বিএনপি চেয়ারপারসনের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা কমিটির বিশেষ সহকারী ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন বলেছেন, টানা ১৬ বছরের ফ্যাসিবাদী শাসনের অবসান ঘটিয়ে গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচারী খুনি শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালিয়েছে। এখন বাংলাদেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়েছে, যেখানে সমস্ত রাজনৈতিক দল এবং সাধারণ জনগণ ঐকমত্যের ভিত্তিতে এই সরকারকে সমর্থন দিয়েছে। এই সরকারের মূল লক্ষ্য দেশে একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন সম্পন্ন করা।
তিনি বলেন, আজকে সংস্কারের নামে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা চলছে। কখনো পরিষদ নির্বাচনের কথা, কখনো স্থানীয় নির্বাচনের কথা, আবার কখনো খুনি হাসিনার বিচারের দোহাই দিয়ে জাতীয় নির্বাচনকে পাশ কাটানোর ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) বিকেলে চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলা বিএনপির আলোচনা ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সংস্কারের প্রসঙ্গ উঠলে বিএনপি-ই বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ও কার্যকর সংস্কার করেছে। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বাকশাল বাতিল করে একদলীয় শাসনব্যবস্থা বিলুপ্ত করেন। ১৯৭৫ সালের পর এটি ছিল দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক সংস্কার, যা জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছিল।
তিনি আরো বলেন, ২০১১ সালে শেখ হাসিনা জোরপূর্বক পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে গণতন্ত্র হত্যার পথে হাঁটেন। তখন থেকেই বিএনপি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। জনগণের ভোটাধিকার ফেরানোই বিএনপির অঙ্গীকার।
ইশরাক হোসেন বলেন, “আজকে সংস্কারের কথা বলে নির্বাচনকে পাশ কাটানোর সুযোগ নেই। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পলায়নের দেড় বছর আগেই বিএনপি রাষ্ট্র সংস্কারের ৩১ দফা প্রস্তাব দিয়েছিল। যখন কেউ সংস্কারের কথা বলেনি, তখনই আমরা বুঝেছিলাম, রাষ্ট্রকে ঢেলে সাজানোর প্রয়োজন আছে।”
তিনি বলেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলন গণতন্ত্রহীনতার বিরুদ্ধে হয়েছে, তাই কোনোভাবেই সংস্কারের নামে নির্বাচনকে বিলম্বিত করা যাবে না। জনগণের চাওয়া একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন, যেখানে জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় আসবে। বিএনপি সেই গণতান্ত্রিক সংগ্রামে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান ভুঁইয়া মিল্টন। সঞ্চালনায় ছিলেন ছাত্রদলের আহ্বায়ক সুজাউদ্দৌলা সজীব ও বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মনির তালুকদার।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক এডভোকেট আবু তাহের, সদস্য সচিব আলমগীর হোসাইন ঠাকুর, পৌরসভা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক দিদারুল আলম, জাহাঙ্গীর হোসেন, আবদুল ওয়াহাব কবির, গাজী হানিফ, মাইনউদ্দীন, নাজিম উদ্দিন কমিশনার, কাউছার আহমেদ চেয়ারম্যানসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
এসময় সন্দ্বীপ উপজেলা ও পৌর বিএনপি এবং অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের শত শত নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, সাময়িক মজুতদারির কারণে চালের বাজার অস্থিতিশীল। আপনিও কি তা-ই মনে করেন?