বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

সারাদেশ

অবাধে গরু-ছাগল চলে সড়কে, দুর্ঘটনার শঙ্কা

নাজমুল হুদা : সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ উত্তরের গেটওয়ে বলে পরিচিত নীলফামারীর শহর সৈয়দপুর। রংপুর ও দিনাজপুর জেলার মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত শহরটি ঐতিহাসিক ও গুরুত্বপূর্ণ।সড়ক, রেল ও বিমানের যোগাযোগ থাকায় শহরে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন জেলা-শহরের লোকজনের আগমন হয়। সৈয়দপুরের রাস্তাঘাট উল্লেখযোগ্য উন্নত নয়, তবে ব্যবহৃত হয় প্রচুর। মানুষের চলাচলের সময় ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। কিন্তু লোকে চরম […]

নিউজ ডেস্ক

১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০১

নাজমুল হুদা : সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ

উত্তরের গেটওয়ে বলে পরিচিত নীলফামারীর শহর সৈয়দপুর। রংপুর ও দিনাজপুর জেলার মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত শহরটি ঐতিহাসিক ও গুরুত্বপূর্ণ।সড়ক, রেল ও বিমানের যোগাযোগ থাকায় শহরে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন জেলা-শহরের লোকজনের আগমন হয়। সৈয়দপুরের রাস্তাঘাট উল্লেখযোগ্য উন্নত নয়, তবে ব্যবহৃত হয় প্রচুর।

মানুষের চলাচলের সময় ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। কিন্তু লোকে চরম বিড়ম্বনায় পড়ে তখন, যখন শহরের রাস্তা ধরে অবাধে চলাচল করে গরু-ছাগলসহ গৃহপালিত নানা পশু।শহরের লোকজন বলছে, শহরে অবাধে গবাদিপশু চলাচল করে। কেউ কেউ রাস্তার ধারে গরু-ছাগল চরান।এতে যাতায়াতকারী মানুষ বিড়ম্বনায় পড়ে।

বিভিন্ন সময় ছোটখাটো কিছু দুর্ঘটনা ঘটেছে। বড় আকারের দুর্ঘটনাও সমূহ। ৩৪ বর্গকিলোমিটার আয়তনের সৈয়দপুর পৌরসভায় চলাচলের জন্য পাকা ও কাঁচা সড়ক রয়েছে। বর্তমানে পাকা সড়ক মেরামত ও সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছেন পৌরসভার প্রশাসক ও সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নূর-ই আলম সিদ্দিকী। শহরের ব্যস্ততম শহীদ ডা. জিকরুল হক সড়ক মেরামত কাজ শেষ করে রেলওয়ে কারখানার যাতায়াতের সড়কটি মেরামত করা হচ্ছে।

এরপর শহরের সবচেয়ে জরাজীর্ণ এলাকা তামান্না মোড় থেকে ওয়াপদা পর্যন্ত ৪ কিলোমিটার সড়কটি সংস্কারে হাত দেবেন পৌর প্রশাসক। সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত শহরের ব্যস্ত সড়কসহ প্রায় প্রতিটি সড়ক রেললাইনে অবাধে চরানো হয় হচ্ছে গবাদিপশু। ছেড়ে দেওয়া এসব গরু-ছাগল বিভিন্ন সময় বাসের নিচে পড়ে মারা যায়। কিছু কিছু মারা যায় ট্রেনে কাটা পড়ে।

রাস্তার ধারে গড়ে ওঠা হোটেল-রেস্টুরেন্টে খাবারের লোভে ঢুকে পড়ে পশুগুলো। ফলে এসব দোকানে আসা লোকজনও ঠিকমতো খাবার খেতে পারেন না। গবাদিপশুর গলায় দড়ি না থাকায় সেগুলোকে সহজে আটকানো যায় না। মানুষ শারীরিক ক্ষতির কথা চিন্তা করে পশুগুলোকে আটকাতেও পারে না।স্থানীয়রা বলছেন, এমনিতেই শহরের কুকুরের উপদ্রব। গবাদিপশুগুলোও এখন এমনভাবে রাস্তা দখল করে রাখে, পরিস্থিতি কঠিন হয়ে ওঠে।

মানুষের গরু-ছাগল ধরলেও বিপদ। নানা রকম অভিযোগ ওঠে। এসব নিয়ন্ত্রণে কেউ কোনো ভূমিকা পালন করে না। শহরের সাহেবপাড়ার রজব আলী জানান, স্বাধীনতার পর থেকে নিজ নিজ ঘরের গবাদিপশু একক বা দলগতভাবে ছেড়ে দেন মালিকরা। কখনও রাখাল থাকে, কখনো থাকে না।

