সোমবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

সাজগোজ

যুগে যুগে ত্বক ও চুলের যত্নে হলুদের ব্যাবহারবিধি

দেখতে দেখতে চলে এল রবিবার,আর দৈনিক সকাল ও চলে এসেছে আপনাদের নিয়মিত রূপচর্চা বিষয়ক সাপ্তাহিক ঘরোয়া টিপস নিয়ে, আজকে জানাবো প্রাচীন রূপচর্চার উপাদান হলুদ যা যুগ যুগ সহস্র বছর ধরে বিশ্ব জুডে সৌন্দয্যের নিয়ামক হিসেবে হলুদের ব্যাবহার অপ্রতিদ্বন্দ্বী। খুশকি এবং ছত্রাকের বিরুদ্ধে লড়াই: হলুদে থাকা ব্যাকটেরিয়া এবং ছত্রাক প্রতিরোধক উপাদান মাথার ত্বককে সুস্থ রাখে, ফলে […]

নিউজ ডেস্ক

১২ জানুয়ারী ২০২৫, ১৮:৫১

দেখতে দেখতে চলে এল রবিবার,আর দৈনিক সকাল ও চলে এসেছে আপনাদের নিয়মিত রূপচর্চা বিষয়ক সাপ্তাহিক ঘরোয়া টিপস নিয়ে, আজকে জানাবো প্রাচীন রূপচর্চার উপাদান হলুদ যা যুগ যুগ সহস্র বছর ধরে বিশ্ব জুডে সৌন্দয্যের নিয়ামক হিসেবে হলুদের ব্যাবহার অপ্রতিদ্বন্দ্বী।

খুশকি এবং ছত্রাকের বিরুদ্ধে লড়াই: হলুদে থাকা ব্যাকটেরিয়া এবং ছত্রাক প্রতিরোধক উপাদান মাথার ত্বককে সুস্থ রাখে, ফলে চুলের বৃদ্ধি স্বাভাবিক থাকে।
সেবাম নিয়ন্ত্রণ: হলুদ সেবাম নিঃসরণের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে, যা চুল পড়া এবং ত্বকের অন্যান্য সমস্যা কমিয়ে দেয়।স্বাস্থ্যকর চুলের ঔজ্জ্বল্য: হলুদ চুলের ডগা ফেটে যাওয়ার মতো সমস্যা দূর করে, চুলকে মসৃণ এবং স্বাস্থ্যবান রাখে।

ফ্রি র‌্যাডিকেলস থেকে সুরক্ষা: হলুদের অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট চুলকে ফ্রি ফ্রি র‌্যাডিকেলস থেকে রক্ষা করে, যা অকালপক্কতা এবং চুলের ক্ষতি রোধ করে।খালি পেটে হলুদ পানি পানের উপকারিতা
কাঁচা হলুদ খাওয়া যায়, তবে অনেকের পক্ষে স্বাদ গ্রহণ করা কঠিন হতে পারে। তারা রোজ সকালে খালি পেটে হলুদ পানি পান করতে পারেন।হলুদ পানি তৈরির উপকরণ:১ গ্লাস গরম পানি
১ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো
১ চিমটি গোলমরিচ গুঁড়ো
১ টেবিল চামচ মধু
১ টেবিল চামচ লেবুর রস
প্রণালি: গরম পানিতে হলুদ গুলে নিন। তারপর গোলমরিচ গুঁড়ো, মধু এবং লেবুর রস দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। ঈষদোষ্ণ অবস্থায় পান করুন।কখন পান করবেন?
সকালবেলা খালি পেটে হলুদ পানি খাওয়াই সেরা, তবে সন্ধ্যাবেলাতেও খাওয়া যেতে পারে। নিয়মিত এই পানি পান চুলের জন্য উপকারী।সতর্কতা: প্রথমে অল্প পরিমাণে হলুদ পানি খেতে শুরু করুন। কারণ হলুদের অতিরিক্ত ব্যবহার হজমে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। পরবর্তীতে ধীরে ধীরে পরিমাণ বৃদ্ধি করতে পারেন।হলুদে দ্রুত চুল বাড়ে, খুশকিও দূরে থাকে।

 

সাজগোজ

জেনে নিন শীতে চুলের যত্ন

চলে এসেছে শীতকাল। এই ঋতুতে উৎসব অনুষ্ঠানের পালা চলতেই থাকে। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে ত্বক ও চুলের নানা ধরনের সমস্যা। শীতে বাতাসে আর্দ্রতা কমে যাওয়ার কারণে চুল নিষ্প্রাণ হয়ে পড়ে। এ সময় চুলের যত্ন নিতে হলে কিছু টিপস মেনে চলতে পারেন – ভালো করে আঁচড়ান চুল নিয়মিত আঁচড়ালে মাথার রক্ত সঞ্চালন বাড়ে। এতে […]

নিউজ ডেস্ক

১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ১১:৫৭

চলে এসেছে শীতকাল। এই ঋতুতে উৎসব অনুষ্ঠানের পালা চলতেই থাকে। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে ত্বক ও চুলের নানা ধরনের সমস্যা। শীতে বাতাসে আর্দ্রতা কমে যাওয়ার কারণে চুল নিষ্প্রাণ হয়ে পড়ে।

