মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

ফিচার

‘যারা বলে ক্ষমতায় গিয়ে সংস্কার করবো, এগুলো ভাঁওতাবাজি’

তিনি বলেছেন, “যদি চাঁদাবাজি বন্ধ করা যায়, তবে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টির মতো দলগুলো কর্মী পাবে না। আর দুর্নীতি বন্ধ হলে এ দলগুলো নেতা খুঁজে পাবে না। চাঁদাবাজির মাধ্যমে তারা কর্মী তৈরি করে, আর দুর্নীতির পথ উন্মুক্ত রেখে নেতা তৈরি করে। তাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার হলো চাঁদাবাজি বন্ধ করা এবং দুর্নীতির পথ রোধ করা। […]

নিউজ ডেস্ক

০৪ জানুয়ারী ২০২৫, ১০:১৯

তিনি বলেছেন, “যদি চাঁদাবাজি বন্ধ করা যায়, তবে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টির মতো দলগুলো কর্মী পাবে না। আর দুর্নীতি বন্ধ হলে এ দলগুলো নেতা খুঁজে পাবে না। চাঁদাবাজির মাধ্যমে তারা কর্মী তৈরি করে, আর দুর্নীতির পথ উন্মুক্ত রেখে নেতা তৈরি করে।

তাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার হলো চাঁদাবাজি বন্ধ করা এবং দুর্নীতির পথ রোধ করা। অতীতে দুর্নীতি করা দলগুলোর নেতারা যেন ভবিষ্যতে পার্লামেন্টে প্রবেশ করতে না পারে, সেই পথও বন্ধ করতে হবে। আমরা আর আগের রাজনীতিতে ফিরে যেতে চাই না।”

তিনি আরও বলেন, “বর্তমানে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হলো, আগামীতে ক্ষমতায় কারা যাবে। যারা এই অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দিয়েছে, যারা রাজপথে নেমে আন্দোলন করেছে, জনগণ তাদের ওপর আস্থা রাখে।”

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ভূমিকা নিয়ে তিনি বলেন, “এই অভ্যুত্থানের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমরা রাজপথে ছিলাম, ছাত্রদের পাশে ছিলাম। অন্য কোনো রাজনৈতিক দল প্রকাশ্যে রাজপথে ছিল না। বরং কিছু দলের নেতারা স্পষ্ট বলেছিলেন, তারা এই আন্দোলনের সঙ্গে নেই। এখন তারা এই আন্দোলনের কৃতিত্ব দাবি করছে।

কিন্তু আমরা প্রথম থেকেই বলেছিলাম, আমরা এই বিপ্লবের অংশীদার। ৫ আগস্টের অভ্যুত্থানের আগেই আমরা বলেছিলাম, কেবল সরকারের পরিবর্তন যথেষ্ট নয়, রাষ্ট্র সংস্কার করতে হবে। কোটা সংস্কার নয়, রাষ্ট্রের পুরো কাঠামো ধ্বংস হয়ে গেছে। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোও ধ্বংস হয়েছে। তাই কেবল কোটা সংস্কার নয়, বরং রাষ্ট্র সংস্কারের দাবিও আমরা প্রথম থেকেই তুলে ধরেছি।”

অতএব এখন যদি কেউ বলে আমরা ক্ষমতায় গিয়ে সংস্কার করবো এগুলো ভাওতাবাজি। এরা অতীতে জনগণের সাথে প্রতারণা করেছে, সামনে ও প্রতারণা করবে। এজন্য কোনো রকম সংস্কারে তারা বিশ্বাস করে না।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ প্রমাণিত হয়েছে, এরা দেশপ্রেমিক একটি রাজনৈতিক দল। শুধুমাত্র এই ২৪ এর জুলাই বিপ্লব নয়, শুধু এই চেতনাই ইসলামী আন্দোলন ধারণ করে না বরং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ যে চেতনার ভিত্তিতে বাংলাদেশের মানচিত্র নির্মিত হয়েছে, বাংলাদেশের মানচিত্র ৭১ এর ভিত্তিতে নির্মিত হয় নাই, আমরা ভূখন্ড পেয়েছি ১৯৪৭ এর দেশভাগের মধ্যে দিয়ে। যে চেতনার ভিত্তিতে ১৯৪৭ এ আমরা নতুন ভূখন্ড পেয়েছি, নতুন মানচিত্র পেয়েছি, এই চেতনা আমাদের মধ্যে আছে। ১৯৭১ এর সাম্য, মানবিক মর্যাদা এবং সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার চেতনা আমাদের মধ্যে আছে।

