নূরুল আলম কামাল, নেত্রকোনা :
নেত্রকোনার হাওরাঞ্চল খালিয়াজুরীতে পোলো বাঁশকারি সাথে জগন্নাথপুর ও রসুলপুর গ্রামবাসীর সংঘর্ষে নিখোঁজ হওয়া ৫ জনের মধ্যে তিন জনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।
আজ সোমবার (১০ মার্চ) দুপুরে জেলার খালিয়াজুরী উপজেলার ধনু নদীর পৃথক স্থান নাওটানা ও রসুলপুর ঘাট এলাকা থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এর আগে গত ৮ মার্চ হাওরের বিভিন্ন জলমহালে কয়েক হাজার পলো বাইছকারীরা মাছ ধরতে গেলে ওই দুই গ্রামবাসীর সাথে তারা সংঘর্ষে জড়ায়।
নিহতরা হলেন- জেলার আটপাড়া উপজেলার শ্বরমুশিয়া ইউনিয়নের রূপচন্দ্রপুর গ্রামের শহীদ মিয়া (৫০), কেন্দুয়া উপজেলার রোয়াইলবাড়ি ইউনিয়নের রোয়াইলবাড়ি গ্রামের হৃদয় (৩০) ও মদন উপজেলার ইউনিয়নের বাগযান গ্রামের রোকন মিয
়া (৫০)।সংঘর্ষের সময় উভয়পক্ষের পাঁচ শতাধিক আহত হন। আত্ম রক্ষার্থে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে পাঁচজন নিখোঁজ হয়। এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রেণে নিতে ৫১ জনকে খালিয়াজুরী থানার পুলিশ আটক করে। পরের দিন ৯ মার্চ আটকদের স্থানীয় নেতাকর্মীদের জিম্মায় ছেড়ে দেয়।
এরপর আজ সোমবার পুনরায় মদন, কেন্দুয়া ও আটপাড়ার লোকজন থেকে সংঘর্ষে জড়াতে গেলে প্রশাসন ও যৌথবাহিনী নিয়ন্ত্রণ করে।
খালিয়াজুরী উপজেলার লেপসিয়া ফাঁড়ির নৌ পুলিশের আইসি জাহাঙ্গীর হোসেন খান মদন উপজেলার ত্রিয়শী ইউনিয়নের বাগজান গ্রামের রোকনের লাশটি রসুলপুরঘাট থেকে উদ্ধার করেন। কয়জন নিখোঁজ ছিলো এটা বলা যাচ্ছে না।
ময়মনসিংহ ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলের লিডার নুরুল ইসলাম জানান, ধনু নদীর নাওটানা ঘাট থেকে দুজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আরেকজনের লাশ একই রসুলপুর ঘাটের পাশ থেকে পুলিশ উদ্ধার করে।
নেত্রকোনা পুলিশ সুপার মির্জা সায়েম মাহমুদ জানান, পলো বাইছকারী ও গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় নিখোঁজের তিন জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে। আইনগত পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এই সময়ের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব বলে কি আপনি মনে করেন?