শেখ নজরুল ইসলাম, তালা উপজেলা প্রতিনিধি)
সাংবাদিকদের আন্দোলনে জামিন পেয়েছেন কালের কণ্ঠের সাংবাদিক রোকনুজ্জামান টিপু। বৃহস্পতিবার দুপুরে সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে আপিল করেন টিপুর আইনজীবী এড. খায়রুল বদিউজ্জামান।
সাংবাদিক নেতাদের উপস্থিতিতে শুনানি শেষে জামিন মঞ্জুর করা হয়। এর আগে সাংবাদিক রোকনুজ্জামান টিপুর মুক্তির দাবিতে অবস্থান কর্মসুচি পালিত হয়। বৃহষ্পতিবার সকাল ১১ টায়া সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এ কর্মসুচি পালন করা হয়।
কর্মসুচি চলাকালে বক্তব্য দেন প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক কল্যাণ ব্যানার্জী, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি এড. আবুল কালাম আজাদ, মফঃস্বল সাংবাদিক ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান আহম্মেদ আবু জাফর, দেশ টিভির শরীফুল্লাহ কায়সার সুমন,
দীপ্ত টিভির রঘুনাথ খাঁ, আজকের পত্রিকার আবুল কাসেম. কালেরকণ্ঠের সাতক্ষীরা প্রতিনিধি মোশাররফ হোসেন, ঢাকা প্রতিদিনের স্টাফ রিপোর্টার ইসরাফিল হোসেন,
মানববজমিনের এসএম বিপ্লব হোসেন, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের তালা উপজেলা সভাপতি এম এ ফয়সাল, তালা প্রেসক্লাবের সাংবাদিক সেলিম হায়দার প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, তালা উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সে ভবন তৈরীর কাজে অনিয়ম দুর্নীতির খবর পেয়ে মঙ্গলবার তথ্য সংগ্রহ করতে যান সাংবাদিক টিপু। তথ্য চাওয়ায় দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা উপজেলা উপসহকারি প্রোকৌশলী মামুন হোসেন তাকে ছাতা দিয়ে মারপিট করেন।
একপর্যায়ে টিপু আত্মরক্ষার্থে হামলাকারীকে ধাক্কা দেন। পরে টিপু ও মামুনের মধ্যে হাতাহাতি হয়। টিপু বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মোঃ রাসেলকে অবহিত করার পর আধ ঘণ্টা পর ঘটনাস্থলে এসে প্রকৌশলী মামুন
ও ঠিকাদারের নিয়োজিত লোকজনের মুখে একতরফা ঘটনা শুনে নিয়ম বহির্ভুতভাবে সাংবাদিক রোকনুজ্জামানকে ১০ দিনের কারাদ- ও ২০০ টাকা জরিমানা করেন। বক্তারা অবিলম্বে টিপুর মুক্তির দাবি জানান।
একইসাথে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মোঃ রাসেল, উপসহকারি প্রকৌশলী মামুন হোসেনসহ হামলা ও দূর্ণীতির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়।
পরে সাংবাদিকরা সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বিষ্ণুপদ পালের সঙ্গে দেখা করেন। বিকাল ৪টায় কারা মুক্তির
সাতক্ষীরা জেল জেলগেটে সাংবাদিক রোকনুজ্জামান টিপু কে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নেন সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ।

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?