আমরা ৪৭ এর চেতনাকে যেমন ধারণ করি, ৭১ এর চেতনাকে ও ধারণ করি, একইভাবে আমরা ২৪ এর জুলাইয়ের চেতনাকে ও ধারণ করি। যদি ভবিষ্যতে সংবিধান সংস্কার করতে হয়, এই তিনটি চেতনার সমন্বয়ে সংবিধান হবে। এটাকে মনে রাখতে হবে, নির্বাচন ব্যবস্থা অতীতে যে ভাবে নির্বাচন হয়েছে, এই ব্যবস্থায় নির্বাচন হলে কোনো সংস্কার কার্যকর হবে না। কারণ সৎ মানুষ, প্রকৃত জনপ্রতিনিধি, মানুষকে যারা ভালোবাসে, দেশকে যারা ভালাবাসে, এমন যোগ্য মানুষ যদি পার্লামেন্টে যেতে না পারে, পার্লামেন্টে শুধু দৈত্যদানবরা যাই, কালো টাকার মালিক এবং পেশিশক্তি যাদের আছে তারাই শুধূ পার্লামেন্টে যাই, কোনোদিন দেশ সঠিকভাবে পরিচালিত হবে না।

 

অতএব আগের পদ্ধতিতে নির্বাচন দিয়ে নতুন দেশ গঠিত হবে না। নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের সবচেয়ে বড় যে কাজ সেটা হলো এই নির্বাচন পদ্ধতি পরিবর্তন করতে হবে। এইজন্য আমাদের নেতা পীর সাহেব চরমোনাই ২০০৮ সালে দাবি জানিয়েছিলেন পেয়ার পদ্ধতি বা সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে নির্বাচন ব্যবস্থা লাগবে। সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে নির্বাচন ব্যবস্থা যাতে আগামীতে নির্বাচন হয়, সবদলের মধ্যে এক আছে, শুধুমাত্র চাই না বিএনপি। কেন চাই না তারা একাই ৩০০ আসন নিয়ে নিবে। এমন একটা মতলব তাদের আছে।

বাংলাদেশকে আর একটি দলের হাতে ছেড়ে দেওয়া যাবে না। অতীতে আমাদের অভিজ্ঞতা আছে, এভাবেই স্বৈরাচার কায়েম হয়েছে, এভাবেই ফ্যাসিবাদ কায়েম হয়েছে। অতএব আমরা আগামীতে নতুন কোনো স্বৈরাচার, নতুন কোনো ফ্যাসিবাদ যাতে ক্ষমতায় না আসতে পারে এমন সকল পথ বন্ধ করে দিবো ইনশাল্লাহ।”

 

১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
poll_title
বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারতের হস্তক্ষেপের আহ্বান

জয় ও নিঝুম মজুমদারের এই আহ্বানকে দেশবিরোধী বলে মনে করেন ?

মোট ভোট: ১৪৬৮

রাজনীতি

আমার স্বামী’ র শেষ কথা ছিল,বিডিআরের পোশাকে ভারতীয়রা : নি হ ত মেজরের স্ত্রী

পিলখানা হত্যাকাণ্ডের পর চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা চাকরি ফিরে পাওয়াসহ ৬ দফা দাবিতে মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। পিলখানা হত্যাকাণ্ডে নিহত এক মেজরের স্ত্রী বলেন, “আমার হাসবেন্ডের সাথে যখন সর্বশেষ কথা হয় সেই সময় আমার হাসবেন্ড আমাকে চারটা শব্দ বলেছিল। প্রথমে বলেছিল, ভিতরে লীগের নেতারা আছে। বিডিআরের […]

নিউজ ডেস্ক

১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১২:৫০

পিলখানা হত্যাকাণ্ডের পর চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা চাকরি ফিরে পাওয়াসহ ৬ দফা দাবিতে মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।

পিলখানা হত্যাকাণ্ডে নিহত এক মেজরের স্ত্রী বলেন, “আমার হাসবেন্ডের সাথে যখন সর্বশেষ কথা হয় সেই সময় আমার হাসবেন্ড আমাকে চারটা শব্দ বলেছিল। প্রথমে বলেছিল, ভিতরে লীগের নেতারা আছে। বিডিআরের পোশাকে লীগের নেতারা আছে দরবার হলের ভিতরে।

দ্বিতীয়ত সে আমাকে বলেছিল, কিছু বিডিআর জওয়ান সে দেখছে যাদের বয়স বিডিআরের চাকরি করে যারা তাদের থেকে বেশি। তিন নাম্বার সে বলেছিল, এনএসডি। আমি এখন পর‌্যন্ত মিডিয়াতে এই কথাটা বলিনি। আমার হাসবেন্ড দুইবার আমাকে এই শব্দটা বলেছে, আমি তখনও বুঝিনি।

