পুলিশ কমিশন কাজ করে যাচ্ছে, তারা রিপোর্ট দিলে সেই অনুযায়ী আমরা কাজ করতে পারব।

তিনি আরও বলেন, দায়িত্ব নেওয়ার পর এটাই আমার বরিশালে প্রথম পরিদর্শন। এখানে এসে নিজেকে খুব ধন্য মনে করছি, অন্যান্য জায়গার থেকে এখানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনেক ভালো। মাঝে মাঝে যদিও রাস্তাটা ব্লক করে ফেলে, এটার জন্য সবাই চেষ্টা করবেন। রাস্তা ব্লক না করে তাদের যে দাবি-দাওয়া থাকে তা সঠিক চ্যানেলে প্লেস করলে সব থেকে ভালো হয়। এখানে ছাত্র প্রতিনিধিরা রয়েছে, তাদেরও আমি সহায়তা করার জন্য বলেছি, রাস্তা ব্লক করে যাতে জনগণকে ভোগান্তির মধ্যে না ফেলা হয়।

সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পুলিশের আইজিপি মো. ময়নুল ইসলাম, র‌্যাবের মহাপরিচালক এ কে এম শহিদুর রহমান, বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার মো. রায়হান কাওছার, বরিশাল সেনানিবাসের ৭ পদাতিক ডিভিশনের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমিরুল আজিম- পিএসসি

ফিচার

এই সরকার শেখ হাসিনার ফাঁসির ব্যবস্থা করে ফেলেছে : নানক

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক অভিযোগ করেছেন, “রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বর্তমান সরকার শেখ হাসিনাকে ফাঁসিতে ঝুলানোর পরিকল্পনা করছে। সরকারের বিরুদ্ধে কথা বললেই অত্যাচারের শিকার হতে হচ্ছে।” শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) রাতে অজ্ঞাত স্থান থেকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি ভিডিও বার্তায় তিনি এ মন্তব্য করেন। গোপনে থাকা গণহত্যায় অভিযুক্ত এই আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, “আজ […]

নিউজ ডেস্ক

২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:০৬

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক অভিযোগ করেছেন, “রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বর্তমান সরকার শেখ হাসিনাকে ফাঁসিতে ঝুলানোর পরিকল্পনা করছে। সরকারের বিরুদ্ধে কথা বললেই অত্যাচারের শিকার হতে হচ্ছে।”

শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) রাতে অজ্ঞাত স্থান থেকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি ভিডিও বার্তায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

গোপনে থাকা গণহত্যায় অভিযুক্ত এই আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, “আজ আমি দুঃখ ভারাক্রান্ত মন নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। দেশের বর্তমান পরিস্থিতি আমাদের সবার জন্য অত্যন্ত বেদনাদায়ক। জনগণ আজ শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে। প্রশ্ন উঠছে—বাংলাদেশ আজ কোথায় দাঁড়িয়েছে? দেশের ভবিষ্যৎ কোন দিকে যাচ্ছে?”

নানক আরও বলেন, “দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারকে অপসারণ করা হয়েছে, যার ফলে বাংলাদেশ তার উন্নয়নের গতিপথ হারিয়েছে। অর্থনৈতিক ও সামাজিক অগ্রগতিতে আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত বাংলাদেশ আজ চরম অস্থিতিশীল অবস্থায় পৌঁছেছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে মানুষের জীবনের মূল্য যেন সবচেয়ে কম হয়ে গেছে।”

নানক বলেন, ‘একটি গোষ্ঠী আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালাচ্ছে। তাদের বাড়িঘর, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা ও লুটপাট চালাচ্ছে। তাদের হত্যা করছে। রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে আওয়ামী লীগসহ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের প্রগতিশীল মানুষদের ওপর অবর্ণনীয় দমন-নিপীড়ন চালানো হচ্ছে।’

আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, ‘শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ কেন্দ্রীয় ১৪ দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক হত্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। সেই সব মৃতদের অনেকেই জীবিত আছে। টাকার প্রলোভন দেখিয়ে মামলার বাদী বানানোর পরিকল্পিত কৌশলের গোমরও ফাঁস হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘সরকার রাজনৈতিকভাবে প্ররোচিত হয়ে শেখ হাসিনাকে যে ফাঁসি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাও ইতিমধ্যে প্রমাণিত। বাদবিচারহীনভাবে চলছে গণগ্রেপ্তার। এই সরকারের বিরুদ্ধে কেউ কথা বললেই তার ওপর অত্যাচারের খড়গ নেমে আসে।’

তিনি বলেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির সমাজকে গভীর সংকটে ফেলে দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের অগ্রযাত্রার গতিমুখ বদল করে একত্ববাদিতা কায়েম করার লক্ষ্যে কাজ চলছে। বাংলাদেশের জন্মের ইতিহাস মুছে ফেলার পাঁয়তারা করা হচ্ছে। রাষ্ট্রাচার থেকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের সঙ্গে সম্পৃক্ত গুরুত্বপূর্ণ দিবসগুলো বাদ দিয়েছে। জয় বাংলা জাতীয় দিবসের রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে।’

