মোঃ সাব্বির হোসেন লালমনিরহাট :
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় পাঁচ মাস ২৩ দিন পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত সুজন ইসলামের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য উত্তোলন করা হয়েছে।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে নিহতের নিজ গ্রাম পশ্চিম সারডুবীর বাড়িতে লালমনিরহাট সহকারী কমিশনার এস. এম. শাফায়াত আখতারের তত্ত্বাবধানে এ কর্মকাণ্ড সম্পন্ন হয়। হাতীবান্ধা থানা পুলিশের উপস্থিতিতে কবর থেকে মরদেহ তুলে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
সুজনের বাবা শহিদুল ইসলাম বলেন, “মরদেহ উত্তোলনে আমার আপত্তি নেই, কিন্তু প্রকৃত অপরাধীদের বিচার চাই।”
গত ৫ আগস্ট ঢাকার আশুলিয়ায় পোশাক কারখানায় কর্মরত সুজন পুলিশের গুলিতে নিহত হন। পরদিন ঢাকা থেকে মরদেহ আনা হলে পরিবার তা দাফন করে।
হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহমুদু-ন্নবী জানান, “সুজনের বাবার দায়ের করা মামলার প্রেক্ষিতে আদালতের নির্দেশে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে।
সূত্রমতে, সুজন স্থানীয় বড়খাতা ইউনিয়নের পশ্চিম সারডুবী গ্রামের শহিদুল ইসলাম ও রেজিয়া বেগমের সন্তান ছিলেন। পড়ালেখার পাশাপাশি পরিবারের আর্থিক সহায়তায় তিনি ঢাকায় কাজ করতেন। এ ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে উত্তাপ রয়েছে বলে জানা গেছে। পুলিশ ও প্রশাসন তদন্ত ত্বরান্বিত করতে পদক্ষেপ নিচ্ছে।