ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সহ দফতর সম্পাদক এডভোকেট বরকত উল্লাহ লতিফ বলেছেন, পরিপূর্ণ সংস্কার ছাড়া জাতীয় নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না। তিনি দাবি করেছেন, সব সংস্কার শতভাগ বাস্তবায়নের পরই নির্বাচন দিতে হবে।
শনিবার (১৫ মার্চ) লক্ষ্মীপুরে এক আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ লক্ষ্মীপুর জেলা কমিটির উদ্যোগে “একটি কল্যাণময় সমাজ ও রাষ্ট্র বিনির্মাণে মাহে রমজানের ভূমিকা” শীর্ষক এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বরকত উল্লাহ লতিফ বলেন, “অনেকেই সংস্কার শেষ না করেই নির্বাচন আয়োজনের কথা বলছেন। কেউ কেউ বলছেন, ক্ষমতায় গিয়ে ৭৪-এর কালো আইন বাতিল করবেন। কিন্তু বাস্তবে নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় গেলে এসব প্রতিশ্রুতি ভুলে যায়। তাই নির্বাচন হওয়ার আগে পরিপূর্ণ সংস্কার নিশ্চিত করতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “সংস্কার যদি পরিপূর্ণ না হয়, নির্বাচিত সরকার এসে তা বাস্তবায়ন করবে—এটা বিশ্বাস করা কঠিন। আমরা চাই ১০০% সংস্কার সম্পন্ন হোক, তারপর নির্বাচন দেওয়া হোক।”
এ প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বক্তব্যেরও উল্লেখ করেন তিনি। তিনি বলেন, “গত শুক্রবার প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, যদি সবাই পরিপূর্ণ সংস্কার চান, তাহলে নির্বাচন জুলাইতে হতে পারে। ছয় মাস পিছিয়ে নির্বাচন হলে যদি কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ পাওয়া যায়, তাহলে আমাদের তাতে আপত্তি নেই।”
তিনি সতর্ক করেন, “যদি তড়িঘড়ি করে এই ডিসেম্বরে নির্বাচন হয়, অথচ সংস্কারগুলো পরিপূর্ণ না থাকে, তাহলে কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ আমরা পাবো না।”
আলোচনা সভায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের লক্ষ্মীপুর জেলা কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি দেলাওয়ার হোসাইনের সভাপতিত্বে ও জয়েন্ট সেক্রেটারি ইউসুফ আল মাহমুদের সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন—আল মদিনা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাকির হোসেন পাটোয়ারী, সংগঠনের জেলা সহ-সভাপতি মাওলানা মহিউদ্দিন, সেক্রেটারি জহির উদ্দিন, সহকারী সেক্রেটারি লোকমান হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান হোসাইন, প্রচার ও দাওয়াহ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান, শ্রমিক আন্দোলনের জেলা সভাপতি নাছির আহমেদ, যুব আন্দোলনের জেলা সভাপতি মোখলেসুর রহমান ও ছাত্র আন্দোলনের জেলা সভাপতি ইউনুস খাঁন।
বিশ্লেষকদের মতে, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মতো দলগুলোর এই দাবি সংস্কার প্রক্রিয়াকে আরও সুসংহত ও দীর্ঘমেয়াদে প্রভাবিত করতে পারে। বিশেষ করে, নির্বাচন নিয়ে যেসব বিতর্ক রয়েছে, সেগুলো সমাধানের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে একটি ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা আরও জোরালো হয়েছে।

সচিবালয়ে আগুনের ঘটনা পরিকল্পিত বলে সন্দেহ করছেন অনেকে। আপনি কী মনে করেন?