আজ বাংলাদেশ ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে দাবি করে তিনি বলেন, ‘একদিকে মানুষের জানমালের নিরাপত্তা নেই, অন্যদিকে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি।  এরফলে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে মানুষের জীবন।’

সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আন্দোলনের সময় রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছিল তারই অংশ হিসেবে সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ড সংঘটিত করা হয়েছে। লাগামহীন দুর্নীতির প্রমাণ নিশ্চিহ্ন করতে এমন নীলনকশা কি না আমরা জাতির কাছে সেই প্রশ্ন রাখছি। মূলত এর মধ্যে সরকারের ষড়যন্ত্র তত্ত্ব আবিষ্কারের চেষ্টা চলছে। সব জায়গায় আওয়ামী লীগের ভূত দেখার মতো দৃষ্টিভঙ্গি থেকে সরকারের কেউ কেউ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর দোষ চাপানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে। আমরা সচিবালয়ের ভিডিও ফুটেজ জাতির সামনে প্রকাশ করার দাবি জানাচ্ছি। নিরপেক্ষ তদন্ত কমিশনের মাধ্যমে অগ্নিকাণ্ডে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনারও দাবি জানাচ্ছি।’

এ দেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা কেউ মুছে ফেলতে পারবে না উল্লেখ করে নানক বলেন, ‘বৃথা চেষ্টা না করে জনদুর্ভোগ কমান। জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন। সব হত্যাকাণ্ডের নিরপেক্ষ বিচার করুন।’

তিনি বলেন, ‘যেখানে সেখানে মবের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হত্যা করার সংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে। ছাত্রলীগের অসংখ্য নেতাকর্মীর শিক্ষাজীবন আজ বিপন্ন। ছাত্রলীগ করার কারণে তাদের পরীক্ষায় অংশ নিতে দেওয়া হচ্ছে না। এটা মানবাধিকার লঙ্ঘন। বিনা কারণে যাদের চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে, তাদের স্বপদে বহাল করতে হবে। ইজতেমা ময়দানের হত্যাকাণ্ডের ঘটনা জাতি জানতে চায়।’

তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষকে আবার শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। ওরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করে দিতে চায়। আমাদের আর বসে থাকার সুযোগ নেই। আসুন প্রতিবাদ করি, প্রতিরোধ করি। ওরা দেশপ্রেমিক নয়, ওরা জাতির পিতা মানে না। আমি আপনাদের ধন্যবাদ জানিয়ে বক্তব্য এখানেই শেষ করছি। জয় বাংলা।’

সময় কোনো বিষয় নয়, নিরপেক্ষ নির্বাচনই আসল কথা

জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, সময় কোনো বিষয় নয়, নিরপেক্ষ নির্বাচনই আসল কথা। তাঁর এই বক্তব্যে আপনার সমর্থন আছে কি?

মোট ভোট: ২৩৭
মোট ভোট: ২৩৭

ফিচার

এবার বাংলাদেশে সেনাবাহিনী পাঠানোর প্রস্তাব ভারতের লোকসভায়

বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের প্রসঙ্গ তুলে ভারতের লোকসভায় জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠানোর প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের সংসদ সদস্য সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) এই প্রস্তাব দেন। সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারকে আহ্বান জানান, যাতে বাংলাদেশে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জাতিসংঘের মাধ্যমে শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়। এর আগে, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি […]

নিউজ ডেস্ক

০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২:৫৬

বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের প্রসঙ্গ তুলে ভারতের লোকসভায় জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠানোর প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের সংসদ সদস্য সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) এই প্রস্তাব দেন।

সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারকে আহ্বান জানান, যাতে বাংলাদেশে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জাতিসংঘের মাধ্যমে শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়। এর আগে, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি একই রকমের দাবি করেন।

লোকসভায় বক্তব্য প্রদানকালে সুদীপ বলেন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের, বিশেষত হিন্দু সম্প্রদায়ের, ওপর নির্যাতন এবং হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে। এ পরিস্থিতিতে ভারতের উচিত অবিলম্বে জাতিসংঘের কাছে আবেদন জানিয়ে প্রতিবেশী দেশে শান্তিরক্ষী বাহিনী প্রেরণের ব্যবস্থা করা।

 

তিনি বলেন, বাংলাদেশ আমাদের প্রতিবেশী দেশ। আমাদের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের সঙ্গেও দেশটি সংযুক্ত। বাংলাদেশের নিকটতম প্রতিবেশী হওয়ায় পশ্চিমবঙ্গ সেখানকার ঘটনার দ্বারা সরাসরি প্রভাবিত হয়। তিনি বলেন, অতীতেও শরণার্থীদের আগমন ঘটেছে।

তৃণমূল নেতা বলেন, পশ্চিমবঙ্গ সরকার একটি প্রস্তাব উত্থাপন করেছে এবং তারা এই বিষয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে একত্রে কাজ করবে ও কেন্দ্রের নেওয়া সিদ্ধান্তের প্রতি সমর্থন জানাবে। বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে ভারতের অবস্থান পরিষ্কার করতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের প্রতি আহ্বানও জানান তিনি।