আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে ‘আমি ইউনিয়ন ছাত্রদলের প্রেসিডেন্ট’ বলা সেই নেতা শাওন কাবী রিজা। বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দুপুরে দুটি মামলায় তার জামিন মঞ্জুর করেন চাঁদপুরের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম ফারহান সাদিক।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চাঁদপুর আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জসিম মেহেদী। এর আগে মঙ্গলবার (১১ মার্চ) রাতে অভিযোগের ভিক্তিতে তাকে আটক করে ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ। পর দিন বুধবার (১২ মার্চ) আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
শাওন কাবী চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের ১৬নং রূপসা (দক্ষিণ) ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি। তার বিরুদ্ধে কন্টেন্ট ক্রিয়েটর নুরে আলমকে মারধর ও পুলিশের কাজে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়।
এদিকে শাওন কাবীকে আটক, নির্যাতন এবং মামলা দেওয়ার প্রতিবাদে বুধবার সারাদিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরব ছিলেন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। এক পর্যায়ে পুলিশের বিরুদ্ধে শাওন কাবীকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর প্রতিবাদে এবং তার দ্রুত মুক্তি চেয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে বিক্ষোভের ডাক দেয় তারা।
যদিও শাওনের দুটি মামলা জামিন হওয়ায় এবং জেলা বিএনপির নেতাদের নির্দেশে বৃহস্পতিবার দুপুরে তা স্থগিত করা হয়।
শাওনের জামিনের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রথম যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মইনুল ইসলাম জিসান জানান, সত্য ও ন্যায়ের জয় হয়েছে। দেশের মানুষের ভালোবাসা নিয়ে শহীদ জিয়াউর রহমানের সৈনিক, দেশনেত্রী খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের কর্মীরা এই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
অন্যদিকে জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান সোহাগ শাওন কাবী রিজার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের জন্য কেন্দ্রীয় নেতাদের প্রতি অনুরোধ জানান। এদিকে আদালত থেকে জামিন পেয়ে ছাত্রদল নেতা শাওন কাবী বলেন, ‘আমি কোনো অন্যায় করিনি।
সম্পূর্ণ নির্দোষ। পুলিশ অন্যায়ভাবে আমার ওপর অভিযোগ চাপিয়েছে। এতে আদালত আমার ওপর সন্তুষ্ট হয়ে ন্যায়বিচার করেছেন।
উল্লেখ্য, শাওন কাবী রিজাকে রাতেই থানা পুলিশ আটক করে থানায় নিয়ে যায়। প্রাইভেট কার গতিরোধ করে মারধর ও পুলিশের কাজে বাধাদানের দুটি বিষয়ে মামলা দায়ের করা হয়। পরে ওই দুটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাকে বুধবার বিকেলে চাঁদপুরের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।