নাজমুল হক চৌধুরী, নরসিংদী প্রতিনিধি:
নরসিংদীতে পৃথক জায়গায় একদিনে তিনটি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (০৮ মার্চ) বিকেলে গর্ভবতী এক গৃহবধূকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে একজন গ্রেফতার, রাইস মিলে চাল ভাঙ্গাতে গিয়ে কিশোরী ও মাদ্রাসার ৬ বছরের শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টায় জনতার হাতে দারোয়ান আটক হবার ঘটেছে। এই তিন ঘটনায় চাঞ্চল্যের পুরো জেলা জুড়ে চাঞ্চল্য ও জনমমে আতংকের সৃষ্টি হয়েছে।
নরসিংদীর পাঁচদোনায় এক গর্ভবতী গৃহবধূকে ফেব্রুয়ারী ১৯ থেকে ২১ পর্যন্ত তিনদিন পাঁচদোনার একটি ভবনে আটকে রেখে দলবদ্ধ ভাবে একাধিক বার ধর্ষণ করে কয়েকজন। এই ঘটনায় ভুক্তভোগী থানায় অভিযোগ করলে আজ পাঁচদোনা এলাকায় অভিযান চালিয়ে গণধর্ষণের মূলহোতা ইকবাল (৩২) নামে একজনকে আটক করে মাধবদী থানা পুলিশ।
আটককৃত আসামি পাঁচদোনা ইউনিয়নের আসমান্দিচর গ্রামের জয়নাল আবেদিনের ছেলে। সে আর তার কয়েকজন সহযোগী মিলে তিন দিন একাধিকবার ধর্ষণ করে ঐ গর্ভবতী গৃহবধূকে।
এই বিষয়ে মাধবদী থানার ওসি নজরুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় মামলা ও আইনানুগ পক্রিয়া চলমান রয়েছে। একজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত বলা যাবে।
বিকেলে আমদিয়া ইউনিয়নের কান্দাইল বাজারের ১২ বছরের এক মেয়ে রাইস মিলে পিঠা বানানোর গুড়ি ভাঙ্গাতে আসলে রাইস মিলের মেশিন চালক ঐ কিশোরীকে ধর্ষনের চেষ্টা করলে ঐ মেয়ের চিৎকারে বাজারের লোকেরা এসে মেয়েকে রক্ষা করে এবং
মেশিন চালক কে হালকা পাতলা মারধর করে।
কিশোরীকে ধর্ষণ চেষ্টাকারীর নাম জিয়া (২২)। সে একই এলাকার সামসুল হকের ছেলে। সে দীর্ঘদিন যাবত এই রাইস মিলে গুড়ি ভাংগানোর মেশিন চালানোর কাজ করে আসছিল বলে জানায় এলাকাবাসী।
এছাড়াও সন্ধায় নরসিংদী শহড়তলীর চিনিশপুর ইউনিয়নের গাবতলী এলাকায় অবস্থিত তানজিমুল কোরআন একাডেমি মাদ্রাসার দারোয়ান কর্তৃক ঐ মাদ্রাসার ৬ বছরের এক শিশু ছাত্রীকে ধর্ষনের চেষ্টা কালে আটক করে গনধোলাই দিয়েছে এলাকাবাসী।
পরে পুলিশে খবর দিলে ঐ দারোয়ান কে গ্রেফতার করে নিয়ে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ৬০ বছর বয়সী এই দারোয়ান মাদ্রাসার ছয় বছরের এক ছাত্রীকে চুম্বন ও অশালীন ভঙ্গিমায় শরীরের বিভিন্ন জায়গায় হাত দিচ্ছিল। তখন স্থানীয় কয়েকজনের চোখে পড়লে তাকে আটক করে, পরে উত্তেজিত জনতা তাকে গনধোলাই দেয়। পরে পুলিশ এসে তাকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়।