মজনুর রহমান আকাশ, মেহেরপুর প্রতিনিধি:
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার চরগোয়াল গ্রাম ও রামনগর গ্রামবাসীর মধ্যে এক সংঘর্ষে হৃদয় হোসেন (২৪) নামের এক যুবক নিহত হয়েছে। একই সময়ে আহত হয়েছেন আরো ৩ জন। আজ বুধবার দুপুরে এ সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে। নিহত হৃদয় চরগোয়াল গ্রামের দিনমজুর শাহাদত হোসেনের ছেলে। পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে মেহেরপুর মর্গে পাঠিয়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন সেনাবাহিনী পুলিশ ও র্যাবের পৃথক তিনটি টিম।
এদিকে হৃদয় হোসেন নিহতের খবর পেয়ে চরগোয়াল গ্রামের লোকজন জান্নাত অটো নামের একটি মোটর সাইকেল গ্যারেজে আগুন লাগিয়ে দেয়। সংবাদ পেয়ে পুলিশ ও বামন্দী ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। অগ্নীকাণ্ডে দুটি মোটর সাইকেলসহ দোকানের সমস্ত মালামাল পুড়ে ভষ্মিভুত হয়।
স্থানীয় ও পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, দিন পাঁচেক আগে রামনগর গ্রামের মিরাজুল ওরফে মিরার ট্রাক্টর ট্রলিতে চরগোয়াল গ্রামের কেন্দ্রীয় গোরস্থানের গেটসহ কিছু অংশ ভেঙ্গে যায়। গেটের ক্ষতিপূরণের দাবিতে চরগোয়াল গ্রামের লোকজন আজ বুধবার দুপুরে রামনগর বাজারে যায়। তারা ট্রাক্টর ট্রলির চাবি কেড়ে নিয়ে বিষয়টি সুরাহার জন্য বাজারের মিলন মেম্বরের বাড়ির নীচে জান্নাত অটোতে বসে। এসময় জান্নাত অটোর মালিক জান্নাতসহ কয়েকজন চরগোয়াল গ্রামের লোকজনের উপর চড়াও হয়।
কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে আহত হয় চরগোয়াল গ্রামের হৃদয় ও জান্নাত অটোর মালিক জান্নাত আলীসহ আরও দুইজন। স্থানীয়রা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে হৃদয়কে উদ্ধার করে বামন্দী সেন্ট্রাল হাসপাতালে প্রেরণ করলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। অন্যান্য আহতদেরকে কুষ্টিয়া প্রেরণ করা হয়। এদিকে হৃদয়ের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে হৃদয়ের পরিবার ও চরগোয়াল গ্রামের লোকজন সংঘবদ্ধ হয়ে জান্নাত অটোতে ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগ করে। এতে দুটি মোটরসাইকেল ও দোকানের সব কিছু পুড়ে যায়।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মেহেরপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল) আব্দুল করিম জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশি নিয়ন্ত্রণে। হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের সনাক্ত ও গ্রেপ্তারে মাঠে নেমেছে পুলিশ।