সজিব রেজা, দিনাজপুর প্রতিনিধি:
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার বিরাহিমপুর গুচ্ছগ্রাম এলাকার ‘রহিম শাহ বাবা ভান্ডারি মাজারে’ হামলা–অগ্নিসংযোগের পর ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।
শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে আজ শনিবার বেলা ২টা পর্যন্ত মাজারের সীমানাপ্রাচীরের খুঁটি, কবরের ঢাকনা, টিন, চাউল, দেয়াল এবং কুঠুরি ঘরের খুঁটি ভাংচুর ও লুটপাট চলতে দেখা যায়।
শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারী) বিকেলে মাজারে ওরসের নামে গান-বাজনা, মাদক সেবনসহ অশ্লীল কার্যক্রম চালানোর অভিযোগ তুলে হামলা করে অগ্নিসংযোগ করেন স্থানীয় ‘তৌহিদি জনতা’।
সিরাতে মুস্তাকিম পরিষদ নামের একটি সংগঠনের ব্যানারে এলাকায় লাঠিমিছিল কর্মসূচির পর ওই হামলার ঘটনা ঘটে।
সিরাতে মুস্তাকিম পরিষদের কেউই মাজারে হামলা ও আগুন দেওয়ার কথা স্বীকার করেননি। গতকাল বিকেলে সিরাতে মুস্তাকিম পরিষদের ব্যানারে লাঠিমিছিল চলাকালে উত্তেজিত তৌহিদি জনতা মিছিল থেকে বের হয়ে মাজারে হামলা ও আগুন দিয়েছেন বলে সংগঠনটির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়।
শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে ভ্যানে ভ্যানে যে যার মতো মাজারের মালামাল নিয়ে যেতে শুরু করে। রাতে টলি করে মাজারের সীমানা প্রাচীরের ইট ও নিয়ে যাওয়া হয়।
আজ সকাল থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত মাজারে থেকে দেখা যায়, ২০–২৫ জন নারী-পুরুষ যে যাঁর মতো মাজার চত্বরে ওরসের জন্য তৈরি করা মঞ্চ, প্যান্ডেলের বাঁশ, কাপড় ও দড়ি খুলে নিয়ে যাচ্ছেন।
কেউ কেউ মাজারের ভেতরে রহিম শাহ বাবা ভান্ডারির কবরের ঢাকনা (আরসিসি) ও দেয়াল, মাজারের দক্ষিণ, পশ্চিম ও পূর্ব পাশে থাকা কুঠুরির খুঁটিতে হাতুড়ি দিয়ে ভেঙে রড বের করছে।
অন্য সুত্রে জানা যায়, মাজারে ওরসের জন্য যে ছাগল গরু ছাগল কেনা হয়েছে সেগুলো লুট হয়ে গেছে।