আমি জিজ্ঞেস করায় আমার হাসবেন্ড বলেছিল ইন্ডিয়ানস (ভারতীয়)। ও কথাটা বলে শেষ করতে পারেনি, আমাকে গলা ধরে বের করে নিয়ে যায়।

তিনি বলেন, যে লোকগুলো রুম থেকে বের করে নিয়ে যায় আমাকে, যাওয়ার পরে আমি শুনতে পাই তারা হিন্দিতে কথা বলছে।

০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
poll_title
এ বছরের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব বলে কি আপনিও মনে করেন?

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, এ বছরের শেষ দিকে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। এ বছরের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব বলে কি আপনিও মনে করেন?

মোট ভোট: ১৫৪৪

রাজনীতি

ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনে যে আসন থেকে লড়বেন, হাসনাত-সারজিসসহ অন্যরা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের লক্ষ্যে তরুণ ও যুবসমাজকে সংগঠিত করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে চলতি মাসেই নতুন দল আত্মপ্রকাশ করতে পারে। এতে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী ও তরুণদের একাংশ যুক্ত হবে বলে জানা গেছে। এ লক্ষ্যে জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী […]

নিউজ ডেস্ক

১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১৪:৪৬

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের লক্ষ্যে তরুণ ও যুবসমাজকে সংগঠিত করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে চলতি মাসেই

নতুন দল আত্মপ্রকাশ করতে পারে। এতে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী ও তরুণদের একাংশ যুক্ত হবে বলে জানা গেছে।

এ লক্ষ্যে জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শীর্ষ নেতারা তাদের এলাকায় যাচ্ছেন এবং স্থানীয় সামাজিক, রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন।

নাগরিক কমিটির একাধিক সূত্র বলছে, সদস্যসচিব আখতার হোসেন রংপুর-৪ ও মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম পঞ্চগড়-১ আসনে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ কুমিল্লা-৪ আসন থেকে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠন আব্দুল হান্নান মাসুদ নোয়াখালী-৬ আসন থেকে নির্বাচন করতে কাজ শুরু করেছেন।

এ ছাড়া জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মুহাম্মদ হাসান আলী চট্টগ্রামে, মো. আব্দুল আহাদ দিনাজপুরে, আশরাফ উদ্দিন মাহদি ও মো. আতাউল্লাহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়, অনিক রায় সুনামগঞ্জে, মনিরা

শারমিন নওগাঁয়, এস এম সাইফ মোস্তাফিজ সিরাজগঞ্জে, আতিক মুজাহিদ কুড়িগ্রামে, আবদুল্লাহ আল আমিন নারায়ণগঞ্জে, সারোয়ার তুষার নরসিংদীতে, মশিউর রহমান ঝালকাঠিতে, মো. নিজাম উদ্দিন নোয়াখালীতে এবং আলী আহসান জোনায়েদ ঢাকায় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।

কেন্দ্রীয় সংগঠক মেসবাহ কামাল মুন্না খুলনায়, প্রীতম দাশ হবিগঞ্জে, আবু সাঈদ লিওন নীলফামারীতে এবং জাতীয় নাগরিক কমিটির নারীবিষয়ক সেলের প্রধান সাদিয়া ফারজানা দীনা রংপুরে নির্বাচনের লক্ষ্যে তরুণ ও যুবসমাজকে সংগঠিত করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।

১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
poll_title
বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারতের হস্তক্ষেপের আহ্বান

জয় ও নিঝুম মজুমদারের এই আহ্বানকে দেশবিরোধী বলে মনে করেন ?

মোট ভোট: ১৪৬৮

রাজনীতি

হাসিনার পাশে না থাকলে ভাইয়ের মতো আমাকেও ‘ক্রসফায়ার’দেওয়া হতো : নজরুল ইসলাম

শেখ হাসিনার পাশে না থাকলে তার বড় ভাইয়ের মতো অবস্থা (ক্রসফায়ারে মারা) হতো’ বলে আদালতকে বলেছেন এক্সিম ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ও নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার। সবসময় প্রাণভয়ে থাকতেন তিনি। বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এমএ আজহারুল ইসলামের আদালতে ধানমন্ডি থানা ও যাত্রাবাড়ী থানার রিমান্ড শুনানিতে তিনি এ কথা বলেন। এদিন তাকে কারাগার […]

