নাটোর প্রতিনিধিঃ
নাটোরের গুরুদাসপুরে সাবেক ওসি আব্দুল মতিনের চাকুরিচ্যুতি ও গ্রেপ্তারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন, মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
পতিত স্বৈরাচার আওয়ামীলীগ সরকারের শাসনামলে গুরুদাসপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি ও নাজিরপুর মরিয়ম মেমোরিয়াল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফিরোজ আহাম্মেদকে ৮ টি মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ করা হয় সাবেক ওসি আব্দুল মতিনের বিরুদ্ধে।
নাজিরপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান সন্ত্রাসী আইয়ুব আলী ও ৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলামের সাথে হাত মিলিয়ে মামলাসহ নানাভাবে তাদের নির্যাতন ও হয়রানি করেন ওসি মতিন।
শুধু তাইনা ২০১৬ সালের ইউপি নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পরেও ফিরোজ আহাম্মেদকে পরাজিত করতে ভূমিকা রাখেন ওসি মতিন।
মঙ্গলবার (৪ মার্চ) দুপুরে নাজিরপুর বাজারে বিএনপি নেতা ফিরোজ আহমেদের নেতৃত্বে এই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ হয়। এর আগে নাজিরপুর ইউনিয়ন বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি ফিরোজ আহম্মেদ।
পরে নাজিরপুর বাজারে ওই ওসির চাকরিচ্যুত ও গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভ করেন তারা। এসময় ইউনিয়ন বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মিরা ওসি মতিন ও আইয়ুব চেয়ারম্যানের গ্রেফতার দাবি করেন।
মানববন্ধনে বিএনপি নেতা ফিরোজ আহমেদ, ফেরদৌস আলী, মাজেদ আলী ও সাবেক ইউপি সদস্য মোছাব্বের হোসেন দাবি করেন, আওয়ামীলীগের শাসনামলে ফিরোজ আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যসহ অসংখ্য নেতাকর্মির নামে মিথ্যা ভিত্তিহীন মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়।
ফিরোজ আহমেদের নামে ৮ টি মামলা হলেও আদালতে মিথ্যা প্রমানিত হয়েছে। ওসি মতিন মামলা থেকে অব্যহতি দেয়ার কথা বলে ফিরোজের পরিবারের কাছ থেকে ৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা নিলেও মামলা থেকে তাদের অব্যাহতি দেয়া হয়নি।
এসব ঘটনায় পুলিশের আইজি সহ বিভিন্ন দপ্তরে ওসি মতিনের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি করেন তারা। ওসি মতিন বর্তমানে ট্যুরিস্ট পুলিশ পঞ্চগড় জোনে কর্মরত আছেন।
তিনি মুঠোফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। অপর দিকে ইউপি চেয়ারম্যান আইয়ুব আলীও ফোনে সাড়া না দেয়ায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।