বহু গবাদিপশু ট্রেনে কাটা পড়ে মারা গেছে। অনেক সময় বড় দুর্ঘটনা থেকে ট্রেন রক্ষা পেয়েছে। এখনো পরিস্থিতির কোনো উন্নয়ন ঘটেনি। যারা গবাদিপশু পালন করেন তাদের বুদ্ধির উদয় হয়নি। নিজেরা ক্ষতির শিকার হচ্ছে, মানুষও নানা বেকায়দায় পড়ছে- তারা বোঝে না। বাঙ্গালীপুর নিজপাড়ার বাসিন্দা আজহার আলী বলেন, তিনি রংপুর রোড হয়ে মোটরসাইকেলে বাসায় ফেরার সময় একটা গরু সামনে চলে আসে। দ্রুত ব্রেক ধরায় তিনি রাস্তায় পড়ে মারাত্মক আহত হন।

এ ব্যাপারে ইউএনও নূর-ই আলম সিদ্দিকী বলেন, বিষয়টি আমার নজরে এসেছে। মাইকিং করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য চিন্তা করা হচ্ছে। শহর যেহেতু আমাদের তাই এর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাসহ মানুষের সমস্যা হয় এরকম কাজ থেকে পৌরবাসীকে বিরত থাকার আহ্বান জানান তিনি।

সারাদেশ

সেই ৩ ডাকাতের মিলেছে পরিচয়

রাজধানীর দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার চুনকুটিয়া পাকাপুল এলাকার রূপালী ব্যাংকের জিঞ্জিরা শাখা থেকে আটক তিন ডাকাতের পরিচয় মিলেছে। বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে আত্মসমর্ণ করা ডাকাতরা হলেন- শারাফাত, শিফাত ও নিরব। কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহরাব আল হাসান এতথ্য নিশ্চিত করেছেন। রূপালী ব্যাংকের জিঞ্জিরা শাখা ভবনের নিচতলার বরিশাল ফার্মেসি মালিক ও প্রত্যক্ষদর্শী […]

নিউজ ডেস্ক

১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯:৪৪

রাজধানীর দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার চুনকুটিয়া পাকাপুল এলাকার রূপালী ব্যাংকের জিঞ্জিরা শাখা থেকে আটক তিন ডাকাতের পরিচয় মিলেছে।

বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে আত্মসমর্ণ করা ডাকাতরা হলেন- শারাফাত, শিফাত ও নিরব।

কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহরাব আল হাসান এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।

রূপালী ব্যাংকের জিঞ্জিরা শাখা ভবনের নিচতলার বরিশাল ফার্মেসি মালিক ও প্রত্যক্ষদর্শী মনোয়ার হোসেন বলেন, স্থানীয়দের চিল্লাচিল্লি শুনে এগিয়ে এসে দেখি ব্যাংকে ডাকাত ঢুকেছে। এসময় ব্যাংকের গেট ও জানালা বন্ধ করে দেওয়া হয়।

তিনি জানান, আটক তিন ডাকাতের বয়স ১৮ থেকে ২০ হবে। জানালা দিয়ে সবাইকে বন্দুক উঁচিয়ে হুমকি দেয়। সবার মুখে মাস্ক ছিলো। হাতে অস্ত্র ছিলো।

এর আগে, বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুর ২টার দিকে ডাকাতরা ব্যাংকে ঢোকে। এ সময় পাশের মসজিদের মাইক থেকে ডাকাতির খবর জানানো হলে স্থানীয় কয়েকশ লোক ব্যাংকের ওই শাখা ঘিরে ফেলেন ও বাইরে থেকে তালা ঝুলিয়ে দেন। পরে পুলিশ, র‍্যাব, ফায়ার সার্ভিস ও সেনাবাহিনীর টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে ব্যাংকটি ঘেরাও করে রাখে।

জানা গেছে, ব্যাংকে ডাকাত দলের হানা দেওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর উৎসুক জনতা সেখানে ভিড় করে। এ সময় নিরাপত্তার স্বার্থে ব্যাংক–সংলগ্ন মূল সড়কের উভয় পাশের যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। পাশাপাশি ডাকাত দলকে আত্মসমর্পণের জন্য পাশের মসজিদের মাইক থেকে ঘোষণা দেওয়া হয়। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চেষ্টায় সন্ধ্যার দিকে আত্মসমর্পণ করে তারা।

 

সারাদেশ

নাটোরে ট্রেনের হুক ভেঙে বগি বিচ্ছিন্ন

মনিরুল ইসলাম ডাবলু, (নাটোর প্রতিনিধি): নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার মাধনগর রেল স্টেশনে যাত্রাবিরতি অবস্থায় আকস্মিকভাবে ঢাকাগামী আন্তঃনগর কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস ট্রেনটি দুই বগির মাঝখানে হুকটি ভেঙ যায়। এতে বগি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। নতুন হুক লাগিয়ে ও সংযোগ স্থাপনের পর এক ঘন্ট বিলম্বে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয় এবং গন্তব্যের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে। বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুর ১২ […]

