সাব্বির হোসেন, লালমনিরহাট প্রতিনিধি
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী ইউনিয়নের দোয়ানী এলাকায় ঠিকাদারী কাজের সিমেন্ট আনলোডিংকে কেন্দ্র করে বিএনপির দু’টি গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটেছে। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে এ ঘটনায় অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন, যার মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকি আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব সোহেল তালুকদারকে প্রধান আসামি করে ২২ জনের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
তিস্তা ব্যারেজের কাছে বিদ্যুতের অত্যাধুনিক খুঁটি নির্মাণের কাজে সিমেন্ট সরবরাহ নিয়ে গড্ডিমারী ইউনিয়ন বিএনপির যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যদের সঙ্গে সানিয়াজান ইউনিয়নের স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যদের কয়েকদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ট্রাক থেকে সিমেন্ট আনলোড করার সময় উভয় পক্ষের মধ্যে বাধাঁপড়ে সংঘর্ষ বাঁধে। আহত শ্রমিক রোকোনুজ্জমান বাবুল জানান, “আমি গাড়ি আনলোড করতে গেলে কয়েক যুবক বাঁধা দেয়। তখন উভয়পক্ষে মারামারি শুরু হয়।”
গড্ডিমারী ইউনিয়নের বিএনপি নেতা আব্দুল মালেক অভিযোগ করেন, “ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে আমি সিমেন্ট সরবরাহ করি। সোহেল তালুকদার তার লোকজন নিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালায়।” অন্যদিকে, সোহেল তালুকদার দাবি করেন, “আমি সংঘর্ষ নিরসনের চেষ্টা করছিলাম, কিন্তু এখন আমাকে ষড়যন্ত্রের শিকার বানানো হচ্ছে। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া উচিত।” গড্ডিমারী ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব আইনুল হক আরও অভিযোগ করেন, “ঠিকাদারি কাজে ভাগ না পেয়ে সোহেল একক আধিপত্য বিস্তার করতে চায়।”
হাতীবান্ধা থানার অফিসার ইনচার্জ মাহমুদুন নবী জানান, “ঘটনাস্থলে পুলিশ ঘটনার রাতেই তৎপরতা চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। অভিযোগ পাওয়া গেছে, তদন্ত শেষে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
তিস্তা ব্যারেজ সংলগ্ন বিদ্যুৎ খুঁটি নির্মাণ প্রকল্পে দু’টি ইউনিয়নের বিএনপি নেতৃত্বাধীন গ্রুপের মধ্যে ঠিকাদারি কাজ ও সরবরাহ নিয়ে দীর্ঘদিনের প্রতিযোগিতা চলছিল। স্থানীয়রা জানান, সংঘর্ষের মূল কারণ অর্থনৈতিক স্বার্থ ও রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার।
আহতদের চিকিৎসা ও পুলিশি তদন্তের পাশাপাশি এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। স্থানীয় নেতারা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

এই সময়ের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব বলে কি আপনি মনে করেন?