বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া মন্তব্য করেছেন যে, ১৯৭১ সালে শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার পেছনে ভারতের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ছিল। তিনি বলেন, পাকিস্তানকে দুর্বল করতে পূর্ব বাংলাকে (বর্তমান বাংলাদেশ) আশ্রয় দেওয়ার মাধ্যমে ভারত তাদের প্রভাব বিস্তারের সুযোগ পেতে চেয়েছিল। তবে ভারত তখন হয়তো ভাবেনি যে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ তাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী কাজ করবে না।
তিনি আরও বলেন, “আমরা দিল্লির আধিপত্য থেকে মুক্ত হয়েছি, আর কখনো যুক্ত হবো না। ভারত যদি সম্পর্ক রাখতে চায়, তবে তা বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে রাখতে হবে। কোনো বিশেষ ব্যক্তি বা দলের সঙ্গে সম্পর্ক রাখলে দুই দেশের সম্পর্ক উন্নত হবে না।”
গত সোমবার লক্ষ্মীপুরের রায়পুর বাস টার্মিনালে বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
খায়ের ভূঁইয়া আরও বলেন, আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে শেখ হাসিনার পতন নিশ্চিত করে দ্বিতীয়বারের মতো আজ স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্রের আমেজ বিরাজমান। এরপরও বিভিন্ন চক্রান্ত ষড়যন্ত্র চলছে। এ বিজয় ধরে রাখতে আমাদের আরও পরিশ্রম করতে হবে। যতক্ষণ না এ অন্তর্বর্তী সরকার একটি রোডম্যাপের মাধ্যমে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন দিয়ে জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে না, ততক্ষণ আমাদের আন্দোলন সংগ্রাম অব্যাহত রাখতে হবে।
হাসিনা ও তার দোসররা বসে নেই জানিয়ে তিনি বলেন, বিদেশে বসে তাদের চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র অব্যাহত রয়েছে। কয়েকটি ঘটনার মধ্য দিয়ে দেশকে নিয়ে চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। দেশি-বিদেশি একটি মহল বাংলাদেশের এ অর্জনকে সহজভাবে মেনে নিতে চায় না।
রায়পুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম হাওলাদারের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য দেন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক নাজমুল ইসলাম মিঠু ও সদস্য সচিব শফিকুর রহমান ভূঁইয়া, পৌরসভার সাবেক মেয়র ও পৌর বিএনপির আহ্বায়ক এবিএম জিলানী, সদস্য সচিব শফিকুল আলম আলমাস প্রমুখ।
দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?
