মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশুটির মৃত্যুর পর স্থানীয়দের ক্ষোভ চরমে পৌঁছায়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সোয়া সাতটার দিকে এলাকাবাসী অভিযুক্তদের বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়ে পরে তাতে আগুন ধরিয়ে দেয়।
স্থানীয়রা জানান, জানাজার নামাজ শেষ হওয়ার পরপরই ক্ষুব্ধ জনতা আসামিদের বাড়িতে হামলা চালায় এবং আগুন ধরিয়ে দেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কঠোর অবস্থান নিতে হয়।
এর আগে সন্ধ্যা ছয়টার দিকে সেনাবাহিনীর একটি হেলিকপ্টারে শিশুটির মরদেহ মাগুরা স্টেডিয়ামে পৌঁছায়। পরে শহরের নোমানী ময়দানে জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। জানাজার পরই স্থানীয়রা বিচারের দাবিতে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে এবং অভিযুক্তদের বাড়িতে হামলা চালায়।
মাগুরা সদর থানার ওসি আইয়ুব আলী জানান, শিশুটির মরদেহ পৌঁছানোর পর থেকেই স্থানীয়রা সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করে। তারা অভিযুক্তদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে স্লোগান দেয়। তিনি বলেন, “পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশকে কঠোর পরিশ্রম করতে হয়েছে।”
এর আগে, দুপুর একটায় রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটি মারা যায়। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, উন্নত চিকিৎসার সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা সত্ত্বেও শিশুটিকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। সকালে শিশুটির তিনবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়। প্রথম দুইবার স্থিতিশীল করা গেলেও তৃতীয়বার আর হৃৎস্পন্দন ফিরে আসেনি।
শিশুটির মৃত্যুর ঘটনায় সারাদেশে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠন দ্রুত বিচারের দাবি জানিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে, এমন নির্মম ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হলে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা চরম হুমকির মুখে পড়বে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে এবং অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেপ্তারে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।