খুলনা প্রতিনিধি
খুলনার কয়রা উপজেলা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মূখ্য সংগঠক খলিলুর রহমানের ওপর হামলা ও মারধরের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল ) বেলা ১১ টায় কয়রা প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে এ ঘটনায় সম্পৃক্তদের গ্রেপ্তার পূর্বক শাস্তির দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে হামলায় আহত খলিলুর রহমান বলেন, গত ৫ এপ্রিল রাতে আমার বাড়ি সংলগ্ন কয়রার জোড়সিং লঞ্চঘাট হতে লঞ্চে উঠে খুলনা জেলা শহরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হই। লঞ্চ পরবর্তী একটি ঘাটে ভিড়লে হঠাৎ করে ১৪ /১৫ জন লোক লঞ্চে উঠে অতর্কিত হামলা করে। আমাকে মারপিট করতে করতে লঞ্চ থেকে নামায়। এরপর আমাকে অস্ত্রের মুখে একটি মোটরসাইকেল উঠিয়ে নির্জন স্থানে নিয়ে যায়।
আমাকে সেখানে আটকে রেখে এক লক্ষ টাকা মুক্তিপন দাবি করে। তখন আমি আমার পরিবারের কাছে মুঠোফোনে এক লক্ষ টাকা চেয়ে তাদের অবস্থান সম্পর্কে জানাই। অবস্থান জানানোর ফলে তারা ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে আমার কাছে থাকা নগদ ত্রিশ হাজার টাকা নিয়ে আমাকে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে যায়।
তিনি আরও বলেন, বিষয়টি জানতে পেরে আমার পরিবারের লোকজন আমাকে উদ্ধার করে। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কয়রা থানায় মামলা করি। আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও কাউকে এখনও গ্রেপ্তার করা হয়নি। তাদের দ্রুতই গ্রেপ্তারের দাবি করছি।
সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কয়রা উপজেলা শাখার উপদেষ্টা মোশাররফ হোসেন রাতুলসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এ ঘটনায় কয়রা থানায় ৬ এপ্রিল মামলা করেন খলিলুর রহমান।মামলার আসামিরা হলো উপজেলার দক্ষিণ বেদকাশির হলুদবুনিয়া গ্রামের তরিকূল ইসলাম বাপ্পী(২৫), আব্দুল্লাহ আল মামুন (২৬), সুজন মোড়ল (২৫), শরিফে ওরফে ভোতা (২৮),বাবলু মোড়ল ও কামরুল (৩৪) এবং
পদ্মপুকুরের আলিম শেখ (৩২), আবু সাইদ শেখ (৩০), তারিকুল (২৫) সহ অজ্ঞাতনামা ৫/৬ জন। তবে এখনও পর্যন্ত কোন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মোঃ নূরুল ইসলাম খান বলেন, দুই দিন আগে মামলাটি রেকর্ড হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।

এই সময়ের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব বলে কি আপনি মনে করেন?