নিউজ ডেস্ক

১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯:৪৩

মনিরুল ইসলাম ডাবলু, (নাটোর প্রতিনিধি):
নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার মাধনগর রেল স্টেশনে যাত্রাবিরতি অবস্থায় আকস্মিকভাবে ঢাকাগামী আন্তঃনগর কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস ট্রেনটি দুই বগির মাঝখানে হুকটি ভেঙ যায়। এতে বগি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
নতুন হুক লাগিয়ে ও সংযোগ স্থাপনের পর এক ঘন্ট বিলম্বে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয় এবং গন্তব্যের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুর ১২ টা ১০ মিনিটে মাধনগর রেলওয়ে স্টেশনের ৩ নং লাইনে এ ঘটনা ঘটে।
অপর লাইনগুলো সচল থাকায় অন্যান্য ট্রেন চলাচলে কোন বিঘ্ন ঘটেনি।
মাধনগর রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মোঃ উজ্জ্বল আলী এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, দুপুর ১২ টা ১০ মিনিটে ঢাকাগামী কুড়িগ্রাম আন্তঃনগর এক্সপ্রেস ট্রেনটি মাধনগর রেলওয়ে স্টেশনের ৩ নং লাইনে প্রবেশ করে।
স্টেশন বিরতি শেষে ছেড়ে যাওয়ার সময় ট্রেনের (ঝ) বগি ও (ঞ) বগির মাঝখানের সংযোগ হুক ভেঙে বগি দুটি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরে মেরামত শেষে দুপুর সোয়া ১ টার দিকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। তবে এতে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

অন্যান্য

ডিসেম্বরে চাকরিজীবীরা পাচ্ছেন টানা ৪ দিন ছুটি

ডিসেম্বর মাসে টানা ছুটি পেতে যাচ্ছেন সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবীরা। সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে সরকারি ছুটি মিলিয়ে টানা ছুটি পেতে পারেন তারা। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে সাধারণ ছুটির মধ্যে রয়েছে বিজয় দিবস ও বড়দিনের ছুটি। ১৬ ডিসেম্বর সোমবার। রবিবার একদিন ছুটি ম্যানেজ করতে পারলেই শুক্র ও শনিবার মিলিয়ে টানা ৪ দিনের ছুটি নিতে পারবেন সরকারি চাকরিজীবীরা। এছাড়া ২৫ ডিসেম্বর […]

নিউজ ডেস্ক

৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৬:৪৮

ডিসেম্বর মাসে টানা ছুটি পেতে যাচ্ছেন সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবীরা। সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে সরকারি ছুটি মিলিয়ে টানা ছুটি পেতে পারেন তারা। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে সাধারণ ছুটির মধ্যে রয়েছে বিজয় দিবস ও বড়দিনের ছুটি। ১৬ ডিসেম্বর সোমবার।

রবিবার একদিন ছুটি ম্যানেজ করতে পারলেই শুক্র ও শনিবার মিলিয়ে টানা ৪ দিনের ছুটি নিতে পারবেন সরকারি চাকরিজীবীরা। এছাড়া ২৫ ডিসেম্বর বুধবার। তাই বৃহস্পতিবার একদিন ছুটি ম্যানেজ করতে পারলেই টানা চারদিন ছুটি পেতে পারবেন সরকারি চাকরিজীবীরা।

সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, দেশের সব সরকারি ও আধা-সরকারি অফিস এবং সংবিধিবদ্ধ স্বায়ত্তশাসিত ও আধা-স্বায়ত্তশাসিত সংস্থায় এ ‍দুদিন ছুটি পালন করা হবে।

তবে যেসব অফিসের সময়সূচি ও ছুটি তাদের নিজস্ব আইন-কানুন দিয়ে নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে বা যেসব অফিস, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের চাকরি সরকার থেকে অত্যাবশ্যক হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট অফিস, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান নিজস্ব আইন-কানুন অনুযায়ী জনস্বার্থ বিবেচনা করে এ ছুটি ষোষণা করবে।

এদিকে ২৪ ডিসেম্বর ও ২৬ ডিসেম্বর যিশু খ্রিস্টের জন্মোৎসব (বড়দিনের আগে ও পরের দিন) হচ্ছে খ্রিষ্টান পর্বের ঐচ্ছিক ছুটি। ছুটির প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, একজন কর্মচারীকে তার নিজ ধর্ম অনুযায়ী বছরে অনধিক মোট তিন দিনের ঐচ্ছিক ছুটি ভোগ করার অনুমতি দেয়া যেতে পারে।

প্রত্যেক কর্মচারীকে বছরের শুরুতে নিজ ধর্ম অনুযায়ী নির্ধারিত তিন দিনের ঐচ্ছিক ছুটি ভোগ করার জন্য উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের পূর্ব অনুমোদন নিতে হয়।কর্মব্যস্ত জীবনে সাপ্তাহিক ছুটিতে অনেকেরই ব্যক্তিগত নানান জরুরি কাজ থাকে।

তবে সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে সরকারি ছুটি পেলে কোথাও টুরে যাওয়া যায় বা কোনো পরিকল্পনা করা যায়। তাই এমন সুযোগের অপেক্ষায় থাকেন বহু মানুষ।