নাজমুল হক চৌধুরী, নরসিংদী প্রতিনিধি:
নরসিংদীতে জুয়ার টাকা সংগ্রহ করতে পরিকল্পিতভাবে দুই বন্ধু মিলে নৃশংসভাবে হত্যা করে তাদেরই সহকর্মীকে সাইজিং মিল শ্রমিক এরশাদ মিয়াকে । এসময় ছিনিয়ে নেয়া হয় নিহতের ব্যবহৃত বাইসাইকেল ও মোবাইল ফোন।
বুধবার (০৫ মার্চ) দুপুরে হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
১১ ফেব্রুয়ারী হত্যাকাণ্ডের পর পরদিন ১২ ফেব্রুয়ারি সকালে পৌর শহরের নাগরিয়াকান্দি এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয় সাইজিং মিল শ্রমিকের মরদেহ।
সংবাদ সম্মেলনে পিবিআইয়ের নরসিংদীর পুলিশ সুপার মো. এনায়েত হোসেন মান্নান জানান, ঘটনার দুই মাস আগে চাকরি হারায় হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড বিল্লাল মিয়া রনি। দীর্ঘদিন ধরে অনলাইনে জুয়া খেলার ছলে ঋণগ্রস্ত হওয়ায় তার বন্ধু ফরহাদকে নিয়ে পরিকল্পনা করে টাকা সংগ্রহের।
পরিকল্পনা অনুযায়ী তাদেরই সহকর্মী এরশাদকে টার্গেট করে তারা। গত ১১ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় ভিকটিম এরশাদ মিয়া নিজ বাড়ি শান্তিভাওলা থেকে শহরের কর্মস্থল সাইজিং মিলে যাচ্ছিলেন। পথে নাগরিয়াকান্দি এলাকায় পৌঁছলে পূর্ব থেকে ওঁৎপেতে থাকা রনি ও ফরহাদ তাকে পার্শবর্তী বালুর মাঠে নিয়ে সাইকেল ও মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে ছুরিকাঘাত ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।
পরে সদর থানায় নিহতের বড় ভাইয়ের দায়ের করা মামলা আমলে নিয়ে কাজ শুরু করে পিবিআই। পরদিনই ফরহাদকে গ্রেপ্তার করতে পারলেও ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকে মূল হোতা বিল্লাল মিয়া ওরফে রনি। দীর্ঘদিন পর্যবেক্ষণের পর তাকে পার্শবর্তী জেলা কিশোরগঞ্জের ভৈরব থেকে গ্রেপ্তারে সক্ষম হয় পুলিশ।
আরও জানা যায়, নিহতের ব্যবহৃত বাইসাইকেল মাত্র ৯শত এবং মোবাইল ফোনটি ১৫শত টাকায় বিক্রি করে অভিযুক্তরা। তাছাড়া পূর্ব থেকেই নিহত এরশাদের বিকাশের পাসওয়ার্ড জানতে পারায় তার বিকাশে থাকা ৬ হাজার পাঁচশত টাকা উত্তোলন করে তারা। এই ঘটনায় অপরাধী দুজনেই তাদের দোষ স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়।