নেত্রকোনা প্রতিনিধি :
নেত্রকোনার খালিয়াজুরীতে পলো বাইছকারিদের সাথে জগন্নাথপুর ও রসুলপুর গ্রামের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা মীমাংসা হয়েছে। তবে নিখোঁজ দুজনের ব্যাপারে খোঁজ পাওয়ার পর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
রবিবার খালিয়াজুরী ও মদন উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে খালিয়াজুরী উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন খালিয়াজুরী উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুর রউফ স্বাধীন।
আলোচনা সভার খালিয়াজুরী উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান কেষ্ঠুর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন মদন উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি নুরুল আলম তালুকদার,
বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য বিষয়ে বক্তব্য রাখেন মদন উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম আকন্দ।
এতে আরও বক্তব্য রাখেন, খালিয়াজুরী উপজেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক মাসুদ রানা, মদন উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আব্দুল হালিম বুলু, সাবেক উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবু তাহের আজাদ, সাবেক যুবদল সভাপতি ও উপজেলা বিএনপি সাবেক যুগ্ন আহবায়ক সাইফুদ্দিন সেকুল,
সাবেক যুগ্ন আহবায়ক কামরুল ইসলাম আপনার ফতেপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সামিউল হাজার শফি, উপজেলা যুবদলের সভাপতি গোলাম রসুল রুবেল, উপজেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক শামীম হাসান ও খালিয়াজুরী উপজেলা বিএনপির ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ প্রমুখ।
পলো বাইছকারী ও গ্রামবাসী সংঘর্ষে ব্যাপারে উপস্থিত সকলের বক্তব্যে সংঘর্ষে ঘটনার মীমাংসার বিষয়ে সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত হয়। পরে সুনির্দিষ্ট কিছু বিষয়ে আলোচনা করে দুই উপজেলা নেতৃবৃন্দ চূড়ান্ত ঘোষণা করেন।
সংঘর্ষের ঘটনায় কোন মামলা মোকাদ্দমা হবে না। এতে যারা আহত হয়েছে তারা নিজেরাই নিজেদের চিকিৎসার ব্যয় বহন করবে। তবে দুটি বিষয়ের সিদ্ধান্ত তাৎক্ষণিক নেওয়া হয়নি।
ভাঙচুর অগ্নিকাণ্ডের ক্ষয়ক্ষতি ও নিখোঁজ দু’জনের বিষয়ে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
নিখোঁজ ব্যক্তরা হলেন- মদন উপজেলা কাইটাইল ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের ইয়াসিন ও তিয়শ্রী ইউনিয়নের বাগজান গ্রামের রুকন মিয়া।
খালিয়াজুরী উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি আব্দুর রউফ স্বাধীন এর নম্বরে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেওষ ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
খালিয়াজুরী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মকবুল হোসেন জানান, পলো বাইছকারী ও দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের সময় বিভিন্ন লোকজন বিভিন্ন জায়গায় আটকে পড়েছিল।
আটকে পড়াদের যাতে কোন ক্ষয়ক্ষতি না হয় আমরা তাদের থানা হেফাজতে নিয়ে আসি। আজ পরিবারের লোকজনের জিম্মায় তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে উভয় পক্ষের কারো কাছ থেকে কোন অভিযোগ পাইনি।