এ সময় চুলের যত্ন নিতে হলে কিছু টিপস মেনে চলতে পারেন –

ভালো করে আঁচড়ান

চুল নিয়মিত আঁচড়ালে মাথার রক্ত সঞ্চালন বাড়ে। এতে করে চুল ও চুলের গোড়া সুস্থ থাকে। তাছাড়া শীতকালে চুলের শুষ্কতা বেড়ে যাওয়ায় সহজেই চুলে জট বেঁধে যায়। চুল ভালো করে আঁচড়ালে এই সমস্যা থাকবে না।

তেল লাগান

এটি চুলের যত্নের একটি প্রাচীন পদ্ধতি। সপ্তাহে ২-১ বার চুলে তেল লাগানো ভালো। এতে চুল রুক্ষ হওয়া থেকে বাঁচে এবং উজ্জ্বল হয়। তবে তেল দিয়ে অনেকটা সময় রেখে দেওয়া উচিত নয়। এতে চুল সহজে ময়লা ও চিটচিটে হয়ে যায়। রাতে ঘুমানোর আগে গরম তেলের ম্যাসেজ করে সকালে বাইরে যাওয়ার আগে শ্যাম্পু করে নিতে হবে। গরম তেল ম্যাসাজ করে গরম পানিতে ভিজিয়ে রাখা তোয়াল মাথায় জড়িয়ে রাখতে পারেন। এতে চুলের গোড়া হবে শক্ত ও মজবুত।

ভিনেগার দিয়ে চুল ধুয়ে দিন

ভিনেগার চুলের রুক্ষতা দূর করতে খুবই কার্যকরী। এটি চুলে কন্ডিশনারের মতো কাজ করে। এক মগ পানির সঙ্গে ২ চামচ ভিনেগার মিশিয়ে রেখে শ্যাম্পু করার পর এই ভিনেগার মেশানো পানি মাথায় ঢালতে হবে। এতে করে চুল হবে মসৃণ ও উজ্জ্বল।
আগা ফাটা চুল কেটে ফেলুন।

শ্যাম্পুর বিকল্প

চুলে শ্যাম্পু করতে না চাইলে ১০-১৫টি গ্রিন-টি ব্যাগ পানিতে ফুটিয়ে সেই পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। চুল পরিষ্কারের পাশাপাশি ঝরঝরে থাকবে। সপ্তাহে এক দিন সোডা দিয়েও চুল পরিষ্কার করতে পারেন। চুল ভেজানোর পর সোডা মেখে পাঁচ-সাত মিনিট রেখে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে চুল নরম হয়, খুশকি দূর হয়। শীতকালে খুশকির সমস্যা বেড়ে যায়। তাই চুল ধোয়ার সময় এক মগ পানিতে পাতিলেবুর রস মিশিয়ে মাথায় দিতে পারেন। এতে খুশকির সমস্যা দূর হবে।
শীতকালে অনেকের চুলের আগা ফেটে যায়। চুলের আগা ফেটে যাওয়া অংশ কেটে ফেলে দেওয়াই ভালো। এতে চুলের বৃদ্ধি হয় দ্রুত।

চুলে গরম পানি দেবেন না

আবহাওয়া যাই হোক না কেন চুলে কখনোই গরম পানি ব্যবহার করা উচিত নয়। এতে চুলের গোড়া নরম হয় ও চুলের নানা ক্ষতি হয়। চুলে ঠান্ডা পানি ব্যবহার করতে হবে।

অ্যালোভেরা জেল ম্যাসাজ

চুলের যত্নে অ্যালোভেরার ভূমিকা জাদুকরী। শ্যাম্পু করার আগে অ্যালোভেরার জেল দিয়ে মাথায় ম্যাসাজ করে কিছুক্ষণ রাখলে চুলের রুক্ষভাব চলে গিয়ে ময়েশ্চারাইজড হয়।

রুক্ষতা দূর করতে মধু

মধু ঘরোয়া টোটকায় খুবই উপকারী একটি উপাদান। চুল নিঃষ্প্রাণ হয়ে গেলে চুলের গোড়ায় মধু দিয়ে, একটি তোয়াল গরম পানিতে ভিজিয়ে মাথায় বেঁধে কিছুক্ষণ রেখে চুল ধুয়ে নিলে চুলের রুক্ষতা কমে। চুল মসৃণ ও সুন্দর হয়।
চুলের যত্নে মাস্ক

চুলের যত্নে শীতকালে কিছু মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। চুল পড়া রোধে নারকেল তেল ও ক্যাস্টর অয়েলের সঙ্গে ভিটামিন সি ক্যাপসুল ও ডিমের কুসুম মিশিয়ে মাথায় লাগালে চুলের উপকার হয়। আবার চুলে মসৃণ ও চকচকে ভাব আনার জন্য মধু, টকদই ও ডিমের সাদা অংশ একসঙ্গে মিশিয়ে প্যাক বানিয়ে ব্যবহার করতে পারেন।

চুল ঢেকে রাখুন

শীতের রুক্ষ আবহাওয়া ও কুয়াশার হাত থেকে চুলকে বাঁচাতে চুল ঢেকে রাখাই ভালো। তাছাড়া শীতকালে বাতাসে ধুলোবালি বেশি থাকে। তাই বাইরে যাওয়ার সময় চুলে পাতলা কাপড় বা মাফলার জড়িয়ে বের হলে চুল ভালো থাকবে।