সাব্বির হোসেন, লালমনিরহাট
লালমনিরহাট সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ নুরুন্নবীর নেতৃত্বে এক অভিযানের মাধ্যমে “ইকোনোমিকস প্রাইভেট হোম” কোচিং সেন্টারের শিক্ষক আঃ রাজ্জাককে ধর্ষণ ও ব্ল্যাকমেইলের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে ২৭ মার্চ বৃহস্পতিবার রাত ২টার দিকে থানার পুলিশ দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে তাকে আটক করে ।
এক ছাত্রীর অভিভাবকের অভিযোগ অনুযায়ী, রাজ্জাক কোচিং সেন্টারের আড়ালে শিক্ষার্থীদের সাথে অনৈতিক কার্যকলাপে জড়িত হতেন এবং গোপনে ভিডিও ধারণ করে পরবর্তীতে তা ব্যবহার করে টাকা আদায় করতেন। পুলিশের ভাষ্যমতে, গ্রেপ্তারকৃত আসামী তার পরিবারের সামনে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন যে তিনি একাধিক ছাত্রীকে ধর্ষণ করেছেন এবং ভিডিও ফুটেজ ব্যবহার করে তাদেরকে হুমকি দিতেন ।
অভিযুক্তের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ, এবং অন্যান্য ডিভাইস জব্দ করা হয়েছে, যেখানে ধর্ষণের ভিডিও ও ব্ল্যাকমেইল সংক্রান্ত প্রমাণ পাওয়া গেছে। থানার ওসি নুরুন্নবী জানান, মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে এবং চার্জশিট দাখিলের প্রস্তুতি চলছে। তিনি আরও উল্লেখ করেন, “আসামীর ক্রিমিনাল হিস্টরি ও প্রমাণের ভিত্তিতে দ্রুত বিচারিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে।”
রাজ্জাক জেলা পরিষদ সংলগ্ন কোচিং সেন্টারকে অপব্যবহার করে মেয়েদের আস্থা অর্জন করতেন বলে অভিযোগ। স্থানীয়রা জানান, তিনি “শিক্ষক” পরিচয়ে অভিভাবকদের বিশ্বাস ভাঙতেন এবং একাকী সেশন বা বাড়িতে পড়ানোর অজুহাতে শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করতেন ।
ওসি নুরুন্নবী গত কয়েক মাসে শিশু ও নারী নির্যাতনবিরোধী অভিযানে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন। সম্প্রতি তার একটি ভাইরাল বক্তব্যে তিনি বলেছিলেন, “জনগণের সাহায্য ছাড়া অপরাধ দমন সম্ভব নয়” । এই ঘটনায় তার দ্রুত পদক্ষেপ এলাকায় প্রশংসিত হয়েছে।
লালমনিরহাটে গত মাসে তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে মেহের আলী নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল । নতুন এই ঘটনা শিশু ও নারী নির্যাতনের ক্রমবর্ধমান প্রবণতা এবং কোচিং সেন্টারগুলোর তদারকির অভাবের দিকে ইঙ্গিত করছে।
পুলিশ জানায়, আসামীর বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে এবং তদন্তের অতিরিক্ত তথ্য শিগগিরই প্রকাশ করা হবে ।

এই সময়ের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব বলে কি আপনি মনে করেন?