আক্কাছ আলী (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি :
মুন্সীগঞ্জ সদরের আধারা ইউনিয়নের জাজিরা কুঞ্জনগর গ্রামের স্বামীর বাড়ি থেকে সামিয়া আক্তার (২০) নামে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতের পরিবারের দাবি তাকে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই শ্বশুর বাড়ির লোকজন পালিয়ে গেছে।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত সামিয়া মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার চরকিশোরগঞ্জ মোল্লাপাড়া এলাকার আর্শেদ বেপারীর মেয়ে ও সদর উপজেলার জাজিরা কুঞ্জনগর গ্রামের জমির বেপারীর ছেলে কামাল বেপারীর স্ত্রী। তাদের ২ বছর আগে বিয়ে হয়।
নিহতের বড় বোন শাকিলা আক্তার বলেন, “টাকা চেয়ে না পেয়ে শ্বশুর-শাশুড়ি ও ভাসুর মিলে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লাশ বসতঘরে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
নিহত সামিয়ার মা শিরিনা বেগম জানান, আমি খবর পেয়ে গিয়ে দেখি আমার মেয়ে অন্ধকার ঘরে পড়ে আছে। আশেপাশে কেউ নাই। আমার মেয়েকে গলায় ফাঁস দিয়ে মেরে ফেলেছে তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন। আমার মেয়ের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। শ্বশুর বাড়ির লোকজন আমার মেয়েকে অত্যাচার করে মেরে ফেলেছে।
তিনি আরও জানান, সামিয়ার স্বামী মালয়েশিয়ায় থাকে। বিভিন্ন সময় যৌতুক দাবি করতো শ্বশুর বাড়ির লোকজন। এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
সদর থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত সজিব দে জানান, স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে স্বামীর বাড়ি থেকে মরদেহ উদ্ধার করেন। গৃহবধূর গলায় শক্ত রশির দাগের চিহ্ন পাওয়া গেছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।