ছাত্রদল নেতা জুবায়েদ হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত থাকার তথ্য দিয়েছে পুলিশ। তদন্তে জানা গেছে, হত্যার সময় ঘটনাস্থলেই উপস্থিত ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বার্জিস শাবনাম বর্ষা, যিনি নিহত জুবায়েদের প্রেমিকা ছিলেন। পুলিশ জানিয়েছে, জুবায়েদ হত্যার মুহূর্তে জীবন ভিক্ষা চাইলেও বর্ষা নির্বিকার ছিলেন।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) এস এন মো. নজরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, জুবায়েদ নিয়মিত বর্ষার বাসায় টিউশনি করতে যেতেন। সেই সূত্রে তাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বর্ষা সে সময় মাহির রহমান নামের এক তরুণের সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন। কিন্তু জুবায়েদের সঙ্গে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হওয়ায় মাহিরের সঙ্গে তার বিচ্ছেদ ঘটে। পরে আবারও মাহিরের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেন বর্ষা এবং সেখান থেকেই হত্যার পরিকল্পনা শুরু হয়।
পুলিশের ভাষ্য অনুযায়ী, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মাহির স্বীকার করেছে যে, প্রথমে শুধু জুবায়েদকে ভয় দেখানোর পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু বর্ষার চাপেই হত্যার সিদ্ধান্ত নেয় তারা। এরপর বর্ষা নিজেই ছুরি দিয়ে জুবায়েদকে আঘাত করে হত্যা করে।
রোববার বিকেলে বর্ষার বাসায় যাওয়ার পথে মাহিরের সঙ্গে দেখা হয় জুবায়েদের। সেখানে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ছুরি দিয়ে তাকে কুপিয়ে ফেলে দেওয়া হয়। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
নিহত জুবায়েদ ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯–২০ শিক্ষাবর্ষের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী এবং কুমিল্লা জেলা ছাত্রকল্যাণ পরিষদের সভাপতি। সোমবার ময়নাতদন্ত শেষে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয় এবং পরে তাকে গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হয়।