নিউজ ডেস্ক

১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১৬:১৬

শেখ হাসিনার পাশে না থাকলে তার বড় ভাইয়ের মতো অবস্থা (ক্রসফায়ারে মারা) হতো’ বলে আদালতকে বলেছেন এক্সিম ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ও নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার। সবসময় প্রাণভয়ে থাকতেন তিনি।

বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এমএ আজহারুল ইসলামের আদালতে ধানমন্ডি থানা ও যাত্রাবাড়ী থানার রিমান্ড শুনানিতে তিনি এ কথা বলেন।

এদিন তাকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করে দুই মামলায় ১০ দিন করে রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পিপি ওমর ফারুক ফারুকী।

আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তার রিমান্ড বাতিল চেয়ে আবেদন করেন। পরে আদালত ৫ দিন করে দুই মামলায় ১০ দিন রিমান্ড নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন।

রিমান্ড শুনানিতে ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, আন্দোলন যখন চলছিল সব ব্যাংকার এবং ব্যবসায়ীরা একটি মিটিং করেছিল। সেই মিটিংয়ে উনি বক্তব্য রেখেছিলেন। সেই বক্তব্যে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের বিরোধিতা করেছিলেন এবং শেখ হাসিনা বলেছিলেন আপনি চালিয়ে যান আমরা আপনার পাশে আছি। তার এই বক্তব্য সব মিডিয়া ও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার হয়েছে।

তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনা সব জায়গায় তার নিজস্ব লোক নিয়োগ করেছিল। যেমন ফুটবলে নিয়োগ করেছিলেন সালাউদ্দিনকে এবং সাংবাদিকদের নিয়ন্ত্রণ করার জন্য নিয়োগ করেছিলেন শ্যামল দত্ত ও সুভাস সিংহ রায়ের মতো লোককে। ব্যবসায় এবং ব্যাংকারদের নিয়ন্ত্রণ করার জন্য যে লোককে হাসিনা নিয়োগ করেছিলেন সেই লোকটা নজরুল ইসলাম মজুমদার।

ফারুকী বলেন, ব্যাংক থেকে টাকা-পয়সা লুটপাট করে নিয়ে শেখ পরিবারকে সহযোগিতা করার জন্য সবকিছু করেছিলেন তিনি। এই মজুমদার তাদের সাথে বসে আন্দোলনের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন। সেই হিসেবে সে এই অপকর্মের সাথে জড়িত।

এই আন্দোলনে যারা গুলি চালিয়েছে এবং যাদের নির্দেশে চালানো হয়েছে তা থেকে তারা কোনোভাবেই বাঁচতে পারবে না।

আসামিপক্ষের আইনজীবীরা শুনানিতে বলেন, তিনি এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান। বাংলাদেশের অনেক বড় শিল্প উদ্যোক্তা। তার অধীনে ৫ লাখ লোক কাজ করে। সে এখন জেলে। কোম্পানি বন্ধ হয়ে গেলে এসব লোক বেকার হয়ে যাবে।

তার বিরুদ্ধে মামলায় কোনো অভিযোগ নেই। সে কোনো রাজনৈতিক দলের সদস্য না। সে একজন ব্যবসায়ী মানুষ। সরকার আসে, সরকার যায়। তারা ব্যবসায়ীরা তাদের সুবিধার জন্য যা করা দরকার করে। জেলহাজতে থাকাকালীন তার হার্টে রিং পরানো হয়েছে বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে।

তাকে একাধিক মামলায় আগে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। কোথাও কোনো কিছু পায়নি। তার শারীরিক যে অবস্থা রিমান্ডে নেওয়ার মতো কোনো সুযোগ নেই। রিমান্ড বাতিল করে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেওয়া হোক।

এরপর নজরুল ইসলাম নিজেই কিছু বলতে চান বলে আদালতকে বলেন। এরপর আদালত অনুমতি দেন।

তখন তিনি বলেন, ‘আমি হার্টের রোগী। অনেক কষ্ট হচ্ছে। ওই সময় শেখ হাসিনার পাশে না থাকলে, আমার বড় ভাই ৫ বছর এমপি ছিল। সেই বড় ভাইকে ক্রসফায়ারে মারা হয়েছে।

আমারও সে অবস্থা হতো। আমার রিমান্ড বাতিল করে আমাকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন। আমি শারীরিকভাবে অসুস্থ। এটা আমার একটা সাবমিশন।’ পরে আদালত তার রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

১৮ মার্চ ২০২৫
poll_title
ডিসেম্বরে মধ্যেই নির্বাচন হবে বলে জানিয়েছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। 

এই সময়ের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব বলে কি আপনি মনে করেন?

মোট ভোট: ৮২৭