সাব্বির হোসেন, লালমনিরহাট প্রতিনিধি:
লালমনিরহাট সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর ইউনিয়নের হাড়িভাঙ্গা গ্রামে এক পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন উকিল মিয়া (৫১) ও ধীরেন চন্দ্র বর্মণ (৫২)। স্থানীয়রা এ দুজনকে পাখি শিকারী হিসেবে চেনেন।
লালমনিরহাট সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ নূরনবী আজ ২০ মার্চ রাত ১১.৩০ টায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ঘটনাটি বেলা সাড়ে ১১টার দিকে হাড়িভাঙ্গা গ্রামের এক ভুট্টা ক্ষেতে ঘটে। জানা গেছে, মেয়েটিকে (১২) পাখির বাসা দেখানোর প্রলোভন দেখিয়ে ওই ক্ষেতে নিয়ে যায় উকিল ও ধীরেন। সেখানে তারা ধর্ষণের চেষ্টা চালালে মেয়েটি জোর করে চিৎকার শুরু করে।
এতে আতঙ্কিত হয়ে তারা স্থান ত্যাগ করে পালায়। মেয়েটির চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে এলে তারা তাকে উদ্ধার করে। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় রাত ১০টার দিকে অভিযুক্ত দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ওসি নূরনবী জানান, মেয়েটিকে তার মায়ের হেফাজতে রাখা হয়েছে। আগামীকাল আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী তার মেডিকেল পরীক্ষা করা হবে, যা মামলার গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষ্য হিসেবে বিবেচিত হবে। প্রাথমিকভাবে মেয়েটি শারীরিকভাবে সুস্থ থাকলেও মানসিক আঘাত নিয়ে বাড়িতে রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উকিল ও ধীরেন দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় পাখি শিকার ও বিক্রির কাজ করে আসছিল।
তাদের অসৎ কর্মকাণ্ডের বিষয়ে পূর্বে কোনো অভিযোগ না উঠলেও এ ঘটনায় সম্প্রদায়ের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়েছে। অনেকেই শিশুদের নিরাপত্তা জোরদারে প্রশাসনের কঠোর ভূমিকা কামনা করেছেন।
পুলিশ জানায়, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলাটি রুজি হয়েছে। অভিযুক্তদের আগামীকাল আদালতে উপস্থাপনের পাশাপাশি মেডিকেল রিপোর্টসহ চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।
ওসি নূরনবী বলেন, “আমরা শূন্য সহিষ্ণুতা নীতি মেনে অপরাধীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনব। শিশুদের সুরক্ষায় সমাজের সকল স্তরের সচেতনতা জরুরি।”
এ ঘটনায় এলাকাবাসী তীব্র নিন্দা জানিয়ে অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি তুলেছেন। প্রশাসনের দ্রুত পদক্ষেপ ও গ্রেপ্তারকে তারা স্বাগত জানালেও শিশু নির্যাতন রোধে দীর্ঘমেয়াদি সামাজিক উদ্যোগের পরামর্শ দিয়েছেন।

এই সময়ের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব বলে কি আপনি মনে করেন?