সাব্বির হোসেন, লালমনিরহাট প্রতিনিধি
তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নসহ পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ের দাবিতে ১৭ ও ১৮ ফেব্রুয়ারি টানা ৪৮ ঘণ্টার অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে। দুপুরে রংপুরের একটি অভিজাত হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন সংগঠনের প্রধান সমন্বয়ক ও বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবীব দুলু।
তিনি জানান, দীর্ঘদিন ধরে তিস্তা নদী বেষ্টিত লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, রংপুর ও গাইবান্ধার মানুষ তিস্তা নদীর পানি বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছে। এরই মধ্যে বাংলাদেশের জনগণ সরকারের কাছে তিস্তা পানি চুক্তি বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েও ফলপ্রসূ কোনো পদক্ষেপ পায়নি। আসাদুল হাবীব দুলু বলেন, “ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার সরকার ভারতের কাছে তিস্তা পানি চুক্তি করতে গিয়ে ক্ষমতা রক্ষা করাকে প্রাধান্য দিয়েছে।”
তিস্তা মহাপরিকল্পনার বিষয়ে তিনি বলেন, চীন ২০১৬ সালে এই প্রকল্পের নকশা প্রণয়ন করেছে। প্রকল্পের আওতায় তিস্তা নদীকে সংকুচিত করে ৮ কিলোমিটার থেকে ১.৫ কিলোমিটার করা হবে। এছাড়া, নদীর দুই ধারে প্রশস্ত রাস্তা, গাইড বাঁধ, অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং হাউজিং ও পর্যটনকেন্দ্র গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে লাখ লাখ বেকারের কর্মসংস্থান সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে এবং রংপুরের মানুষ আশাবাদী যে, এক সময়ের প্রমত্তা তিস্তা নদী তার যৌবন ফিরে পাবে।
তবে, সরকারের পক্ষ থেকে সাম্প্রতিক সময়ের কিছু পদক্ষেপ নিয়ে তিস্তা পাড়ের মানুষের মধ্যে আপত্তি রয়েছে। আসাদুল হাবীব দুলু বলেন, “মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের আগে তিস্তায় বিক্ষিপ্ত কাজ করে জনগণের ট্যাক্সের টাকা অপচয় করা উচিত নয়।”
এছাড়া, সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক ও মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সামসুজ্জামান সামু, জেলা বিএনপির সদস্যসচিব আনিছুর রহমান লাকু, সদস্য এমদাদুল হক ভরসা, সালেকুজ্জামান সালেক প্রমুখ।

এই সময়ের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব বলে কি আপনি মনে করেন?