আশরাফুল ইসলাম (শেকৃবি প্রতিনিধি):
দশ বছর পূর্বে ২০১৪ সালে যাত্রা শুরু করে রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের(শেকৃবি) সিড টেকনোলজি ইন্সটিটিউট। তবে নেই কোন নির্দিষ্ট ল্যাবরেটরি রুম, গবেষণার যন্ত্রাংশ কিংবা নির্দিষ্ট কোন ক্লাসরুম। রয়েছে বাজেট স্বল্পতা ও অপর্যাপ্ত শিক্ষক, গবেষক, কর্মকর্তা, নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মচারী নিয়ে একরকম ধুকছে শেকৃবির সীড টেকনোলজি ইনস্টিটিউট।
সিড টেকনোলজি ইন্সটিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. নাজনিন সুলতানার সাংবাদিক দের সাক্ষাৎকারে বলেন, এই ইন্সটিটিউট মূলত স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের উদ্দেশ্যে সৃষ্টি হয়েছিলো। বর্তমানে দুই সেমিস্টারে মোট ২২ জন শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত এবং পিএচডির কোন শিক্ষার্থী নেই।
মূল কাজ হচ্ছে বই থেকে অর্জিত জ্ঞান মাঠে কিভাবে গবেষনার উদ্দেশ্য কাজ করা যায় এবিষয়ে সর্বোচ্চ চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। সাথে সিড বিষয়ক বিভিন্ন ধরনের সেমিনার, সিম্পোজিয়ামের আয়োজন করা। জরুরি ভাবে সিড টেষ্ট মেশিন ব্যবস্থা করতে পারলে শিক্ষার্থী এবং গবেষক সকলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থীরা জানায়, যেখানে ক্লাস করি পাশেই সিড সংরক্ষণ করে রাখতে হয়। মাইক্রোস্কপ, ফ্রিজ, পেট্রিডিশ সহ বিভিন্ন অতি গুরুত্বপূর্ণ সরঞ্জাম প্রয়োজন। যা আমাদের অর্জিত জ্ঞান মাঠে প্রয়োগ করতে পারি। বর্তমান শিক্ষার্থী বান্ধব প্রশাসনের কাছে অনুরোধ থাকবে যত দ্রুত সম্ভব গবেষনাগার এবং প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ সরবরাহের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ- উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. বেলাল হোসেন বলেন, বর্তমান প্রশাসন সর্বপ্রথম শিক্ষার্থীদের মূল কাজ পড়ালেখার উন্নয়নে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। যেহেতু এই ইন্সটিটিউটে গবেষনারুম এবং যন্ত্রাংশ গুরুত্বপূর্ণ তাই যত দ্রুত সম্ভব সমস্যা সমাধানের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল লতিফ বলেন, এই ইন্সটিটিউটে এগ্রোনেমি, হর্টিকালচার, জেনেটিক্স, প্যাথোলজি, এন্টোমলজি এই পাঁচ ডিপার্টমেন্টের শিক্ষক ক্লাস নেয়। বর্তমানে কৃষি অনুষদের স্নাতক এবং স্নাতকোত্তরের প্রত্যেক ব্যাচের ক্লাস চলমান। যেখানে দৈনিক ১২ টার বেশি ক্লাসরুম প্রয়োজন। সেখানে অনুষদে মাত্র ৭ টি ক্লাসরুম আছে।
তাও শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনে আমরা বর্তমানে সাময়িকভাবে কেন্দ্রীয় গবেষনাগার ভবনে ক্লাস নেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। বায়োটেকনোলজি ল্যাবে ক্লাসের ব্যবস্থা করেছি। ফলে কোন ব্যাচ যেন ক্লাস হয়না এমন কথা বলতে না পারে। এই ইন্সটিটিউটের জন্য গবেষণা রুম এবং ক্লাসরুম সহ যা যা প্রয়োজন গুরুত্বের উপর ভিত্তি করে সমাধান করার চেষ্টা চলমান থাকবে।