নাজমুল হক চৌধুরী, নরসিংদী প্রতিনিধি:
গত বৃহস্পতিবার রাতে তারাবিহর নামাজ পড়ে অটোরিকশা নিয়ে বেরিয়ে নিখোঁজ হন সোহেল রানা। আজ আজ বুধবার (১২ মার্চ) দুপুর সাড়ে ১২টা দিকে শিবপুর উপজেলার আইয়ুবপুর ইউনিয়নের ভুরভুড়িয়া গ্রামের একটি ডোবা থেকে তার অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত ওই অটোরিকশাচালক সোহেল রানা (২৫) নরসিংদী শহরের সাটিরপাড়ার কুমিল্লা কলোনি এলাকার মো. ছেদু মিয়ার ছেলে
নিহতের স্বজন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিখোঁজের পর দিন শুক্রবার সকালে শিবপুর উপজেলার ভুরভুড়িয়া গ্রামে আবদুল মান্নান ভূঁইয়া কলেজ-সংলগ্ন সড়কে তাঁর অটোরিকশাটি পড়ে থাকতে দেখা যায়। স্থানীয় লোকজনকে কাগজপত্র দেখিয়ে ওই অটোরিকশা স্বজনেরা বাড়ি নিয়ে গেলেও সোহেলের কোনো সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না। এরপর থেকে পরিবারের লোকজন তাকে ৬ দিন যাবত তাকেখোঁজে চলছে।
আজ সকালে ওই কলেজের পেছনের একটি ডোবার কচুরিপানায় লাশ ভেসে থাকতে দেখেন স্থানীয় লোকজন। এ ঘটনা সোহেলের পরিবারের সদস্যদের জানানো হলে তাঁরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ শনাক্ত করেন। খবর পেয়ে দুপুর ১২টার দিকে শিবপুর থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।
সোহেলের বড় ভাই সেলিম মিয়া বলেন, ‘অটোরিকশাটি পাওয়া গেলেও সোহেলকে পাওয়া যাচ্ছিল না। আমরা সবাই মিলে তাকে অনেক খুঁজেছি। নিখোঁজের পর দিন শুক্রবার নরসিংদী মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করি। থানায় গেলে পুলিশ বলত, আপনারাও খুঁজতে থাকেন, আমরাও খুঁজছি। অটোরিকশা পাওয়ার পর প্রতিদিনই একবার করে সেখানে গিয়েছি। আজ ওই এলাকাতেই একটি ডোবার কচুরিপানায় ছোট ভাইয়ের লাশ পাওয়া গেল।’
শিবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ জানান, মরদেহের তথ্য পাওয়ার সাথে সাথে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে । হতে পূর্বশত্রুতার জেরে সোহেলকে হত্যার পর লাশ কচুরিপানার নিচে লুকিয়ে রাখা হয় । তাঁর শরীরে আর কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তদন্ত চলছে বিস্তারিত পরে জানা যাবে।