সোহেল রানা, সিংগাইর
উৎসব মুখর পরিবেশে সিংগাইরের ৭১ নং ফোর্ডনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, পুরস্কার বিতরণী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বিদ্যালয়ের মাঠ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, পুরস্কার বিতরণী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে দৌড়, বিস্কুট দৌড়, হাড়ি ভাঙ্গা, অংক দৌড়, যেমন খুশি তেমন সাজ সহ বিভিন্ন ইভেন্টে খেলাধূলা অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সুলতানা আছমা খানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী, ব্যাবসায়ী ও সাবেক ছাত্রনেতা মো: ইকবাল হোসেন শামিম,
বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন নীড়স টেকনোলজি এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো: নাজমুল হুদা খন্দকার,সিংগাইর উপজেলা প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব মো: সুজন মোল্লা,ম্যাক্স ফাইভ লিমিটেডের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো: আনিসুজ্জামান, কালিয়াকৈর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: জুবায়ের হোসেন, সিংগাইর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: আবু বকর সিদ্দিক, গোবিন্দল – ঘোনাপাড়া মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: শহিদুল ইসলাম সরকার, বিশিষ্ট সমাজ সেবক বীর মুক্তিযোদ্ধা মহিদুর ইসলাম তারা মিয়া, বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী ও সমাজ সেবক মো: মহসিন মিয়া প্রমুখ।
প্রধান অতিথি ইকবাল হোসেন শামীম বক্তব্যে বলেন, প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি খেলাধুলা ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের উপর জোর দিতে হবে। এবং প্রতিমাসে ছাত্র/ছাত্রীদের লেখাপড়ার অগ্রগতি ও অবনতি সম্পর্কে অভিভাবকদের অবহিত করার জন্য শিক্ষকদের অনুরোধ করেন।
তিনি আরো ঘোষনা দেন স্কুলের সকল শিক্ষার্থীদের নতুন স্কুলের জামা বানিয়ে দিবেন এবং মাঠে যে গর্ত আছে সেখানে বাচ্চাদের খেলাধুলা করতে সমস্যা হয়, সেই সমস্যা সমাধানের জন্য মাটি ভরাট করার জন্য আর্থিক সাহায্য করার ও প্রতিশ্রুতি দেন।
স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা মাহমুদা সুলতানা বলেন, বাংলাদেশ এখন বিশ্বের বহু দেশের কাছে অনুকরণীয়। স্বাক্ষরতার হার বৃদ্ধি, বিদ্যালয়ের ভর্তির হার শতভাগ, ছাত্রছাত্রীর সমতা, নারীশিক্ষার অগ্রগতি, ঝরে পড়ার হার দ্রুত কমে যাওয়াসহ শিক্ষার অধিকাংশ ক্ষেত্রেই রোল মডেল এখন বাংলাদেশ। আমাদের প্রতিষ্ঠানে পড়া শোনার পাশাপাশি ছাত্র/ছাত্রীদের মেধা বিকাশের জন্য আমরা বিভিন্ন সময় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ খেলাধূলার আয়োজন করে থাকি। ইনশাআল্লাহ্ আমাদের প্রতিষ্ঠানের এই ধারাবাহিকতা আগামী দিনেও অব্যাহত থাকবে।